লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায়
৫৯৩-[৭] উক্ত রাবী (আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এটা (’আসরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) দেরী করে আদায়) মুনাফিক্বের সালাত। তারা বসে বসে সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে। সূর্যের হলদে রং এবং শায়ত্বনের (শয়তানের) দু’ শিং-এর মধ্যস্থলে গেলে (সূর্যাস্তের সময়ে) তারা তাড়াতাড়ি উঠে চার ঠোকর মারে। এতে তারা আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে। (মুসলিম)[1]
بَابُ تَعْجِيْلِ الصَّلَوَاتِ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تِلْكَ صَلَاةُ الْمُنَافِقِ: يَجْلِسُ يَرْقُبُ الشَّمْسَ حَتَّى إِذَا اصْفَرَّتْ وَكَانَتْ بَيْنَ قَرْنَيِ الشَّيْطَانِ قَامَ فَنَقَرَ أَرْبَعًا لَا يَذْكُرُ اللَّهَ فِيهَا إِلَّا قَلِيلا . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: যখন ‘আসরের সালাতকে সূর্য হলুদ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত বিলম্বিত করা হয় তখন সে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) মুনাফিক্বের সালাতের মতই। মুনাফিক্ব সালাতের মর্ম অনুধাবন করে না বরং শুধু তরবারির শাস্তির হাত থেকে বাঁচার জন্য আদায় করে। মুসলিমের জন্য উচিত মুনাফিক্বের বিরোধিতা করা। মুনাফিক্ব বসে থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার অপেক্ষা করে। ইমাম নাবাবী বলেন, হাদীসে মধ্যে কোন ওযর ছাড়া ‘আসরের সালাতকে বিলম্বিত করার নিন্দা করা হয়েছে। এর মধ্যখানে আসা মানে শায়ত্বনের (শয়তানের) মাথার পাশে আসা। সময়টা সূর্য অস্ত যাওয়ার নিকটবর্তী। এটা এজন্য বলা হয়েছে যে, সূর্য উদয়, মাথার উপরে থাকা ও অস্ত যাওয়ার সময় শায়ত্বনের (শয়তানের) সামনে বসে। যাতে করে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত শায়ত্বনের (শয়তানের) দু’ শিং-এর মাঝখান দিয়ে হয়। এ হাদীসে ঐ ব্যক্তির নিন্দা করা হয়েছে, যে খুব দ্রুত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে এমনকি সে সালাতে ভীত-সন্ত্রস্ততা, প্রশান্তি ও যিকর-দু‘আ পূর্ণাঙ্গরূপে থাকে না।