১৮

পরিচ্ছেদঃ

১৮। তোমরা পরকাটা কবুতর গ্রহণ কর, কারন তা তোমাদের বাচ্চাদের (সন্তানদের) থেকে জ্বীনকে বিমুখ করে দেয়।

হাদীসটি জাল।

এটি ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে (২/২৮৮), খাতীব বাগদাদী (৫/২৭৮) ও ইবনু আসাকির (১৭/৪৬৯) মুহাম্মাদ বিন যিয়াদ সূত্রে পূর্বের সনদেই ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

এ হাদীসটিকেও সুয়ুতী “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন তার ভাষ্যকার মানবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ সম্পর্কে ইমাম আহমাদ, ইবনু মাঈন প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ বলেছেনঃ তিনি ছিলেন মিথ্যুক, হাদীস জালকারী।

ইবনু হাজার বলেনঃ তাকে তারা মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মিথ্যুক, জালকারী। ইবনু হিব্বান বলেছেনঃ তিনি নির্ভরশীলদের উদ্ধৃতিতে জাল হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ কারণেই ইবনুল জাওয়ী হাদীসটি জাল বলে হুকুম লাগিয়েছেন। ইবনু ইরাক, হিন্দী ও অন্যরাও হাদীসটি জাল বলেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তাদের মধ্যে “আল-মানার” গ্রন্থে (৩৯) জাল আখ্যাদানকারী হিসাবে ইবনুল কাইয়্যিমও রয়েছেন। এ মিথ্যুকের আরো একটি হাদীসঃ (দেখুন পরেরটি)

اتخذوا الحمام المقاصيص فإنها تلهي الجن عن صبيانكم موضوع - أخرجه ابن عدي في " الكامل " (288 / 2) والخطيب (5 / 279) وابن عساكر (17 / 469) من طريق محمد بن زياد بإسناده السابق عن ابن عباس وهو من أحاديث " الجامع الصغير " أيضا! وقد عزاه فيه للخطيب والديلمي في " مسند الفردوس " عن ابن عباس وابن عدي عن أنس فتعقبه شارحه المناوي بقوله: وقضيته أن مخرجه الخطيب خرجه ساكتا عليه والأمر بخلافه، فإنه عقبه بنقله عن أحمد وابن معين وغيرهما أن محمد بن زياد كان كذابا يضع الحديث انتهى وقال ابن حجر: فيه محمد بن زياد اليشكري كذبوه، وفي " الميزان " كذاب وضاع ثم أورد له هذا الخبر، وابن عدي رواه من حديث عثمان بن مطر عن ثابت عن أنس بن مالك قال في الميزان عن ابن حبان بعد ما ساق له هذا الخبر: يروي الموضوعات عن الأثبات، ومن ثم حكم ابن الجوزي بوضعه وتبعه المؤلف في " مختصر الموضوعات " ساكتا عليه، وحكاه عنه في " الكبير " وأقره فكان ينبغي حذفه من هذا الكتاب وفاء بشرطه وممن جزم بوضعه ابن عراق والهندي وغيرهما قلت: ومنهم ابن القيم في " المنار " (39)


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ