লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
২৩-[২২] আবূ মূসা আল আশ্’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কষ্টদায়ক কোন বিষয় শুনেও সবর করার ক্ষমতা আল্লাহর চেয়ে অধিক আর কারো নেই। মানুষেরা তাঁর সন্তান আছে বলে দাবি করে। (এরপরও তিনি মানুষের ওপর কোন প্রতিশোধ গ্রহণ না করে), বরং তাদেরকে ক্ষমা করে দেন এবং তাদেরকে জীবিকা দান করে থাকেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]
الفصل الاول
وَعَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا أَحَدٌ أَصْبَرُ عَلَى أَذًى يَسْمَعُهُ مِنَ اللَّهِ يَدْعُونَ لَهُ الْوَلَدَ ثُمَّ يُعَافِيهِمْ وَيَرْزُقُهُمْ»
Chapter - Section 1
Abu Musa reported God's messenger as saying, “No one is more patient over injury which he hears than God. Men attribute a son to Him, yet He preserves them and provides for them.”
(Bukhari and Muslim.)
ব্যাখ্যা: ‘আল্লাহ অধিক ধৈর্যশীল’ এর মর্ম হলো শাস্তিযোগ্য ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তি না দিয়ে তা বিলম্বিত করা। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ এর অর্থ হলো আল্লাহ সেই সত্তা যিনি অপরাধীদেরকে দ্রুত শাস্তি দেন না। এখানে প্রশ্ন আসতে পারে যে, আল্লাহ তো কষ্ট পাওয়া হতে মুক্ত। কেননা কষ্ট পাওয়া একটি ত্রুটি, আল্লাহ তো সকল প্রকার ত্রুটি থেকে মুক্ত। এর জওয়াব এই যে, এ কষ্ট তার রসূল ও তার সৎ বান্দাগণের প্রতি যুক্ত হয়। যেমনিভাবে আল্লাহর সন্তান সাব্যস্ত করার অর্থ সৎ বান্দাদের কষ্ট দেয়া, কেননা তাতে তাদের এ দাবী প্রত্যাখ্যান করা হয় যে, আল্লাহর সন্তান ও স্ত্রী নেই। তাই এ কষ্টকে আল্লাহর সাথে সম্বন্ধ করা হয়েছে যাতে তাদের দাবীর প্রত্যাখ্যান সুস্পষ্ট নয়।
আল্লাহর রসূলদের প্রতি মিথ্যারোপকারীদের তিনি বিভিন্ন বালা মুসীবাত হতে রক্ষা করে তাদের সুস্থ রাখেন। তাদের নিরাপত্তা দান করেন ও বিভিন্ন প্রকার সম্পদ দিয়ে লালন পালন করেন। তাদেরকে দ্রুত শাস্তি দেন না। অতএব তিনি অতি ধৈর্যশীল। কেননা তিনি তা বাধ্য হয়ে করেন না। বরং শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও এ বিলম্ব তার দয়া ও অনুগ্রহ।
হাদীসের শিক্ষাঃ
(১) কষ্ট সহ্য করে ধৈর্য ধারণ করা প্রশংসনীয়।
(২) প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিশোধ না নেয়া একটি মহৎ গুণ।