৩৪৫৬

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৪৫৬-[১১] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনায় হিজরত করেন তখন তুফায়ল ইবনু ’আমর আদ্ দাওসী -ও তাঁর সাথে হিজরত করলেন, সাথে তার স্বগোত্রীয় এক লোকও হিজরত করে এসেছিল এবং সে অসুস্থ হয়ে পড়ল। এতে লোকটি অসুস্থতায় অধৈর্য হয়ে ছুরি নিয়ে স্বীয় হাতের কব্জি কেটে ফেলল। ফলে দ্রুতবেগে রক্তক্ষরণের দরুন সে মৃত্যুবরণ করল। অতঃপর তুফায়ল ইবনু ’আমর তাকে স্বপ্ন দেখলেন যে, তার অবয়ব ও বেশভূষা খুবই সুন্দর; কিন্তু তার হাত দু’টি আবৃত করা। তুফায়ল তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার রব্ তোমার সাথে কিরূপ আচরণ করেছেন? উত্তরে সে বলল, আল্লাহ তা’আলা আমাকে তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হিজরত করার কারণে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তুফায়ল পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, আমি তোমার হাত দু’টি আবৃত দেখছি, তার কারণ কি? সে বলল, আল্লাহ তা’আলা আমাকে বলেছেন, তুমি ইচ্ছাকৃতভাবে যা ক্ষতি করেছ, আমি কক্ষনো তা ঠিক করব না। অতঃপর তুফায়ল এতদসম্পর্কে পুরো বিষয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বর্ণনা করেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’আ করলেন, হে আল্লাহ! তার হাত দু’টিকেও ক্ষমা করে দিন। (মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ جَابِرٍ: أَنَّ الطُّفَيْلَ بْنَ عَمْرٍو الدَّوْسِيَّ لَمَّا هَاجَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ هَاجَرَ إِلَيْهِ وَهَاجَرَ مَعَهُ رَجُلٌ مِنْ قَوْمِهِ فَمَرِضَ فَجَزِعَ فَأَخَذَ مَشَاقِصَ لَهُ فَقَطَعَ بِهَا بَرَاجِمَهُ فَشَخَبَتْ يَدَاهُ حَتَّى مَاتَ فَرَآهُ الطُّفَيْلُ بْنُ عَمْرٍو فِي مَنَامِهِ وَهَيْئَتُهُ حسنةٌ ورآهُ مغطيّاً يدَيْهِ فَقَالَ لَهُ: مَا صنع بِكُل رَبُّكَ؟ فَقَالَ: غَفَرَ لِي بِهِجْرَتِي إِلَى نَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَا لِي أَرَاكَ مُغَطِّيًا يَدَيْكَ؟ قَالَ: قِيلَ لِي: لَنْ تصلح مِنْكَ مَا أَفْسَدْتَ فَقَصَّهَا الطُّفَيْلُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ وَلِيَدَيْهِ فَاغْفِر» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: এ হাদীসের আলোকে বুঝা যাচ্ছে যে, কোনো অবস্থাতেই কোনো ব্যক্তি নিজের অঙ্গকে নষ্ট বা অকেজো করতে পারবে না। যতই কষ্ট হোক না কেন ধৈর্যধারণ করতে হবে। এ হাদীসের আলোকে আরো বুঝা গেল যে, যদি কেউ তার কোনো অঙ্গকে নষ্ট করে ফেলে তবে আল্লাহ তা‘আলা তার এ অঙ্গকে কখনও ঠিক করে দিবেন না যদিও সে জান্নাতী হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)