লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
’কিসাস’ শব্দের অর্থ অনুগামী হওয়া, অনুসরণ করা। কিসাস এ নামকরণ এজন্য হয়েছে যে, নিহতের অভিভাবক প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষেত্রে হত্যাকারীর ন্যায় আচরণ করে থাকে, অর্থাৎ তার কাজের অনুসরণ করে। তাই এ প্রতিশোধকে কিসাস বলা হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
৩৪৪৬-[১] ’আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মুসলিম বান্দা সাক্ষ্য দেয় যে, ’’আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত সত্যিকারের কোনো উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল’’, তার রক্তপণ তিনটি কারণ ব্যতীত হালাল নয়ঃ (১) প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, (২) বিবাহিত ব্যভিচারীকে [রজম করা], (৩) দীন ইসলাম পরিত্যাগকারী- মুসলিম জামা’আত হতে সম্পর্কচ্ছেদকারীকে হত্যা করা। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثٍ: النَّفْسُ بِالنَّفْسِ وَالثَّيِّبُ الزَّانِي وَالْمَارِقُ لدينِهِ التَّارِكُ للجماعةِ
ব্যাখ্যা : হাদীসে উল্লেখিত (امْرِئٍ) দ্বারা পুরুষ ও নারী উভয়ই শামিল। অর্থাৎ যে কোনো নারী বা পুরুষ যারা এ কথা সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মা‘বূদ নেই আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্ববাসী সকলের জন্য আল্লাহর রসূল, সে ব্যক্তি মুসলিম বলে গণ্য হবে। কোনো মুসলিম যখন এ সাক্ষীর উপর অটল থাকবে তখন তার রক্ত হালাল নয় অর্থাৎ তাকে হত্যা করা যাবে না।
ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ হাদীসের প্রকাশমান অর্থ এই যে, যখন কোনো ব্যক্তি উপরে বর্ণিত দু’টি বিষয়ে সাক্ষ্য দিবে তখন তার রক্ত প্রবাহিত করা হারাম বলে গণ্য হবে। উসামাহ্ বর্ণিত হাদীস, তুমি ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ বিষয়ে ঠিক করবে, এ অর্থটাই জোরদার করে। তবে সে যদি নিমেণাক্ত তিনটি অন্যায় করে তাহলে তার ওপর শারী‘আতের বিধান আরোপ করতে হবে। ১. সে যদি কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে। ২. সে যদি বিবাহিত হওয়ার পরও যিনায় লিপ্ত হয়। ৩. সে যদি দীন ত্যাগ করে অর্থাৎ মুরতাদ হয়ে যায়। এসব অপরাধে লিপ্ত হলে তার জীবনের নিরাপত্তা থাকবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ১২শ খন্ড, হাঃ ৬৮৭৮; শারহে মুসলিম ১১ খন্ড, হাঃ ১৬৭৬)