লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ আত্মীয়তা অক্ষুন্ন রাখার গুরুত্ব
(১৭৪৯) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) এর স্ত্রী যায়নাব (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’হে মহিলাগণ! তোমরা সাদকাহ কর; যদিও তোমাদের অলংকার থেকে হয়।’’ যায়নাব (রাঃ) বলেন, সুতরাং আমি (আমার স্বামী) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) এর নিকট এসে বললাম, ’আপনি গরীব মানুষ, আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সাদকাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। অতএব আপনি তাঁর নিকট গিয়ে এ কথা জেনে আসুন যে, (আমি যে, আপনার উপর ও আমার তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত এতীমদের উপর খরচ করি তা) আমার পক্ষ থেকে সাদকাহ হিসাবে যথেষ্ট হবে কি? নাকি আপনাদেরকে বাদ দিয়ে আমি অন্যকে দান করব?’ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বললেন, ’বরং তুমিই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে জেনে এসো।’ সুতরাং আমি তাঁর নিকট গেলাম। দেখলাম, তাঁর দরজায় আরও একজন আনসারী মহিলা দাঁড়িয়ে আছে, তার প্রয়োজনও আমার প্রয়োজনের অনুরূপ।
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ভাবগম্ভীরতা দান করা হয়েছিল। (তাঁকে সকলেই ভয় করত।) ইতোমধ্যে বিলাল (রাঃ) কে আমাদের পাশ দিয়ে যেতে দেখে বললাম, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গিয়ে বলুন, ’দরজার কাছে দু’জন মহিলা আপনাকে জিজ্ঞাসা করছে যে, তারা যদি নিজ স্বামী ও তাদের তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত এতীমদের উপর খরচ করে, তাহলে তা সাদকাহ হিসাবে যথেষ্ট হবে কি? আর আমরা কে, সে কথা জানাবেন না।’ তিনি প্রবেশ ক’রে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তারা কে?’’ বিলাল (রাঃ) বললেন, ’এক আনসারী মহিলা ও যায়নাব।’ তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, কোন্ যায়নাব? বিলাল (রাঃ) উত্তর দিলেন, ’আব্দুল্লাহর স্ত্রী।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাদের জন্য দু’টি সওয়াব রয়েছে, আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখার সওয়াব এবং সাদকাহ করার সওয়াব।
وَعَن زَينَبَ الثَّقَفِيَّةِ امرَأَةِ عَبدِ اللهِ بنِ مَسعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَعَنهَا قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ تَصَدَّقْنَ يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ وَلَوْ مِنْ حُلِيِّكُنَّ قَالَتْ : فَرَجَعْتُ إِلَى عَبدِ اللهِ بنِ مَسعُودٍ فَقُلتُ لَهُ : إنَّكَ رَجُلٌ خَفِيفُ ذَاتِ اليَدِ وَإنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَدْ أمَرَنَا بِالصَّدَقَةِ فَأْتِهِ فَاسأَلهُ فإنْ كَانَ ذلِكَ يْجُزِئُُ عَنِّي وَإلاَّ صَرَفْتُهَا إِلَى غَيْرِكُمْ فَقَالَ عَبدُ اللهِ : بَلِ ائْتِيهِ أنتِ فانْطَلَقتُ فَإذَا امْرأةٌ مِنَ الأنْصارِ بِبَابِ رسولِ اللهِ ﷺ حَاجَتي حَاجَتُها وَكَانَ رَسُولُ الله ﷺ قَدْ أُلْقِيَتْ عَلَيهِ المَهَابَةُ فَخَرجَ عَلَيْنَا بِلاَلٌ فَقُلْنَا لَهُ : ائْتِ رَسُولَ اللهِ ﷺ فَأخْبِرْهُ أنَّ امْرَأتَيْنِ بِالبَابِ تَسألانِكَ : أُتُجْزِئُ الصَّدَقَةُ عَنْهُمَا عَلَى أزْواجِهمَا وَعَلَى أيْتَامٍ في حُجُورِهِما ؟ وَلاَ تُخْبِرْهُ مَنْ نَحْنُ فَدَخلَ بِلاَلٌ عَلَى رَسُولِ الله ﷺ فَسَأَلَهُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ هُمَا ؟ قَالَ : امْرَأةٌ مِنَ الأنْصَارِ وَزَيْنَبُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ أيُّ الزَّيَانِبِ هِيَ ؟ قَالَ : امْرَأةُ عَبدِ الله فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لَهُمَا أجْرَانِ : أجْرُ القَرَابَةِ وَأجْرُ الصَّدَقَةِ متفقٌ عليه