৬৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান

৬৫৯-[৬] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আযান শুনে (ও এর উত্তর দেয়ার ও দরূদ পড়ার পর) এ দু’আ পড়ে, তার জন্য সুপারিশ করা আমার অবশ্য করণীয় হয়ে পড়ে। দু’আ হলোঃ ’’আল্লা-হুম্মা রব্বা হা-যিহিদ্ দা’ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি ওয়াস্ সলা-তিল ক্ব-য়িমাতি আ-তি মুহাম্মাদা-নিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাযীলাহ্, ওয়াব্’আসহু মাক্বা-মাম্ মাহমূদা-নিল্লাযী ওয়া’আদতাহ্’’ [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! এ পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের প্রভু! তুমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দান কর ওয়াসীলা; সুমহান মর্যাদা ও প্রশংসিত স্থানে পৌঁছাও তাঁকে (মাক্বামে মাহমূদে), যার ওয়া’দা তুমি তাঁকে দিয়েছ।] কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন তার জন্য আমার শাফা’আত আবশ্যকীয়ভাবে হবে। (বুখারী)[1]

بَابُ فَضْلِ الْاَذَانِ وَاِجَابَةِ الْـمُؤَذِّنِ

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ حَلَّتْ لَهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَة» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: ‘‘যখন আযান শেষ হবে’’ এখানে শেষ হওয়ার সাধারণ অর্থ হলো, আযান যখন পূর্ণ হয়। আর এর প্রমাণ ‘আবদুল্লাহ ইবনে ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) এর বর্ণিত হাদীস। আযান শেষ হলে আযানের দু‘আ পড়বে।

* ইমাম হাফিয (রহঃ)-এর মতে উক্ত দু‘আর মধ্যকার দা‘ওয়াত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- একত্ববাদের দিকে ডাকা। যে আহবানের মধ্যে কোন শির্ক নেই। এ প্রসঙ্গে কুরআন মাজীদের ১৩নং সূরা্হ আর্ রা‘দ এর ১৪নং আয়াতে বলা হয়েছে لَهٗ دَعْوَةُ الْحَقِّ অর্থাৎ- তার জন্যই সত্যের দিকে আহবান করা।

* উক্ত দু‘আর একটি অংশ ‘‘ওয়াস্ সলা-তিল ক্ব-য়িমাহ্’’ এর উদ্দেশ্য হল- ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) পর্যন্ত এ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ক্বায়িম থাকবে। কোন দল বা কোন শারী‘আত একে রহিত করতে পারবে না। অর্থাৎ- আল্লাহ ও তার রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক যে সকল সালাত প্রতিষ্ঠিত তা ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) দিবস পর্যন্ত স্থির থাকবে।

* আর ওয়াসীলা হলো- জান্নাতের একটি নির্দিষ্ট স্থানের নাম। যা একমাত্র রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য নির্দিষ্ট।

* আলোচ্য হাদীসে ফাযীলাহ্ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সম্মানের অতিরিক্ত পর্যায় যা সমগ্র সৃষ্টিকূলের মধ্যে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কেই প্রদান করা হয়েছে।

আল্লাহ তা‘আলা তার রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য প্রশংসিত উঁচু স্থান নির্ধারণ করেছেন। এ মর্মে আল কুরআনের ১৭নং সূরার ৭৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে- عَسى أَنْ يَّبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَّحْمُوْدًا

অর্থাৎ- উপরে বর্ণিত দু‘আ পড়লে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুপারিশ ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) দিবসে পাওয়া যাবে। এ মর্মে তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও ইবনে মাজাহ-তে হাদীস বর্ণিত হয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ