লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিয়ের ওয়ালী (অভিভাবক) এবং নারীর অনুমতি গ্রহণ প্রসঙ্গে
৩১২৭-[২] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রাপ্তবয়স্কা বা স্বামীহীনা নারী তার (বিয়ের অনুমতির) ব্যাপারে ওয়ালী থেকে বেশি অধিকার রাখে। আর কুমারী তার ব্যাপারে অনুমতির অধিকার রাখে এবং (বিয়েতে) নিরবতা তার অনুমতি।
অন্য বর্ণনায় আছে যে, বিবাহিতা (বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তা) তার (বিয়ের) ওয়ালী অপেক্ষা বেশি (কর্তৃত্বের) অধিকারিণী এবং কুমারীর সম্মতি নিতে হবে, তার নিরবতাই সম্মতি। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْوَلِىِّ فِى النِّكَاحِ وَاسْتِئْذَانِ الْمَرْأَةِ
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا وَالْبِكْرُ تَسْتَأْذِنُ فِي نَفْسِهَا وَإِذْنُهَا صِمَاتُهَا» . وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ: «الثَّيِّبُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا وَالْبِكْرُ تُسْتَأْمَرُ وَإِذْنُهَا سُكُوتُهَا» . وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ: «الثَّيِّبُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا وَالْبِكْرُ يَسْتَأْذِنُهَا أَبُوهَا فِي نَفْسِهَا وَإِذْنُهَا صِمَاتُهَا» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: ইমাম শাফি‘ঈ, ইবনু আবূ ইয়া‘লা, আহমাদ, ইসহক (রহঃ)-সহ অন্যান্য ‘উলামাগণ বলেন, বিবাহের ওয়ালী যদি বাবা কিংবা দাদা হয় তবে কুমারী মহিলা থেকে অনুমতি নেয়া মুস্তাহাব। যদি তার অনুমতি ছাড়াই বিবাহ দিয়ে দেয় তবে বিবাহ বিশুদ্ধ হবে। কারণ বাবা কিংবা দাদা তার প্রতি পূর্ণ স্নেহশীল। অন্যদিকে বাবা কিংবা দাদা ব্যতীত অন্য কেউ ওয়ালী হলে অনুমতি নেয়া ওয়াজিব, অনুমতি ছাড়া বিবাহ বিশুদ্ধ হবে না। তবে আওযা‘ঈ, আবূ হানীফাহ্ এবং কুফার ‘উলামাগণের মতে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কা কুমারী মহিলা থেকে বিবাহের অনুমতি নেয়া ওয়াজিব। অন্যদিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা কুমারী মহিলার চুপ থাকাই তার অনুমতি, এটি সকল কুমারী মহিলা ও ওয়ালী সবার জন্য প্রযোজ্য। আর কুমারী মহিলার নীরব থাকাই অনুমতির জন্য যথেষ্ট। কিন্তু স্বামী পরিত্যক্ত মহিলার ক্ষেত্রে মৌখিক অনুমতি জরুরী, ওয়ালী তার বাবা কিংবা অন্য যে কেউ হোক না কেন কারণ প্রথম বিবাহের ফলে তার পূর্ণ লজ্জাবোধ দূর হয়ে যায়। (শারহে মুসলিম ৯/১০ খন্ড, হাঃ ১৪২১; মিরকাতুল মাফাতীহ)