লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯১-[৫২] ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা একটি উদাহরণ পেশ করেছেন। তা হলো একটি সরল সঠিক পথ আছে, এর দু’দিকে দু’টি দেয়াল। এসব দেয়ালে খোলা দরজা রয়েছে এবং সে সব দরজায় পর্দা ঝুলানো রয়েছে। আর রাস্তার মাথায় একজন আহবায়ক, যে (লোকেদেরকে) আহবান করছে, এসো সোজা রাস্তা দিয়ে চলে যাও। ভুল ও বাঁকা পথে যাবে না। আর এ আহবানকারীর একটু আগে আছেন আর একজন আহবানকারী। যখনই কোন বান্দা সে দরজাগুলোর কোন একটি দরজা খুলতে চায়, তখনই সে তাকে ডেকে বলেন, সর্বনাশ! এ দরজা খুলো না। যদি তুমি এটা খুলো তাহলে ভিতরে ঢুকে যাবে (প্রবেশ করলেই পথভ্রষ্ট হবে)। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ব্যাখ্যা করলেনঃ সঠিক সরল পথের অর্থ হচ্ছে ’ইসলাম’ (সে পথ জান্নাতে চলে যায়)। আর খোলা দরজার অর্থ হলো ওই সব জিনিস আল্লাহ তা’আলা যা হারাম করেছেন এবং দরজার মধ্যে ঝুলানো পর্দার অর্থ হলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমাসমূহ। রাস্তার মাথায় আহবায়ক হচ্ছে কুরআন। আর তার সামনের আহবায়ক হচ্ছে নাসীহাতকারী মালাক, যা প্রত্যেক মু’মিনের অন্তরে আল্লাহর তরফ থেকে বিদ্যমান। (সহীহুল জামি’ ও আহমাদ)[1]
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا صِرَاطًا مُسْتَقِيمًا وَعَنْ جَنَبَتَيِ الصِّرَاطِ سُورَانِ فِيهِمَا أَبْوَابٌ مُفَتَّحَةٌ وَعَلَى الْأَبْوَابِ سُتُورٌ مُرَخَاةٌ وَعِنْدَ رَأْسِ الصِّرَاطِ دَاعٍ يَقُولُ: اسْتَقِيمُوا عَلَى الصِّرَاطِ وَلَا تَعْوَجُّوا وَفَوْقَ ذَلِكَ دَاعٍ يَدْعُو كُلَّمَا هَمَّ عَبْدٌ أَنْ يَفْتَحَ شَيْئًا مِنْ تِلْكَ الْأَبْوَابِ قَالَ: وَيْحَكَ لَا تَفْتَحْهُ فَإِنَّكَ إِنْ تَفْتَحْهُ تَلِجْهُ . ثُمَّ فَسَّرَهُ فَأَخْبَرَ: أَنَّ الصِّرَاطَ هُوَ الْإِسْلَامُ وَأَنَّ الْأَبْوَابَ الْمُفَتَّحَةَ مَحَارِمُ اللَّهِ وَأَنَّ السُّتُورَ الْمُرَخَاةَ حُدُودُ اللَّهِ وَأَنَّ الدَّاعِيَ عَلَى رَأْسِ الصِّرَاطِ هُوَ الْقُرْآنُ وَأَنَّ الدَّاعِيَ مِنْ فَوْقِهِ وَاعِظُ اللَّهِ فِي قَلْبِ كُلِّ مُؤمن) رَوَاهُ رزين وَأحمد
ব্যাখ্যা: হাদীসে যে দরজার কথা বলা হয়েছে তা খুলতে নিষেধ করা হয়েছে। অর্থাৎ- দরজার পর্দা উঠাতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এই যে, পর্দা উঠালেই সে ভিতরে প্রবেশ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবে না। অতঃপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ব্যাখ্যায় বললেনঃ সিরাতে মুস্তাক্বীম হলো ইসলাম। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রত্যেকেরই ইসলামের উপর বহাল থাকা এবং ইসলামের সঠিক বিধানাবলী বাস্তবায়ন করা। আল্লাহ কর্তৃক হারাম করা বস্তুসমূহ দিয়ে বুঝানো হয়েছে, পূর্ণাঙ্গ ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়ার এবং ‘আযাবে ও অপমানজনক স্থানে প্রবেশ করা। এসবের ব্যবস্থাপনা হচ্ছে ঐ হারাম বস্তুসমূহ। আর পর্দা হলো মানুষও হারাম কাজের প্রতিবন্ধকতা। যেমন আল্লাহ বলেছেনঃ অর্থাৎ- ‘‘এ হচ্ছে আল্লাহর সীমারেখা, তোমরা তা অতিক্রম করো না।’’ (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২ঃ ২২৯)