২১১৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২১১৯-[১১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের ঘরগুলোকে কবরস্থানে পরিণত করো না। (এগুলোতে কুরআন তিলাওয়াত করো) কারণ যেসব ঘরে সূরা আল বাকারাহ্ তিলাওয়াত করা হয় সে ঘর হতে শয়তান ভেগে যায়। (মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَجْعَلُوا بِيُوتَكُمْ مَقَابِرَ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْفِرُ من الْبَيْت الَّذِي يقْرَأ فِيهِ سُورَة الْبَقَرَة» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: ‘‘তোমাদের ঘরগুলোকে কবর স্থানে পরিণত করো না’’ এর অর্থ হলো কবরগুলো যেমন সালাত, জিকির-আযকার ‘ইবাদাতহীন জায়গা, তোমাদের ঘর বাড়িগুলোতে নফল সালাত, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির আযকার ইত্যাদি আদায় না করে ঐ রূপ কবরস্থানের ন্যায় করে রেখ না। বরং বাড়িতে নিয়মিত নফল সালাত কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি আদায়ের মাধ্যমে ‘ইবাদাতের স্থানে পরিণত কর।

এ হাদীসে বলা হয়েছে সূরা আল বাকারাহ্ যে ঘরে তিলাওয়াত করা হয় সে ঘর থেকে শয়তান পালায়। তিরমিযীর এক বর্ণনায় এসেছে, শয়তান সে ঘরে প্রবেশ করতে পারে না।

ইবনু হিব্বান-এর এক বর্ণনায় এসেছে, রাতে যে ঘরে সূরা আল বাকারাহ্ তিলাওয়াত করা হয় তিন রাত পর্যন্ত শয়তান সে ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। আর দিনে তিলাওয়াত করলে তিন দিন পর্যন্ত শয়তান সে ঘরে প্রবেশ করতে পারে না।

সূরা আল বাকারাহ্’র এ বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও ফাযীলাত এর বৃহত্তের কারণে এবং এ সূরার মধ্যে আল্লাহর নামসমূহ বেশি ব্যবহার হওয়ার কারণে। আর এ সূরাতে দীনের আহকাম বেশি আছে সে কারণেও। বলা হয় এতে এক হাজার আদেশ এক হাজার নিষেধ, এক হাজার হুকুম এবং এক হাজার খবর রয়েছে।