লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৪৩-[৬] কাতাদাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, একদিন মদীনায় (শত্রু আক্রমণের) চাঞ্চল্য দেখা দিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ ত্বলহাহ্ হতে একটি ঘোড়া ধার নিলেন, যার নাম ছিল ’মানদূব’ এবং অনুসন্ধানের জন্য তাতে আরোহণ করলেন। কিন্তু যখন ফিরে এলেন, তখন বললেন, আমি তো কিছু দেখলাম না; আর আমি এ ঘোড়াকে দ্রুতগামী হিসেবেই পেয়েছি। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْغَصْبِ وَالْعَارِيَةِ
وَعَن قَتَادَة قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ: كَانَ فَزَعٌ بِالْمَدِينَةِ فَاسْتَعَارَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَسًا مِنْ أَبِي طَلْحَةَ يُقَالُ لَهُ: الْمَنْدُوبُ فَرَكِبَ فَلَمَّا رَجَعَ قَالَ: «مَا رَأَيْنَا مِنْ شَيْءٍ وَإِن وَجَدْنَاهُ لبحرا»
ব্যাখ্যা: (مَا رَأَيْنَا مِنْ شَىْءٍ) ‘‘কিছুই দেখলাম না’’ অর্থাৎ আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু দেখতে পেলাম না। অথবা এর দ্বারা উদ্দেশ্য ঘোড়াটিকে যে ধীরগতিসম্পন্ন বলা হয়ে থাকে আমি এর মধ্যে তার কিছু দেখতে পেলাম না।
হাদীসটি প্রমাণ বহন করছে যে, প্রাণী ধার করা বৈধ, কথায় বৃদ্ধি করা এবং কোনো একটি অর্থের কারণে একটি বস্তুকে আরেকটি বস্তুর সাথে সাদৃশ্য দেয়া বৈধ যদিও তার সকল গুণাগুণ পূর্ণভাবে পাওয়া না যায়। প্রাণীসমূহের নাম রাখা বৈধ, আর প্রাণীসমূহের নাম রাখা ছিল তাদের অভ্যাস। এমনিভাবে যুদ্ধের সরঞ্জাম দ্রুত উপস্থিত করা যখন তা অনুসন্ধান করা হবে, যখন ধ্বংসের আশংকা না করবে তখন শত্রু বাহিনীর সংবাদ উন্মোচনে একাই মানুষের আগে বেড়িয়ে যাওয়া বৈধ। ভয় চলে যাওয়ার পর মানুষকে শুভ সংবাদ দেয়া মুস্তাহাব। এতে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বীরত্ব ও তাঁর অন্তরের শক্তির প্রকাশ। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
শারহে মুসলিম-এর বর্ণনাতে ২৩০৭ নং হাদীসে এসেছে, (وَكَانَ فَرَسًا يُبَطَّأ) অর্থাৎ- ঘোড়াটি পূর্বে ধীর-স্থিরে চলত। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মহা বারাকাতে ও মু’জিযাতে ঘোড়াটি দ্রুত চলতে থাকে যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্তি (وَجَدْنَاهُ لَبَحْرًا) দ্বারা বুঝা যায়।