লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চোরের হাত কাটা প্রসঙ্গ
৩৫৯৭-[৮] উক্ত রাবী [জাবির (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মসাৎকারী, ছিনতাইকারী ও লুটতরাজকারীর হাত কাটা যাবে না। (তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ্ ও দারিমী)[1]
وَعَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَيْسَ عَلَى خَائِنٍ وَلَا مُنْتَهِبٍ وَلَا مُخْتَلِسٍ قَطْعٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ والدارمي
ব্যাখ্যা: হাদীসে দলীল সাব্যস্ত হয় যে, লুটকারী, ছিনতাইকারী ও আত্মসাৎকারীর হাত কাটা যাবে না। ইবনু হুমাম হানাফী বলেনঃ এটা আমাদের মাযহাব বাকী অন্য তিন মাজহাবও আর এটা ‘উমার, ইবনু মাস্‘ঊদ ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এরও মাযহাব। ‘উলামারাও এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। তবে ইসহক, আহমাদ-এর অপর এক বর্ণনায় হাত কাটা হবে।
ইমাম নববী বলেন, কাযী ‘ইয়ায বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা চোরের হাত কাটাকে ফরয করেছেন আর অন্য কারো জন্য করেননি। যেমন ছিনতাইকারী, আত্মসাৎকারী ও লুটপাটকারী; কেননা চুরির তুলনায় এটা কম, আর এ প্রকারের সম্পদ প্রশাসকের নিকট আবেদনের মাধ্যমে ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব, আর প্রমাণ সংগ্রহ করাও সহজ হয় তবে চুরির ক্ষেত্রে অত সহজ নয়। কেননা তা প্রমাণ করা খুব কমই হয়ে থাকে ফলে বিষয়টি অনেক বড় এবং এর শাস্তিও অনেক কঠিন, যাতে তা হতে বিরত হওয়া অধিকতর ভূমিকা পালন করে থাকে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪৩৮৪; মিরকাতুল মাফাতীহ)