লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৫৮-[২১] মু’আয (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট দেয় (অর্থাৎ- অশ্রদ্ধা, অবাধ্যতা ইত্যাদির মাধ্যমে)। তখন উক্ত স্বামীর জান্নাতের রমণীগণ (হূরেরা) বলতে থাকে, তুমি তাকে কষ্ট দিও না, (যদি কর) তবে আল্লাহ তোমাকে ধ্বংস করবেন। তিনি তোমার নিকট (কিছু সময়ের দিনের) মেহমান, শীঘ্রই তিনি তোমাকে ছেড়ে আমাদের নিকট চলে আসবে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ; ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব)[1]
وَعَنْ مُعَاذٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تُؤْذِي امْرَأَةٌ زَوْجَهَا فِي الدُّنْيَا إِلَّا قَالَت زَوجته مِنَ الْحُورِ الْعِينِ: لَا تُؤْذِيهِ قَاتَلَكِ اللَّهُ فَإِنَّمَا هُوَ عِنْدَكِ دَخِيلٌ يُوشِكُ أَنْ يُفَارِقَكِ إِلَيْنَا . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيث غَرِيب
ব্যাখ্যা: মু’মিনদেরকে আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে ‘‘হূরি‘ঈন’’ বা আয়তনয়না হূর দিবেন। আল্লাহ বলেনঃ ‘‘আমি জান্নাতীদেরকে হূরি‘ঈনদের সাথে জোড়া মিলিয়ে দিবো’’- (সূরা আদ্ দুখান ৪৪ : ৫৪)। অর্থাৎ বিয়ে দিয়ে দিবো। হূরি‘ঈন হলো অতীব উজ্জ্বল সাদা কালো মিশ্রিত, প্রশস্ত ও আনতচক্ষু বিশিষ্ট বা (ডাগর চক্ষু বিশিষ্ট) অত্যন্ত সুশ্রী, অন্যন্য সুন্দরী জান্নাতের নারী।
মু’মিন নেককার জান্নাতী বান্দাকে যদি তার দুনিয়ার স্ত্রী কষ্ট দেয় তখন তার জন্য নিযুক্ত জান্নাতের ঐ হূরী‘ঈন স্ত্রী তা জানতে পারে।
হে আল্লাহর বান্দা! আল্লাহ তোমাকে ধ্বংস করুন। তুমি তাকে কষ্ট দিও না। এখানে (قَاتَلَكِ اللّٰهُ)-এর ব্যাখ্যা হলো : «لَعَنَكِ عَنْ رَحْمَتِه وَأَبْعَدَكِ عَنْ جَنَّتِه» আল্লাহ তোমাকে তাঁর রহমাত থেকে বঞ্চিত করুন। এবং তাঁর জান্নাত থেকে দূরে রাখুন। সে তো সামান্য কয়দিনের মেহমানস্বরূপ তোমার নিকট গিয়েছে মাত্র, এরপর আমাদের নিকট ফিরে আসবে। তুমি তো তার প্রকৃত সঙ্গী নও, আমরাই তার প্রকৃত সঙ্গী, সুতরাং তোমরা তাকে কষ্ট দিও না।
অত্র হাদীস ও অন্যান্য হাদীসে যেখানে স্বামীর অবাধ্যচারীদের প্রতি মালায়িকার (ফেরেশতাদের) লা‘নাতের কথা বলা হয়েছে। এ জাতীয় হাদীস প্রমাণ করে যে, ‘‘মালা-য়ি আ‘লা-’’ বা ঊর্ধ্ব জগতের কিছু মালাক (ফেরেশতা) দুনিয়াবাসীর কাজকর্মের খবর রাখেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১১৭৪)