লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৭৯৭-[১১] যায়দ ইবনু খালিদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোনো মুজাহিদকে যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করে দিল, সে যেন নিজেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করল। আর যে ব্যক্তি কোনো মুজাহিদের অবর্তমানে তার পরিবার-পরিজনের তত্ত্বাবধান করল, সেও যেন স্বয়ং যুদ্ধে অংশগ্রহণ করল। (বুখারী, মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَن زيد بن خالدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَدْ غَزَا وَمَنْ خَلَفَ غَازِيًا فِي أَهْلِهِ فقد غزا»
ব্যাখ্যা: আল্লাহর রাস্তার জিহাদ করার জন্য কোনো মুজাহিদের সরঞ্জাম প্রস্তুত করে দিয়ে তাকে যুদ্ধের জন্য সহায়তা করা এবং কোনো মুজাহিদের জিহাদের ময়দানে থাকাকালীন সময়ে তার পরিবারের ন্যায়সঙ্গত দেখাশোনা করার মর্যাদা ও ফযীলত আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার সমপরিমাণ।
فقد غزا ‘‘সে স্বয়ং যেন জিহাদ করল বা যুদ্ধ করল’’ এ কথার অর্থ স্পষ্ট করতে গিয়ে ইমাম ইবনু হিব্বান বলেনঃ ‘‘এর অর্থ হচ্ছে, সাওয়াব বা নেকীর দিক থেকে (যোদ্ধাকে প্রস্তুতকারী বা তার পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব পালনকারী) ব্যক্তি স্বয়ং জিহাদকারী ব্যক্তির সমান, যদিও সে প্রকৃতপক্ষে জিহাদে অংশগ্রহণ করেনি।’’ (ফাতহুল বারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৮৪৩)
হাদীসে উল্লেখিত এই প্রতিদান বা সাওয়াব প্রত্যেক স্তরের জিহাদের জন্যই প্রযোজ্য- চাই তা পরিমাণে কম হোক বা বেশী। আর প্রত্যেক ঐ ব্যক্তির জন্যও এ সাওয়াব রয়েছে, যে ঐ যোদ্ধার পরিবারের প্রয়োজনগুলো মিটিয়ে দিবে, তাদের জন্য নিজের সম্পদ থেকে খরচ করবে এবং তাদের সার্বিক ব্যাপারে সাহায্য করবে। আর এ ক্ষেত্রে তার কর্মের কম বেশীর কারণে সাওয়াবের কম বেশী হবে।
আলোচ্য হাদীসে ঐ সকল ব্যক্তির প্রতি ইহসান বা সদাচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে, যারা মুসলিম উম্মাহর জন্য কোনো কল্যাণকর কাজে নিয়োজিত অথবা যারা মুসলিম উম্মাহর কোনো অতিব গুরুত্বপূর্ণ কাজ আঞ্জাম দিতে ব্যস্ত। (শারহে মুসলিম ১৩শ খন্ড, হাঃ ৩৭৯৭)