২০১৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা

২০১৪-[১৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অনেক সায়িম এমন আছে যারা তাদের সওম দ্বারা ’ক্ষুধার্ত থাকা ছাড়া’ আর কোন ফল লাভ করতে পারে না। এমন অনেক কিয়ামরত (দন্ডায়মান) ব্যক্তি আছে যাদের রাতের ’ইবাদাত নিশি জাগরণ ছাড়া আর কোন ফল আনতে পারে না। (দারিমী)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَمْ مِنْ صَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ صِيَامِهِ إِلَّا الظَّمَأُ وَكَمْ مِنْ قَائِمٍ لَيْسَ لَهُ من قِيَامه إِلَّا السهر» . رَوَاهُ الدَّارمِيّ

ব্যাখ্যা: (لَيْسَ لَهُ مِنْ صِيَامِهِ إِلَّا الظَّمَأُ) ‘‘তার সিয়াম দ্বারা ক্ষুধা ও পিপাসার কষ্ট ব্যতীত কিছুই অর্জিত হয় না।’’ অর্থাৎ- আল্লাহ তা‘আলার নিকট তার সিয়াম কবূল হয় না, ফলে এ সিয়াম দ্বারা তার কোন সাওয়াব অর্জিত হয় না। যদিও ‘আলিমদের মতে তাঁর ওপর ফরযের দায়িত্ব থেকে সে মু্ক্ত হবে।

ইমাম ত্বীবী বলেনঃ সিয়াম পালনকারী যদি সাওয়াবের আশায় সিয়াম পালন না করে, অথবা অশ্লীল কাজ, মিথ্যা কথা, অপবাদ ও গীবত থেকে বিরত না থাকে, তাহলে ঐ সিয়াম পালনকারীর জন্য ক্ষুধা ও পিপাসা ছাড়া আর কিছুই অর্জিত হয় না। এটা শুধুমাত্র সিয়ামের ক্ষেত্রে নয় বরং সকল ‘ইবাদাতের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অর্থাৎ- যদি ‘ইবাদাতকারী নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ‘ইবাদাত না করে তবে তা রিয়ায় পরিণত হয়। যদিও এ রকম ‘ইবাদাত দ্বারা কাযা করা থেকে রেহাই পাওয়া যায় কিন্তু তা দ্বারা কোন পুরস্কার বা সাওয়াব অর্জিত হয় না।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ