৩৯

পরিচ্ছেদঃ

৩৯। যে ব্যাক্তি আসরের পর ঘুমবে, তার জ্ঞান ছিনিয়ে নেয়া হবে। ফলে সে শুধুমাত্র নিজেকেই দোষারোপ করবে।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটি ইবনু হিব্বান “আয-যুয়াফা ওয়াল মাতরূকীন" গ্রন্থে (১/২৮৩) খালিদ ইবনুল কাসেম সূত্রে বর্ণনা করেছেন। ইবনুল জাওযী “মাওযু"আত” গ্রন্থে (৩/৬৯) হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেনঃ হাদীসটি সহীহ নয়। কারণ খালেদ মিথ্যুক। হাদীসটি মূলত ইবনু লাহীয়ার, খালিদ তা ছিনিয়ে নিয়েছেন। অতঃপর তাকে লাইস-এর সূত্রে গেথে দিয়েছেন।

তৃতীয় সূত্রে মারওয়ান হতে বর্ণনা করা হয়েছে। সেটি ইবনু আদী “আল কামিল গ্রন্থে (কাফ ২১১/১৯ ও সাহমী “তারীখু জুরজান’ গ্রন্থে (৫৩) উল্লেখ করেছেন। মারওয়ান বলেনঃ আমি লাইস ইবনু সা’দকে এমতাবস্থায় বললাম যে, তিনি রামাযান মাসে আসরের পরে ঘুমাচ্ছিলেনঃ হে আবুল হারিস কী হয়েছে আপনার যে আপনি আসরের পরে ঘুমাচ্ছেন? অথচ আমাদেরকে ইবনু লাহীয়া হাদীস শুনিয়েছেন ... । উত্তরে আবুল লাইস বললেনঃ আকীল হতে ইবনু লাহীয়ার হাদীসের কারণে আমি এমন কিছু ছাড়ব না যা আমার উপকার করে!
(ইবনু লাহীয়া মুখস্থ বিদ্যায় দুর্বল)।

বর্তমান যুগের বহু মাশায়েখ আসরের পরে ঘুমাতে নিষেধ করে থাকেন যদিও তার প্রয়োজন হয়। তাকে যদি বলা হয় এ মর্মে বর্ণিত হাদীসটি দুর্বল। তাহলে দ্রুত উত্তরে বলেনঃ ফাযায়েলে আমল-এর ক্ষেত্রে দুর্বল হাদীসের উপর আমল করা যায়। ভেবে দেখুন পূর্ববতীদের চিন্তা-চেতনা আর পরবর্তীদের জ্ঞানের মধ্যে কত বড় পার্থক্য? লাইস ছিলেন মুসলিমদের ইমাম এবং প্রসিদ্ধ এক ফাকীহ। তার কথা প্রমান বহন করছে তার চিন্তাচেতনা ও জ্ঞানের গভীরতার, অথচ পরবর্তীগণ কী বলেন?

হাদীসটি আবু ইয়ালা ও আবু নয়াইম “আত-তিব্ববুন্নাবাবী" গ্রন্থে (২/১২) আমর ইবনু হুসাইন সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এ আমরকে খাতীব বাগদাদীসহ অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ মিথ্যুক বলেছেন। এ আমরই নিম্নের ডালের হাদীস বর্ণনাকারীঃ (দেখুন পরেরটি)

من نام بعد العصر فاختلس عقله فلا يلومن إلا نفسه ضعيف - أخرجه ابن حبان في " الضعفاء والمجروحين " (1 / 283) من طريق خالد بن القاسم عن الليث بن سعد عن عقيل عن الزهري عن عروة عن عائشة مرفوعا. أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (3 / 69) وقال: لا يصح، خالد كذاب، والحديث لابن لهيعة فأخذه خالد ونسبه إلى الليث قال السيوطي في " اللآليء " (2 / 150) : قال الحاكم وغيره: كان خالد يدخل على الليث من حديث ابن لهيعة، ثم ذكره السيوطي من طريق ابن لهيعة فمرة قال عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده مرفوعا، ومرة قال: عن ابن شهاب عن أنس مرفوعا وابن لهيعة ضعيف من قبل حفظه، وقد رواه على وجه ثالث، أخرجه ابن عدي في " الكامل " (ق 211 / 1) والسهمي في " تاريخ جرجان " (53) عنه عن عقيل عن مكحول مرفوعا مرسلا، أخرجاه من طريق مروان، قال: قلت لليث بن سعد - ورأيته نام بعد العصر في شهر رمضان - يا أبا الحارث مالك تنام بعد العصر وقد حدثنا ابن لهيعة..؟ فذكره، قال الليث: لا أدع ما ينفعني بحديث ابن لهيعة عن عقيل! ثم رواه ابن عدي من طريق منصور بن عمار حدثنا ابن لهيعة عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده قلت: ولقد أعجبني جواب الليث هذا، فإنه يدل على فقه وعلم، ولا عجب، فهو من أئمة المسلمين، والفقهاء المعروفين، وإني لأعلم أن كثيرا من المشايخ اليوم يمتنعون من النوم بعد العصر، ولوكانوا بحاجة إليه، فإذا قيل له الحديث فيه ضعيف، أجابك على الفور: يعمل بالحديث الضعيف في فضائل الأعمال فتأمل الفرق بين فقه السلف، وعلم الخلف والحديث رواه أبو يعلى وأبو نعيم في " الطب النبوى " (12 / 2 نسخة السفرجلاني) عن عمرو بن حصين عن ابن علاثة عن الأوزاعي عن الزهري عن عروة عن عائشة مرفوعا وعمرو بن الحصين هذا كذاب كما قال الخطيب وغيره


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ