লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মুরতাদ এবং গোলযোগ সৃষ্টিকারীকে হত্যা করা প্রসঙ্গে
৩৫৫০-[১৮] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ইয়াহূদী রমণী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গালমন্দ করত এবং তাঁর দোষ-ত্রুটি সন্ধান করে তাঁকে দোষারোপ করত। এমতাবস্থায় জনৈক ব্যক্তি তার গলা চেপে ধরে মেরে ফেলল। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হত্যা ক্ষমা করে দিলেন। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ يَهُودِيَّةً كَانَتْ تَشْتِمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَقَعُ فِيهِ فَخَنَقَهَا رَجُلٌ حَتَّى مَاتَتْ فَأَبْطَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَمَهَا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: হাদীসের মধ্যে এ কথা প্রমাণ হয় যে, যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গালি দিবে সে হত্যার যোগ্য।
মুনযির বর্ণনা করেন যে, যে ব্যক্তি স্পষ্টভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গালি দিবে তাকে হত্যা করা ওয়াজিব মর্মে মতানৈক্য হয়েছে।
খত্ত্বাবী বলেনঃ কোনো মুসলিম রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গালি দিলে তাকে হত্যা করা ওয়াজিব- এ বিষয়ে ভিন্নমত আমি জানি না।
ইবনু বাত্ত্বাল বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গালাগালিকারী ব্যক্তির ব্যাপারে ‘আলিমদের মতভেদ রয়েছে।
ইবনুল কইয়িম মালিক থেকে বর্ণনা করেন, সন্ধি বা চুক্তিতে আবদ্ধ যিম্মি, যেমন ইয়াহূদী ব্যক্তি গালি দিলে তাকে হত্যা করতে হবে। কিন্তু সে যদি ইসলাম গ্রহণ করে তবে নয়। আর মুসলিম হলে তাকে তাওবাহ্ করতে বলা ছাড়াই হত্যা করতে হবে।
ইয়াহূদী এবং অনুরূপদের ব্যাপারে ইবনুল মুনযির, লায়স, শাফি‘ঈ, আহমাদ, ইসহক, আওযা‘ঈ ও মালিক থেকে বর্ণনা করেন, মুসলিম ব্যক্তি গালি দিলে সে মুরতাদ। তাকে তাওবাহ্ করতে বলতে হবে। কুফীদের মতে গালাগালিকারী ব্যক্তি যদি যিম্মী হয় তবে তাকে অপমানিত করতে হবে। আর মুসলিম হলে মুরতাদ হয়ে যাবে। ‘ইয়ায এ ব্যাপারে ভিন্ন মত পোষণ করেন যে, যাদের মাধ্যমে এরূপ আচরণ হয়েছে তাদেরকে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি স্পষ্ট প্রমাণ না থাকায় অথবা বন্ধুত্ব স্থাপনের স্বার্থে ছেড়ে দিয়েছেন?
মালিকী মাযহাবের কেউ বর্ণনা করেন যে, যেই ইয়াহূদীরা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ‘‘আস্সা-মু ‘আলাইকা’’ বলতো তাদের ব্যাপারে স্পষ্ট প্রমাণ না থাকায় তাদেরকে হত্যা করেননি। আর তারা এর স্বীকৃতি দেয়নি, ফলে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় জ্ঞানে তাদের ফায়সালা করেননি। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪৩৫৪)