লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৮১৩-[২৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জিহাদে অংশগ্রহণ করেনি এবং জিহাদের নিয়্যাত না করে মৃত্যুবরণ করে, সে প্রকৃতপক্ষে মুনাফিক হয়েই মৃত্যুবরণ করল। (মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَغْزُو وَلَمْ يُحَدِّثْ بِهِ نَفْسَهُ مَاتَ عَلَى شُعْبَةٍ نفاق» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: এ হাদীসটির ব্যাপারে ‘আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রহঃ) বলেনঃ ‘‘আমরা মনে করি এ বিধানটি বিশেষভাবে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগের জন্য খাস ছিল। অন্যান্য ‘উলামায়ে কিরাম বলেছেন যে, এ বিধানটি ‘আম্ তথা শুধু রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগের সাথেই খাস নয়; বরং এ যুগেও যদি কারো মধ্যে এরূপ সমস্যা থাকে তবে তার হুকুমও একই। (শারহে মুসলিম ১৩শ খন্ড, হাঃ ১৯১০)
(وَلَمْ يُحَدِّثْ بِهِ نَفْسَه) এ বাক্যের ভাবার্থ হলো, যে ব্যক্তি মনে মনেও জিহাদের দৃঢ় সংকল্প করেনি বা এ কথাও বলেনি যে, হায়! যদি মুজাহিদ হতাম! আবার কারো মতে এ বাক্যের অর্থ হলো সে কখনই জিহাদের জন্য বের হওয়ার ইচ্ছা করেনি। আর জিহাদের উদ্দেশে বের হওয়ার ইচ্ছার বাহ্যিক বহিঃপ্রকাশ হলো যুদ্ধের সরঞ্জাম প্রস্তুত করা। এ দিকে ইঙ্গিত করে মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন, অর্থাৎ- ‘‘তারা (জিহাদের উদ্দেশে) বের হতে চাইলে নিশ্চয় তারা এর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করত, কিন্তু তাদের অভিযাত্রা আল্লাহর মনঃপূত ছিল না, সুতরাং তিনি তাদেরকে বিরত রাখেন এবং তাদেরকে বলা হয়, যারা বসে আছে তোমরা তাদের সাথে বসে থাক’’- (সূরা আত্ তাওবাহ্ ৯ : ৪৬)।
(مَاتَ عَلٰى شُعْبَةٍ مِنْ نِفَاقٍ) অর্থাৎ বিশেষ এক প্রকারের নিফাকের উপর সে মৃত্যুবরণ করবে। যে ব্যক্তি এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে সে জিহাদ থেকে অনুপস্থিত মুনাফিকদের সাথে অধিক সাদৃশ্যশীল। আর যে ব্যক্তি যে জাতির সাথে সাদৃশ্যশীল সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। বলা হয়ে থাকে : এটি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগের সাথে খাস বা বিশেষিত। তবে স্পষ্ট এবং অধিকতর সঠিক কথা হলো এটি সর্বযুগের জন্য প্রযোজ্য। আর প্রতিটি মু’মিনের জন্য কর্তব্য হলো জিহাদের নিয়্যাত রাখা- চাই সেটি (অবস্থাভেদে) ফারযে কিফায়াহ্ হোক বা ফারযে ‘আইন হোক। (মিরকাতুল মাফাতীহ)