লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - সাত্র (সতর)
৭৫৮-[৫] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আয়িশাহ্ সিদ্দীক্বা (রাঃ)-এর একটি পর্দার কাপড় ছিল। সেটি দিয়ে তিনি ঘরের একদিকে ঢেকে রেখেছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তোমার এ পর্দাখানি এখান থেকে সরিয়ে ফেল। কারণ এর ছবিগুলো সব সময় সালাতে আমার চোখে পড়তে থাকে। (বুখারী)[1]
بَابُ السَّتْرِ
وَعَن أنس قَالَ: كَانَ قِرَامٌ لِعَائِشَةَ سَتَرَتْ بِهِ جَانِبَ بَيْتِهَا فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمِيطِي عَنَّا قِرَامَكِ هَذَا فَإِنَّهُ لَا يَزَالُ تَصَاوِيرُهُ تَعْرِضُ لِي فِي صَلَاتِي» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্য: এ হাদীস প্রমাণ করে যে, মুসল্লীকে সালাতে গোলযোগ বা বিশৃঙ্খলা বা বিঘ্ন সৃষ্টিকারী যে কোন জিনিস দূর করতে হবে। হোক সেটা তার বাড়িতে আর সালাতের স্থানে। তবে এখানে এর কারণে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বাতিল বা নষ্ট হওয়া প্রমাণিত হয় না। কেননা এ ঘটনার পর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঐ সালাত পুনরায় আদায় করতে কিংবা সালাত ছেড়ে দিতে দেখা যায়নি। হ্যাঁ সালাতের একাগ্রতা নষ্টকারী বা অন্তরকে ব্যাস্ত করার কারণ যখন পাওয়া যাবে তখন তা সালাতকে মাকরূহ করবে।
আবার আলোচ্য এ হাদীস প্রমাণ করে যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা অনুমোদন দিয়েছেন এবং সে ঘরে তিনি সালাত আদায় করেছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, যে হাদীসে তিনি পর্দা সরাতে আদেশ দিয়েছেন। সেখানে তা এ জন্য যে, সেটা সালাতরত অবস্থায় ছবি দেখা গিয়েছিল। পর্দায় ছবি থাকা মূল কারণ নয়।