লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৪৯-[২২] যুবায়র ইবনুল ’আও্ওয়াম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ওয়াজ্জ-এর শিকার করা ও এর কাঁটাযুক্ত গাছ কেটে ফেলা আল্লাহর পক্ষ থেকে হারাম করা হারাম। [আবূ দাঊদ; মুহয়্যিইউস্ সুন্নাহ্ বলেন, وَجٌّ (ওয়াজ্জ) হলো ত্বয়িফের একটি অঞ্চল। ইমাম খাত্ত্বাবী (রহঃ) أَنَّهَا এর স্থলে إِنَّه বলেছেন।][1]
وَعَنِ الزُّبَيْرِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ صَيْدَ وَجٍّ وَعِضَاهَهُ حِرْمٌ مُحَرَّمٌ لِلَّهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ مُحْيِي السُّنَّةِ: «وَجٌّ» ذَكَرُوا أَنَّهَا مِنْ نَاحِيَةِ الطَّائِف وَقَالَ الْخطابِيّ: «إِنَّه» بدل «إِنَّهَا»
ব্যাখ্যা: (وَجٌّ) ‘‘ওয়াজ্জ’’ হলো ত্বয়িফ কিংবা ত্বয়িফের একটি এলাকা, কেউ বলেছেন ত্বয়িফের একটি দূর্গের নাম ‘‘ওয়াজ্জ’’। ইমাম শাফি‘ঈর একদল অনুসারী এখানকার শিকার ধরা ও বৃক্ষ কর্তন মাকরূহ মনে করেন। এদেরই আরেকদল মাকরূহ তো মনে করেনই সেটা মাকরূহে তাহরীমী। তারা বলেন, ইমাম শাফি‘ঈ এটাকে যে মাকরূহ মনে করতেন সেটা মাকরূহে তাহরীমীই।
ত্বয়িফের এ ‘‘ওয়াজ্জ’’ নামক স্থানের শিকার ও বৃক্ষ কর্তনের নিষিদ্ধতা কি স্থায়ী, না সাময়িক? এ প্রশ্নের উত্তরে ‘উলামাগণ বলেছেন, এ নিষিদ্ধতা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছিল। অতঃপর নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। জানা যায় একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সেনাগণ ত্বয়িফ অবরোধ করেছিল এ সময় অন্য সর্বসাধারণের জন্য শিকার ইত্যাদি নিষেধ করা হয়েছিল, যাতে সেনাদের শিকার ধরা সহজসাধ্য হয়।