লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২৪৬৩. ওলী বা অভিভাবক নিজেই যদি শাদীর প্রার্থী হয়। মুগীরা ইব্ন শু’বা (রা) এমন এক মহিলার সাথে শাদীর প্রসত্মাব দেন, যার নিকটতম অভিভাবক তিনিই ছিলেন। সুতরাং তিনি অন্য একজনকে তার সাথে শাদী বন্ধনে আদেশ দিলে সে ব্যক্তি তার সঙ্গে শাদী করিয়ে দিলেন। আবদুর রহমান ইব্ন আউফ (রা) উম্মে হাকীম বিন্তে কারিয (রা)-কে বললেন, তুমি কি তোমার শাদীর ব্যাপারে আমাকে দায়িত্ব দেবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আবদুর রহমান (রা) বললেন, আমি তোমাকে শাদী করলাম। আতা (রা) বলেন, অভিভাবক লোকদেরকে সাক্ষী রেখে বলবে, আমি তোমাকে শাদী করলাম, অথবা ঐ মহিলার নিকটতম আত্মীয়দের কাউকে তার কাছে তাকে শাদী দেয়ার জন্য বলবে। সাহল (রা) বলেন, একজন মহিলা এসে নবী (সা)-এর কাছে বলল, আমি নিজেকে আপনার কাছে সমর্পন করলাম। এরপর একজন লোক বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! এই মহিলাকে যদি আপনার প্রয়োজন না থাকে তাহলে আমার সাথে শাদী দিয়ে দিন।
৪৭৫৯। ইবনু সালাম (রাঃ) ... আয়িশা (রাঃ) আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে বলেন, এ আয়াত হচ্ছে ’’তারা আপনার কাছে নারীদের সম্পর্কে ফয়সালা চায়। আপনি বলে দিন, আল্লাহ তাদের সম্পর্কে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন ...।’’ এই আয়াত হচ্ছে ইয়াতীম বালিকাদের সম্পর্কে, যারা কোন অভিভাবকের অধীনে আছে এবং তারা ঐ অভিভাবকের ধন-সম্পদেও অংশীদার; অথচ সে নিজে ওকে শাদী করতে ইচ্ছুক নয় এবং অন্য কেউ তাদেরকে শাদী করুক এবং ধন-সম্পদে ভাগ বসাক তাও পছন্দ করে না। তাই সে তার শাদীতে বাধার সৃষ্টি করে। সুতরাং আল্লাহ তা’আলা এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
باب إِذَا كَانَ الْوَلِيُّ هُوَ الْخَاطِبَ وَخَطَبَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ امْرَأَةً هُوَ أَوْلَى النَّاسِ بِهَا فَأَمَرَ رَجُلاً فَزَوَّجَهُ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ لأُمِّ حَكِيمٍ بِنْتِ قَارِظٍ أَتَجْعَلِينَ أَمْرَكِ إِلَيَّ قَالَتْ نَعَمْ فَقَالَ قَدْ تَزَوَّجْتُكِ. وَقَالَ عَطَاءٌ لِيُشْهِدْ أَنِّي قَدْ نَكَحْتُكِ أَوْ لِيَأْمُرْ رَجُلاً مِنْ عَشِيرَتِهَا. وَقَالَ سَهْلٌ قَالَتِ امْرَأَةٌ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَبُ لَكَ نَفْسِي فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ لَمْ تَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ فَزَوِّجْنِيهَا
حَدَّثَنَا ابْنُ سَلاَمٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ فِي قَوْلِهِ (وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ، قَالَتْ هِيَ الْيَتِيمَةُ تَكُونُ فِي حَجْرِ الرَّجُلِ، قَدْ شَرِكَتْهُ فِي مَالِهِ، فَيَرْغَبُ عَنْهَا أَنْ يَتَزَوَّجَهَا، وَيَكْرَهُ أَنْ يُزَوِّجَهَا غَيْرَهُ، فَيَدْخُلَ عَلَيْهِ فِي مَالِهِ، فَيَحْبِسُهَا، فَنَهَاهُمُ اللَّهُ عَنْ ذَلِكَ.
Narrated `Aisha:
(regarding His Statement): 'They ask your instruction concerning the women. Say: Allah instructs you about them ...' (4.127) It is about the female orphan who is under the guardianship of a man with whom she shares her property and he does not want to marry her and dislikes that someone else should marry her, lest he should share the property with him, so he prevents her from marrying. So Allah forbade such a guardian to do so (i.e. to prevent her from marrying).