লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২২৩৩-[১১] সালমান আল ফারিসী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু’আ ছাড়া অন্য কিছুই তাকদীদের লিখনকে পরিবর্তন করতে পারে না এবং নেক ’আমল ছাড়া অন্য কিছু বয়স বাড়াতে পারে না। (তিরমিযী)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
وَعَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَرُدُّ الْقَضَاءَ إِلَّا الدُّعَاءُ وَلَا يَزِيدُ فِي الْعُمْرِ إِلَّا الْبر» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: মুল্লা ‘আলী কারী হানাফী (রহঃ) বলেন, হাদীসের ‘কাযা’ শব্দের অর্থ হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে ফায়সালাকৃত বিষয়। আর হাদীসটির ব্যাখ্যা হলো যেই আল্লাহ তাকদীর নির্ধারণ করেছেন সেই আল্লাহই তার তাকদীরে লিখে রেখেছেন এখন সে দু‘আ করবে আর দু‘আর মাধ্যমে তার মুসীবাত দূর হয়ে যাবে।
(وَلَا يَزِيدُ فِى الْعُمْرِ إِلَّا الْبر) এর ব্যাখ্যায় অনেক বিদ্বান অনেক ধরনের মূল্যবান মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন যে, তাকে অল্প সময়ে এত পরিমাণ ভাল কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে যা অনেক বেশি পরিমাণ সময় নিয়েও অনেকে করতে পারে না। অন্যথায় মানুষের আয়ু যে নির্ধারিত, এটা আল্লাহ পবিত্র কুরআনে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ বলেন,
وَمَا يُعَمَّرُ مِنْ مُعَمَّرٍ وَلَا يُنْقَصُ مِنْ عُمُرِه إِلَّا فِىْ كِتَابٍ
‘‘কোন দীর্ঘায়ুর আয়ু দীর্ঘ করা হয় না, আর তার আয়ু কমানো হয় না কিতাবের লিখন ছাড়া।’’ (সূরা আল ফা-ত্বির ৩৫ : ১১)
মহান আল্লাহ আরো বলেন,
يَمْحُو اللَّهُ مَا يَشَآءُ وَيُثْبِتُ وَعِنْدَهٗ أُمُّ الْكِتَابِ
‘‘আল্লাহ যা ইচ্ছে করেন নিশ্চিহ্ন করে দেন আর যা ইচ্ছে প্রতিষ্ঠিত রাখেন, উম্মুল কিতাব তাঁর নিকটই রক্ষিত।’’ (সূরা আর্ র‘দ ১৩ : ৩৯)
মহান আল্লাহ অন্যত্র বলেন,
فَإِذَا جَآءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُوْنَ سَاعَةً وَّلَا يَسْتَقْدِمُوْنَ
‘‘তাদের নির্ধারিত সময় যখন এসে যাবে তখন এক মুহূর্তকাল পশ্চাৎ-অগ্র হবে না।’’ (সূরা আল আ‘রাফ ৭ : ৩৪)
মোট কথা হলো, তাকদীর দু’প্রকারঃ
১. المعلق বা যা পরিবর্তনশীল।
২. المبرم যা অপরিবর্তনশীল।
المعلق টি দু‘আ বা সৎ ‘আমলের মাধ্যমে পরিবর্তন হতে পারে। তবে المبرم টি কোন সময়ে পরিবর্তন হয় না। এমনটা মতামত ‘উলামায়ে কিরামের।