লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।
(.../...) হাসান ইবনু রবী’ (রহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইবনু সীরন (বিখ্যাত তাবি’ঈ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই এ ইলম হলো দীন। কাজেই কার কাছ থেকে তোমরা দীন গ্রহণ করছে তা যাচাই করে নাও। (অর্থাৎ সত্যবাদী, দীনদার এবং নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির কাছ থেকে ইলমে দীন শিক্ষা করা প্রযোজন।)
(.../...) আবূ জাফার মুহাম্মাদ ইবনুস্ সাব্বাহ (রহঃ) ..... ইবনু সীরীন (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এমন এক সময় ছিল যখন লোকেরা সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতো না। কিন্তু পরে যখন ফিতনাহ (হাদীসের নামে মিথ্যা কথার আমদানী) দেখা দিল তখন লোকেরা হাদীস বর্ণনাকারীদেরকে বললো, তোমরা যাদের নিকট থেকে হাদীস গ্রহণ করেছ, আমাদের কাছে তাদের নাম বল। তারা এ কথা এ কারণে জানতে চাইত, যাতে দেখা যায় তারা আহলে সুন্নাত কিনা? যদি তারা এ সম্প্রদায়ের হয় তাহলে তাদের হাদীস গ্রহণযোগ্য হবে। আর যদি দেখা যায় তারা বিদ’আতী তাহলে তাদের হাদীস গ্রহণ করা হবে না।
(.../...) সুলাইমান ইবনু মুসা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি তাউস (রহঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, অমুক ব্যক্তি আমাকে এরূপ এরূপ হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি বললেনঃ যদি সে ব্যক্তি নির্ভরযোগ্য হয়, তাহলে তার থেকে হাদীস গ্রহণ কর।
(.../...) সুলাইমান ইবনু মূসা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তাউস (রহঃ) কে বললাম, অমুক ব্যক্তি আমাকে এ হাদীস বলেছেন। তিনি বললেন, তোমার নিকট হাদীস বর্ণনাকারী যদি নির্ভরযোগ্য হয় তাহলে তার থেকে তা গ্রহণ কর।
(.../...) ইবনু আবূ যিনাদ (রহঃ) (আসল নাম আবদুল্লাহ ইবনু যাকওয়ান যিনি হাদীসের একজন ইমাম) তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি বললেন, আমি মদীনায় একশ জন লোকের সাক্ষাৎ পেয়েছি যারা মিথ্যা থেকে নিরাপদ ছিলেন। তবুও তাদের কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করা হতো না। কেননা তাদের সম্পর্কে বলা হতো যে, তাদের কেউ হাদীস বর্ণনা করার ক্ষেত্রে যোগ্য নন।
(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল মাক্কী ও আবূ বকর ইবনু খাল্লাদ আল বাহিলী (রহঃ) ..... মিসআর (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি সা’দ ইবনু ইবরাহীমকে বলতে শুনেছি; নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি (সিকাহ) ব্যতীত অন্য কারো কাছ থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস গৃহীত হবে না।
(.../...) মার্ভ (স্পেনের একটি অঞ্চল)-এর অধিবাসী মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কুহযায (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত। যদি সনদ না থাকতো তাহলে যার যা ইচ্ছা তাই বলতো।
মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমাদের ও লোকদের মাঝখানে রয়েছে সেতু বন্ধন বা খুঁটি অর্থাৎ সনদ।
আবূ ইসহাক ইবরাহীম ইবনু আত তালাকানী বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, হে আবূ আবদুর রহমান! এ হাদীসটি সম্পর্কে আপনার কি অভিমত যাতে আছে, “অন্যতম সৎকাজ হলো আমার সালাতের সাথে পিতা-মাতার জন্যও সালাত পড়ে নিও আর তোমার সিয়ামের সাথে পিতা-মাতার জন্যও সিয়াম পালন করে নিও?” তিনি বললেন, হে আবূ ইসহাক! কার বরাতে এ হাদীসটি বর্ণনা করছো? আমি বললাম, এটি শিহাব ইবনু খিরাশ থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বললেন, হ্যাঁ, ইনি নির্ভরযোগ্য। তবে তিনি কার নিকট থেকে বর্ণনা করেছেন? আমি বললাম, হাজ্জাজ ইবনু দীনার থেকে। তিনি বললেন, হ্যাঁ, ইনি নির্ভরযোগ্য। তিনি কার নিকট থেকে বর্ণনা করেছেন? আমি বললাম, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বললেন, হে আবূ ইসহাক! হাজ্জাজ ইবনু দীনার ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাঝে এত বিশাল প্রান্ত রয়েছে যা অতিক্রম করতে গেলে উটের গর্দানও ভেঙ্গে পড়বে।* তবে পিতা-মাতার জন্য সাদাকা করার বিষয়ে কোন মতভেদ নেই।
মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন, আমি শুনেছি আলী ইবনু শাকীককে সে বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করতে আমি শুনেছি যে, তিনি একদিন লোকেদের সামনে বলেছিলেন, তোমরা আমর ইবনু সাবিত (রহঃ) এর হাদীস বর্জন কর, কেননা সে সাহাবা তাবিঈনদের (সালফে সলিহীনদের) দোষারোপ করে।
باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ
حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، وَهِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، وَحَدَّثَنَا فُضَيْلٌ، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ وَحَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ إِنَّ هَذَا الْعِلْمَ دِينٌ فَانْظُرُوا عَمَّنْ تَأْخُذُونَ دِينَكُمْ . حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، قَالَ لَمْ يَكُونُوا يَسْأَلُونَ عَنِ الإِسْنَادِ، فَلَمَّا وَقَعَتِ الْفِتْنَةُ قَالُوا سَمُّوا لَنَا رِجَالَكُمْ فَيُنْظَرُ إِلَى أَهْلِ السُّنَّةِ فَيُؤْخَذُ حَدِيثُهُمْ وَيُنْظَرُ إِلَى أَهْلِ الْبِدَعِ فَلاَ يُؤْخَذُ حَدِيثُهُمْ . حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، - وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ - حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، قَالَ لَقِيتُ طَاوُسًا فَقُلْتُ حَدَّثَنِي فُلاَنٌ، كَيْتَ وَكَيْتَ . قَالَ إِنْ كَانَ صَاحِبُكَ مَلِيًّا فَخُذْ عَنْهُ . وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ الدِّمَشْقِيَّ - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، قَالَ قُلْتُ لِطَاوُسٍ إِنَّ فُلاَنًا حَدَّثَنِي بِكَذَا، وَكَذَا، . قَالَ إِنْ كَانَ صَاحِبُكَ مَلِيًّا فَخُذْ عَنْهُ . حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا الأَصْمَعِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَدْرَكْتُ بِالْمَدِينَةِ مِائَةً كُلُّهُمْ مَأْمُونٌ . مَا يُؤْخَذُ عَنْهُمُ الْحَدِيثُ يُقَالُ لَيْسَ مِنْ أَهْلِهِ . حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ، عَنْ مِسْعَرٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، يَقُولُ لاَ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ الثِّقَاتُ . وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، - مِنْ أَهْلِ مَرْوَ - قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَانَ بْنَ عُثْمَانَ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْمُبَارَكِ، يَقُولُ الإِسْنَادُ مِنَ الدِّينِ وَلَوْلاَ الإِسْنَادُ لَقَالَ مَنْ شَاءَ مَا شَاءَ . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنِي الْعَبَّاسُ بْنُ أَبِي رِزْمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ، يَقُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقَوْمِ الْقَوَائِمُ . يَعْنِي الإِسْنَادَ . وَقَالَ مُحَمَّدٌ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، إِبْرَاهِيمَ بْنَ عِيسَى الطَّالَقَانِيَّ قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحَدِيثُ الَّذِي جَاءَ " إِنَّ مِنَ الْبِرِّ بَعْدَ الْبِرِّ أَنْ تُصَلِّيَ لأَبَوَيْكَ مَعَ صَلاَتِكَ وَتَصُومَ لَهُمَا مَعَ صَوْمِكَ " . قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ يَا أَبَا إِسْحَاقَ عَمَّنْ هَذَا قَالَ قُلْتُ لَهُ هَذَا مِنْ حَدِيثِ شِهَابِ بْنِ خِرَاشٍ . فَقَالَ ثِقَةٌ عَمَّنْ قَالَ قُلْتُ عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ دِينَارٍ . قَالَ ثِقَةٌ عَمَّنْ قَالَ قُلْتُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَا أَبَا إِسْحَاقَ إِنَّ بَيْنَ الْحَجَّاجِ بْنِ دِينَارٍ وَبَيْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَفَاوِزَ تَنْقَطِعُ فِيهَا أَعْنَاقُ الْمَطِيِّ وَلَكِنْ لَيْسَ فِي الصَّدَقَةِ اخْتِلاَفٌ . وَقَالَ مُحَمَّدٌ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ شَقِيقٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْمُبَارَكِ، يَقُولُ عَلَى رُءُوسِ النَّاسِ دَعُوا حَدِيثَ عَمْرِو بْنِ ثَابِتٍ فَإِنَّهُ كَانَ يَسُبُّ السَّلَفَ .
Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’
Hasan bin ur-Rabī’ narrated to us, Hammād bin Zayd narrated to us, on authority of Ayyūb and Hishām [bin Hassān], on authority of Muhammad [bin Sīrīn] ; and Fuḍayl [bin Īyāḍ] narrated to us on authority of Hishām [bin Hassān]; he said Mukhlad bin Husayn narrated to us, on authority of Hishām [bin Hassān], on authority of Muhammad bin Sīrīn , that he said:
‘Indeed this knowledge is faith, so carefully consider from whom you take your faith’.
Abū Ja’far Muhammad bin us-Sabbāh narrated to us, Ismā’īl bin Zakariyyā’ narrated to us, on authority of Āsim il-Ahwal, on authority of Ibn Sīrīn that he said:
‘They would not ask about the chains of narration, and when the Fitnah occurred, they said: ‘Name for us your men’. So Ahl us-Sunnah would be regarded, and their Ḥadīth were then taken, and Ahl ul-Bi’dah would be regarded, and their Ḥadīth were not taken’.
Ishāq bin Ibrāhīm al-Hanthalī narrated to us, Īsā, and he is Ibn Yūnus, informed us, al-Awzā’ī narrated to us, on authority of Sulyamān bin Mūsā, he said:
‘I came across Tāwus and said: ‘So-and-so narrated to me such-and-such’. Then he said: ‘If your companion is trustworthy, then take from him.’
Abd Allah bin Abd ir-Rahman ad-Dārimī narrated to us, Marwān, meaning Ibn Muhammad ad-Dimashqī informed us, Sa’īd bin Abd il-Azīz narrated to us, on authority of Sulaymān bin Mūsā, he said, I said to Tāwus:
‘So-and-so narrated to me like this-and-that’. He said: ‘If your companion is trustworthy, then take from him.’
Nasr bin Alī al-Jahdhamī narrated to us, al-Asma’ī narrated to us, on authority of Ibn Abī-Zinād, on authority of his father, he said:
‘I met one hundred [transmitters] in al-Madīnah, each of whom were reliable. Narrations were not taken from one about who it was said, ‘he is not from its people’
Muhammad bin Abī Umar al-Makkī narrated to us, Sufyān narrated to us; and Abū Bakr bin Khallād al-Bāhilī narrated to us – and the wording is his, he said, I heard Sufyān bin Uyaynah, on authority of Mis’ar, he said, I heard Sa’d bin Ibrāhīm saying:
‘There is to be no narrating on authority of the Messenger of Allah, may Allah send blessings and peace upon him, except by trustworthy narrators (Thiqāt)’.
Muhammad bin Abd Allah bin Quhzādh from the people of Marw narrated to us, he said I heard Abdān bin Uthmān saying, I heard Abd Allah bin al-Mubārak saying:
‘The chain of narration is from the Dīn, and were it not for the chain of narration whoever wished could say what he wanted’.
Muhammad bin Abd Allah said, al-Abbās bin Abī Rizmah narrated to me, he said I heard Abd Allah [bin al-Mubārak] saying: ‘Between us and the people are ‘the legs’ (meaning the chain of narration, i.e. if a Ḥadīth was like a creature)’.
Muhammad said, I heard Abā Ishāq Ibrāhīm bin Īsā at-Tālqānī say, I said to Abd Allah bin al-Mubārak: ‘Oh Abā Abd ir-Rahman! How is the Ḥadīth which goes ‘Indeed from al-Birr after al-Birr is that you pray for your parents after you pray for yourself and you fast for them both after you fast for yourself’? So [Ibn al-Mubārak] said: ‘Oh Abā Ishāq! On whose authority is this?’ I said to him: ‘This is a Ḥadīth from Shihāb bin Khirāsh’. [Ibn al-Mubārak] said: ‘[He is] trustworthy. On whose authority [did he transmit]?’ I said: ‘on authority of al-Hajjāj bin Dīnār’. [Ibn al-Mubārak] said: ‘[He is] trustworthy. On whose authority [did he transmit]?’ I said: ‘He [al-Hajjāj said] the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said…’ [Ibn al-Mubārak] said: ‘Oh Abā Ishāq! Indeed between al-Hajjāj bin Dīnār and the Prophet, peace and blessings of Allah upon him, is a wilderness in which the necks of the mounts are severed, however, there is no difference of opinion regarding charity [offered on behalf of one’s parents]’.
Muhammad said, I heard Alī bin Shaqīq saying, I heard Abd Allah bin al-Mubārak saying in front of the people:
‘Abandon the Ḥadīth of Amr bin Thābit for indeed he would curse the Salaf [i.e., the Companions, may Allah be pleased with them]’.