লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮২২-[১] ’উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাতে সূরাহ্ ফাতিহাহ্ পাঠ করেনি তার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) হলো না। (বুখারী ও মুসলিম;[1]
মুসলিম-এর অপর এক বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি উম্মুল কুরআন বা তার বেশি কিছু পড়েনি।
بَابُ الْقِرَاءَةِ فِى الصَّلَاةِ
عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا صَلَاةَ لمن لم يقْرَأ بِفَاتِحَة الْكتاب» وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ: «لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِأُمِّ الْقُرْآن فَصَاعِدا»
ব্যাখ্যা: ইবনু জারীর তাঁর তাফসীর গ্রন্থে বলেছেনঃ সূরাহ্ আল ফাতিহাকে ফাতিহাহ্ নাম দেয়া হয়েছে কেননা ফাতিহাহ্ শব্দের অর্থ উন্মুক্তকারী আর এ কিতাবকে শুরু করা হয় ফাতিহাহ্ দ্বারা। সেটা দিয়ে সালাতে ক্বিরাআত (কিরআত) পড়া হয়। তাকে কুরআনের জননীও বলা হয়। যেমন মা থেকে যা আসে তা সব তার পরে হয়ে থাকে। মায়ের অস্তিত্ব তার সন্তানের আগে হয়ে থাকে তদ্রূপ সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্’র অবস্থা, উম্মুল কুরআন শব্দটি ফাতিহাতুল কিতাবের সাথে যথেষ্ট মিলও পাওয়া যায়। এ হাদীসটি প্রমাণ করছে যে, সালাতে সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ পড়া ফরয। যে ব্যক্তি সালাতে সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ পড়েনি তার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শুদ্ধ হবে না।
‘আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীস সালাতের মধ্যে ফাতিহাকে নির্ধারিত করার ব্যাপারে নির্দেশ করছে। কেননা ফাতিহাহ্ ছাড়া সালাত যথেষ্ট হবে না।
সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ পড়ার হুকুম:
সালাতে সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ পড়া ফরয না ওয়াজিব- এ নিয়ে ইমামগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ইমাম আহমাদ, শাফি‘ঈ (রহঃ)-এর প্রসিদ্ধ মতে সালাতে সূরায় ফাতিহাহ্ পড়া ফরয। তারা আলোচ্য হাদীসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। হাদীসে না-বাচক উক্তি দ্বারা নাজায়িয হওয়ার অর্থ গ্রহণ করেছেন। কারণ ফরয পরিত্যক্ত হলেই সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) নাজায়িয হয়।
ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-এর মতে সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ পড়া ওয়াজিব। দলীল রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক বেদুঈনকে শিক্ষা দেয়ার সময় বলেছিলেন কুরআন মাজীদের যেখান থেকেই তুমি পাঠ করা সহজ মনে করো সেখান থেকেই পাঠ করো। এজন্যে হানাফীগত বিশেষ কোন সূরাকে নির্দিষ্ট না করে ক্বিরাআত (কিরআত) পাঠকে ফরয বলেছেন এবং হাদীস দ্বারা তারা সূরাহ্ আল ফাতিহাকে ওয়াজিব বলেছেন। যাতে কুরআন ও হাদীসের মাঝে কোন বৈপরীত্য না থাকে।