৩৬৮৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৬৮৭-[২৭] উক্ত রাবী [মা’ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ কোনো ব্যক্তিকে যদি আল্লাহ তা’আলা প্রজাপালনের দায়িত্ব প্রদান করেন। আর সে তাদের জন্য কল্যাণকর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয় বা না পারে, সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْتَرْعِيهِ اللَّهُ رَعِيَّةً فَلَمْ يَحُطْهَا بِنَصِيحَةٍ إِلَّا لَمْ يجد رَائِحَة الْجنَّة»

ব্যাখ্যা : অত্র হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী (রহঃ) লিখেছেন : ‘‘তার ওপর আল্লাহ তা‘আলা জান্নাত হারাম করেছেন’’ এটা দ্বারা দু’টি উদ্দেশ্য হতে পারে।

এক. এটার সম্ভাবনা রয়েছে যে, তাদের জান্নাতে প্রবেশ করা অসম্ভব।

দুই. প্রথম শ্রেণীর/পূর্ববর্তী সফলকামওয়ালা লোকেদের সাথে জান্নাতে প্রবেশ করা হারাম। সুতরাং এখানে হারাম অর্থ নিষেধ।

কাযী ‘ইয়ায (রহঃ) বলেনঃ সতর্ক করা যে ব্যক্তি মুসলিমদের সাথে প্রতারণা করে। যাকে আল্লাহ তা‘আলা দায়িত্ব অর্পণ করেছেন প্রজাদের রক্ষনাবেক্ষণের জন্য এবং তাকে নিয়োগ দিয়েছেন তাদের (প্রজাদের) কল্যাণের জন্য। ইহজগতে ও পারলৌকিক জগতের উপরে। অতঃপর সে (দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি) তার নিকট যে আমানত রাখা হয়েছিল তা খিয়ানাত করে। তাদের অধিকার নষ্ট করে, তাদের ওপর ন্যায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা ছেড়ে দেয়।

কাযী (রহঃ) আরো বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সতর্ক করেছেন ঐ ধরনের ধ্বংসাত্মক কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকতে যা জান্নাত থেকে দূরে সরে দেয়। [আল্লাহ তা‘আলা অধিক ভালো জানেন] (শারহে মুসলিম ২য় খন্ড, হাঃ ১৪২)

উক্ত হাদীসে মুসলিমদের ফাটল সৃষ্টি না করতে আদেশ করা হয়েছে। আর হাদীসে شق العصا শব্দ দ্বারা মুসলিমদের ঐক্যকে বুঝানো হয়েছে।

ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ লাঠি ভাঙ্গার অর্থ হচ্ছে মুসলিমদের ঐক্যকে নষ্ট করা। মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধভাবে কোনো একটা বিষয়ের উপর একত্রিত হয় যা কখনো ফাটল সৃষ্টি হওয়ার মতো নয় এরূপ ঐক্যকে লাঠির সাথে সাদৃশ্য দেয়া হয়েছে উক্ত হাদীসে। আর যখন তারা ঐ বিষয়ে মতানৈক্য করে দলে দলে বিচ্ছিন্ন হয় তখন যে ব্যক্তি তাদের মাঝে বিচ্ছিন্নতার মূল হোতা তাকে হত্যা করতে বলা হয়েছে।