লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৪৮-[২৭] ’উক্ববাহ্ ইবনু ’আমির (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উটের নাকশী ধরে ধরে সামনের দিকে চলতাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, হে ’উক্ববাহ্! আমি কি তোমাকে পাঠ করার মতো দু’টি উত্তম সূরাহ্ শিক্ষা দিব? তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে ’’কুল আ’ঊযু বিরব্বিল ফালাক্ব’’ (সূরাহ্ ফালাক্ব) ও ’’কুল আ’ঊযু বিরব্বিননা-স’’ (সূরাহ্ আন্ না-স) শিখালেন। কিন্তু এতে আমি খুব খুশী হয়েছি বলে তিনি মনে করলেন না। পরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফাজ্রের (ফজরের) সালাতের জন্য উট হতে নামলেন। এ দু’টি সূরাহ্ দিয়েই আমাদেরকে সালাত আদায় করালেন। সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, কি দেখলে হে ’উক্ববাহ্। (আহমাদ, আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]
وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: كُنْتُ أَقُودُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَاقَتَهُ فِي السَّفَرِ فَقَالَ لِي: «يَا عُقْبَةُ أَلَا أُعَلِّمُكَ خَيْرَ سُورَتَيْنِ قُرِئَتَا؟» فَعَلَّمَنِي (قُلْ أَعُوذُ بِرَبّ الفلق) و (قل أَعُود بِرَبّ النَّاس) قَالَ: فَلَمْ يَرَنِي سَرَرْتُ بِهِمَا جَدًّا فَلَمَّا نَزَلَ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ صَلَّى بِهِمَا صَلَاةَ الصُّبْحِ لِلنَّاسِ فَلَمَّا فَرَغَ الْتَفَتَ إِلَيَّ فَقَالَ: «يَا عُقْبَةَ كَيْفَ رَأَيْتَ؟» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
ব্যাখ্যা: সূরাদ্বয়ের অনেক মর্যাদা রয়েছে। অকল্যাণ হতে রক্ষা এবং আল্লাহরর স্মরণ লাভের জন্যে বিশেষভাবে দু’টি সূরাই অতি উত্তম। বর্ণিত আছে যে, একদা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক যাদুকরের যাদুটোনায় আক্রান্ত হলে জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে এ সূরাদ্বয় পাঠ করলেন। সূরাদ্বয়ে এগারটি আয়াত রয়েছে। এগারটি আয়াতে এগারটি যাদুটোনার গিরা খুলে যায়। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাদুটোনার ক্ষতি হতে রক্ষা পান, এখনও সূরাদ্বয় পাঠ করলে যে কোন যাদুটোনা জাতীয় জিনিসের ক্ষতি হতে মুক্তি পাওয়া যায়।