লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৮০২-[১৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহর পথে আহত হয়, তবে আল্লাহই প্রকৃতপক্ষে জানেন যে, কে তার পথে হতাহত হয়েছে। কিয়ামতের দিনে সে এরূপ অবস্থায় আগমন করবে যে, তার ক্ষতস্থান হতে রক্ত প্রবাহিত হয়ে বের হতে থাকবে এবং তার বর্ণ রক্তের মতো হবে আর তার সুগন্ধি হবে মিশকের সুঘ্রাণের ন্যায়। (বুখারী, মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يُكَلَّمُ أَحَدٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَنْ يُكَلَّمُ فِي سَبِيلِهِ إِلَّا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَجُرْحُهُ يَثْعَبُ دَمًا اللَّوْنُ لَوْنُ الدَّمِ والريحُ ريحُ المسكِ»
ব্যাখ্যা: উপরোক্ত হাদীসে ঐ ব্যক্তির কিয়ামতের দিন মর্যাদাবান হওয়ার সুসংবাদ রয়েছে, যে দুনিয়াতে থাকাবস্থায় আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রাম করতে গিয়ে নিজ শরীরে কোনো আঘাত পেয়েছে। উক্ত ক্ষতস্থান থেকে কিয়ামতের দিন রক্তক্ষরণ হবে এবং তার সুগন্ধি হবে মৃগ নাভীর মতো। পরোক্ষভাবে এখানে উক্ত মুজাহিদের মর্যাদার কথা আলোচনা করা হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী : (لَا يُكْلَمُ أَحَدٌ فِىْ سَبِيلِ اللّٰهِ) এ কথার অর্থ হলো যে কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে গিয়ে উক্ত আঘাত পায় তাহলে সে উল্লেখিত মর্যাদার অধিকারী হবে। এ ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি উক্ত আঘাতে মারা যাক বা বেঁচে থাকুকু উভয় ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য হবে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৬৫৭)
হাদীসে উল্লেখিত বাণী, (وَاللّٰهُ أَعْلَمُ بِمَنْ يُكْلَمُ فِىْ سَبِيلِه) তথা ‘‘আল্লাহই অধিক অবগত আছেন ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে, যে কেবল তার রাস্তায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে’’ এ কথার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইমাম নববী বলেন, ‘‘এটা যুদ্ধক্ষেত্রে ইখলাস তথা আল্লাহর জন্য ‘আমলের একনিষ্ঠতা নিশ্চিত করার জন্য সতর্কবাণী। কেননা হাদীসে বর্ণিত ফাযীলাতের হকদার কেবল ঐ ব্যক্তিই হবে, যে একনিষ্ঠভাবে এ কাজ করেছে এবং আল্লাহর কালিমাকে সুউচ্চ করার জন্যই যুদ্ধ করেছে’’। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৬৫৭)
ইমাম নববী-এর মতে, কিয়ামতের দিন মুজাহিদের ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণের কারণ বা রহস্য হচ্ছে, মুজাহিদ ব্যক্তির সাথে তার আল্লাহর আনুগত্যের কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করার এবং উক্ত কাজের ফযীলত অর্জনের সাক্ষী বা প্রমাণ রাখা। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৬৫৭)