লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ক্বিয়ামুল লায়ল-এর প্রতি উৎসাহ দান
১২৩৫-[১৭] ’উসমান ইবনু আবুল ’আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ দাঊদ (আঃ)-এর জন্যে রাত্রের (শেষাংশের একটি) সময় নির্ধারিত ছিল। যে সময়ে তিনি নিজের পরিবারের সদস্যদেরকে উঠাতেন। তিনি বলতেন, হে দাঊদের পরিবারের লোকেরা! (ঘুম থেকে) জাগো এবং সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় কর। কারণ এটা এমন এক মুহূর্ত, যে সময় আল্লাহ তা’আলা দু’আ কবূল করেন। কিন্তু জাদুকর ও ছিনতাইকারীর দু’আ কবূল হয় না। (আহমাদ)[1]
وَعَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم يَقُول: كَانَ لِدَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنَ اللَّيْلِ سَاعَةٌ يُوقِظُ فِيهَا أَهْلَهُ يَقُولُ: يَا آلَ دَاوُدَ قُومُوا فَصَلُّوا فَإِنَّ هَذِهِ سَاعَةٌ يَسْتَجِيبُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيهَا الدُّعَاءَ إِلَّا لِسَاحِرٍ أَوْ عشار . رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যা: দাঊদ (আঃ) রাতের কোন সময়টিতে তার পরিবারের লোকদের জাগিয়ে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ের নির্দেশ দিতেন তা অস্পষ্ট। কিন্তু ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস-এর হাদীসে পাওয়া যায় যে, তিনি অর্ধরাত্রি ঘুমাতেন এবং এক তৃতীয়াংশ সালাত আদায় করতেন। সুতরাং তিনি যে সময় সালাত আদায় করতেন সেই সময়ই লোকজনকে জাগাতেন। এ সময়টি দু‘আ কবূলের একটি মোক্ষম সময়, এই দু‘আ বলতে আলাদা কোন দু‘আর মুনাজাতও হতে পারে আবার মুখ্য সালাতও হতে পারে। কেননা বান্দার পুরো সালতটাই তো দু‘আ। কারণ সানা পাঠ এটা একটি দু‘আ, ক্বিয়ামটা মাওলার দরবারে কিছু পাওয়ার জন্য ধর্ণা ধরা ও আরজী পেশ করা। রসূলের ওপর সালাত বা দরূদটা দু‘আ এবং সর্বশেষে দু‘আ মাসূরাসমূহ দ্বারাই তার পরিসমাপ্তি। এরপর সালামান্তে দু‘আ তো আছেই।
আশশার বলা হয় জাহিলী যুগের রীতি পদ্বতিতে মানুষের সম্পদ থেকে ওশর গ্রহণকারী। তারা আল্লাহর নির্ধারিত বিধান পরিত্যাগ করে নিজেদের ইচ্ছামত যে কোন সম্পদের উপর ধার্য করত এবং প্রজাসাধারণ থেকে তা ছিনিয়ে নিত। কিন্তু আল্লাহর বিধান মতো ওশর আদায়কারী এ হুকুমের অন্তর্ভুক্ত হবে না। সে যদি বাড়াবাড়ী বা সীমালঙ্ঘন না করে তবে সেটা বরং উত্তম কাজ, অনেক সাহাবী নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট খলীফাগণের নিকট ওশর আদায় করে প্রেরণ করতেন। হাদীসে এ নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে যেহেতু ওশর সংশ্লিষ্ট অংশ তারা বিধি বহির্ভূতভাবে গ্রহণ করত। এতে তারা কখনো এক চতুর্থাংশ কখনো অর্ধাংশ ওশর গ্রহণ করত। আবার যিম্মীদের নিকট থেকেও ওশর উত্তোলন করত। কেউ কেউ বলেন, এর অর্থ হলো ব্যবসায়িক মালের অংশগ্রহণ করা। কেউ বলেছেনঃ এটা নির্দিষ্ট পণ্য সামগ্রীর উপর রাষ্ট্রীয় ভ্যাটের ন্যয় এক প্রকার কর বিশেষ।