২৮৪০

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়

২৮৪০-[৭] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর ফল পরিপক্ক হবার পূর্বে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। প্রশ্ন করা হলো, পরিপক্কতা কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ফল লাল হওয়া। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বলেছেন, আল্লাহর দেয়া কোনো বালা-মুসীবাতে যদি এ ফল নষ্ট হয়ে যায়, তবে মুসলিম ভাই (ক্রেতা) হতে কিসের বিনিময়ে মূল্যমান গ্রহণ করবে। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْمَنْهِىِّ عَنْهَا مِنَ الْبُيُوْعِ

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَن بيع الثِّمَارِ حَتَّى تَزْهَى قِيلَ: وَمَا تَزْهَى؟ قَالَ: حَتَّى تخمر وَقَالَ: «أَرَأَيْتَ إِذَا مَنَعَ اللَّهُ الثَّمَرَةَ بِمَ يَأْخُذ أحدكُم مَال أَخِيه؟»

ব্যাখ্যা: (حَتّٰى تَزْهٰى) ‘আল্লামা খত্ত্বাবী (রহঃ) বলেনঃ زها শব্দের অর্থ হলো ফলের উপরে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়া বা দীর্ঘ সময় গাছে থাকা এবং ফল পূর্ণতা লাভ করা। আর أُزْهٰى হলো ফল লাল বর্ণ ধারণ করা বা পেকে যাওয়া। নাসায়ী’র বর্ণনায় মালিক হতে বর্ণিত রয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, ফলের পরিপক্ক হওয়া কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, লাল বর্ণ হওয়া। ইমাম ত্বহাবী (রহঃ) অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ফল পরিপক্ক হওয়ার পর যদি ক্রয়-বিক্রয় হয় এবং বিক্রিত ফলে যদি ক্ষতি বা লোকসান পৌঁছে তবে ইমাম মালিক (রহঃ)-এর মতে সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ বাদ যাবে, অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশ মূল্য ফেরত দিতে হবে। ইমাম আহমাদ ও আবূ ‘উবায়দ (রহঃ)-এর মতে সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত দিতে হবে। তবে ইমাম শাফি‘ঈ-এর মতে, বিক্রেতার ওপর কোনো দায় বর্তাবে না। তারা বলেন যে, এক্ষেত্রে বিক্রেতার ওপর দায় তখনই বর্তাবে, যখন ফল পরিপক্ক হওয়ার পূর্বেই অকাট্য কোনো শর্ত ছাড়াই ক্রয়-বিক্রয় হবে। আল্লাহ তা‘আলাই ভালো জানেন। (ফাতহুল বারী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ২১৯৮)