২২৯৯

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রীর শোক পালন

২২৯৯। হুমাইদ ইবনু নাফি’ (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। যাইনাব বিনতু আবূ সালামাহ (রাযি.) তাকে এ তিনটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। যাইনাব (রাযি.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী উম্মু হাবীবাহ (রাযি.)-এর পিতা আবূ সুফিয়ান (রাযি.) মারা গেলে আমি তার কাছে যাই। এ সময় উম্মু হাবীবাহ (রাযি.) হলুদ রং-এর সুগন্ধি বা অন্য কিছুর জন্য ডাকলেন। সেটা দিয়ে একটি বালিকাকে সুগন্ধি মাখলেন এবং তার গাল স্পর্শ করলেন। অতঃপর বললেন, আল্লাহর শপথ! আমার কোনো সুগন্ধির প্রয়োজন ছিলো না।

আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে নারী আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে তার পক্ষে মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের অধিক শোক পালন বৈধ নয়। কিন্তু স্ত্রী স্বীয় স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে। যাইনাব (রাযি.) বলেন, অতঃপর যাইনাব বিনুত জাহশের ভাই মারা গেলে আমি তার ঘরে প্রবেশ করি। তিনি সুগন্ধি নিয়ে আহবান করলেন এবং তা লাগিয়ে বললেন, আল্লাহর শপথ! আমার সুগন্ধির কোনো দরকার ছিলো না। শুধু এজন্যই ব্যবহার করলাম যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ যে মহিলা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে তার পক্ষে মৃতের জন্য তিন দিনের অধিক শোক পালন করা বৈধ নয়। স্ত্রী কেবল তার স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।

যাইনাব (রহ.) বলেন, আমি আমার মা উম্মু সালামাহ (রাযি.)-কে বলতে শুনেছি, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এক মহিলা এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার কন্যার স্বামী মারা গেছে এবং কন্যার চোখের রোগ ধরেছে। আমরা কি তার চোখে সুরমা লাগিয়ে দিবো? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না। মহিলাটি দুই অথবা তিনবার জিজ্ঞেস করলো আর তিনি প্রতিবারই না বললেন। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে চার মাস দশ দিন অপেক্ষা করবে।

অথচ জাহিলী যুগে তোমাদের কোনো নারীকে এক বছর ইদ্দাত পালন করতে হতো, অতঃপর পায়খানা নিক্ষেপ করে পবিত্র হতো। হুমাইদ (রহ.) বলেন, আমি যাইনাবকে জিজ্ঞেস করি, বছর শেষে পায়খানা নিক্ষেপের অর্থ কি? যাইনাব বলেন, জাহিলী যুগে কোনো নারীর স্বামী মারা গেলে সে একটি কুড়ে ঘরে প্রবেশ করতো এবং খুবই মন্দ পোশাক পড়তো, কোনো সুগন্ধি মাখতো না। এভাবে সে এক বছর অতিবাহিত করতো। অতঃপর তার কাছে চতুস্পদ জন্তু, যেমন গাধা, বকরী বা পাখি আনা হতো। সে তার গায়ে বুলাতো, সে যেটার গায়ে হাত বুলাতো সেটা কমই জীবিত থাকতো। অতঃপর মহিলাকে বের করে এনে কিছু পায়খানা দেয়া হতো। সে তা নিক্ষেপ করতো। তারপর সে যে কোনো কাজ, যেমন সুগন্ধি ব্যবহার ইত্যাদি করতো। ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, ’আল-হাফশ’ অর্থ সংকীর্ণ ঘর।[1]

সহীহ।

بَابُ إِحْدَادِ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ بِهَذِهِ الْأَحَادِيثِ الثَّلَاثَةِ، قَالَتْ زَيْنَبُ: دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ حِينَ تُوُفِّيَ أَبُوهَا أَبُو سُفْيَانَ، فَدَعَتْ بِطِيبٍ فِيهِ صُفْرَةٌ خَلُوقٌ أَوْ غَيْرُهُ، فَدَهَنَتْ مِنْهُ جَارِيَةً، ثُمَّ مَسَّتْ بِعَارِضَيْهَا، ثُمَّ قَالَتْ: وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ، إِلَّا عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا قَالَتْ زَيْنَبُ: وَدَخَلْتُ عَلَى زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ حِينَ تُوُفِّيَ أَخُوهَا فَدَعَتْ بِطِيبٍ فَمَسَّتْ مِنْهُ، ثُمَّ قَالَتْ: وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ: لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ، إِلَّا عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا قَالَتْ زَيْنَبُ: وَسَمِعْتُ أُمِّي أُمَّ سَلَمَةَ تَقُولُ: جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ ابْنَتِي تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا، وَقَدِ اشْتَكَتْ عَيْنَهَا أَفَنَكْحَلُهَا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا، مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا كُلُّ ذَلِكَ، يَقُولُ: لَا، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّمَا هِيَ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرٌ، وَقَدْ كَانَتْ إِحْدَاكُنَّ فِي الْجَاهِلِيَّةِ تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عَلَى رَأْسِ الْحَوْلِ، قَالَ حُمَيْدٌ: فَقُلْتُ لِزَيْنَبَ: وَمَا تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عَلَى رَأْسِ الْحَوْلِ؟ فَقَالَتْ زَيْنَبُ: كَانَتِ الْمَرْأَةُ إِذَا تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا دَخَلَتْ حِفْشًا، وَلَبِسَتْ شَرَّ ثِيَابِهَا، وَلَمْ تَمَسَّ طِيبًا وَلَا شَيْئًا، حَتَّى تَمُرَّ بِهَا سَنَةٌ، ثُمَّ تُؤْتَى بِدَابَّةٍ حِمَارٍ أَوْ شَاةٍ أَوْ طَائِرٍ فَتَفْتَضُّ بِهِ، فَقَلَّمَا تَفْتَضُّ بِشَيْءٍ إِلَّا مَاتَ، ثُمَّ تَخْرُجُ فَتُعْطَى بَعْرَةً فَتَرْمِي بِهَا، ثُمَّ تُرَاجِعُ بَعْدُ مَا شَاءَتْ مِنْ طِيبٍ أَوْ غَيْرِهِ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: الْحِفْشُ: بَيْتٌ صَغِيرٌ صحيح


Humaid ibn Nafi' reported the following three traditions on the authority of Zaynab, daughter of Abu Salamah: Zainab said: I visited Umm Habibah when her father AbuSufyan, died. She asked for some yellow perfume containing saffron (khaluq) or something else. Then she applied it to a girl and touched her cheeks. She said: I have no need of perfume, but I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: It is not lawful for a woman who believes in Allah and the Last Day to observe mourning for one who has died, more than three nights, except for four months and ten days in the case of a husband. Zaynab said: I also visited Zaynab, daughter of Jahsh, when her brother died. She asked for some perfume and used it upon herself. She then said: I have no need of perfume, but I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say when he was on the pulpit: It is not lawful for a woman who believes in Allah and the Last Day to observe mourning for one who has died, more than three nights, except for four months and ten days in the case of a husband. Zaynab said: I heard my mother, Umm Salamah, say: A woman came to the Messenger of Allah (ﷺ) and said: Messenger of Allah, the husband of my daughter has died, and she is suffering from sore eyes; may we put antimony in her eyes? The Messenger of Allah (ﷺ) said: No. He said this twice or thrice. Each time he said: No. The Messenger of Allah (ﷺ) said: The waiting period is now four months and ten days. In pre-Islamic days one of you used to throw away a piece of dung at the end of a year. Humayd said: I asked Zaynab: What do you mean by throwing away a piece of dung at the end of a year. Zaynab replied: When the husband of a woman died, she entered a small cell and put on shabby clothes, not touching perfume or any other thing until a year passed. Then an animal such as donkey or sheep or bird was provided for her. She rubbed herself with it. The animal with which she rubbed herself rarely survived. She then came out and was given a piece of dung which she threw away. She then used perfume or something else which she desired. Abu Dawud said: The Arabic word "hafsh" means a small cell.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ