লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৬. বিয়ের আগেই তালাক দেয়া প্রকৃতপক্ষে কোন তালাক নয়
১১৮১। আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (দাদা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আদম সন্তান যে সকল জিনিসের মালিক নন সে সকল জিনিসের মানত জায়িয নয়, সে যার মালিক নয় তাকে সে মুক্তি দিতে পারে না এবং তার সাথে যার বিয়ে হয়নি তাকে সে তালাকও দিতে পারে না।
– হাসান সহীহ, ইবনু মাজাহ (২০৪৭)
আলী, মুআয ইবনু জাবাল, জাবির, ইবনু আব্বাস ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এ অনুচ্ছেদের মধ্যে যে কয়টি হাদীস বর্ণিত আছে সেগুলোর মধ্যে এ হাদীসটিই সবচেয়ে উত্তম। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবী মত দিয়েছেন। এই মত দিয়েছেন আলী ইবনু আবূ তালিব, ইবনু আব্বাস, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ), সাঈদ হুসাইন, শুরাইহ, জাবির ইবনু যাইদ প্রমুখ একাধিক ফিকহবিদ সাহাবী ও তাবিঈও। ইমাম শাফিঈ একইরকম কথা বলেছেন।
ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, কোন এলাকার কোন নির্দিষ্ট মহিলাকে বিয়ে করার কথা উল্লেখ করে তালাক দিলে সে তালাক কার্যকর হবে (কেউ যদি বলে, আমি অমুক বংশ বা অমুক এলাকার অমুক মেয়ে বিবাহ করলে সে তালাক, এ ক্ষেত্রে বিয়ে বিধিবদ্ধ হওয়ার সাথে সাথে তালাক হয়ে যাবে)।
শাবী, ইবরাহীম নাখঈ ও অপরাপর আলিম বলেন, তালাক অবতীর্ণ হবে যদি সময় নির্দিষ্ট করে বলা হয়। এই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী ও মালিক ইবনু আনসও। তারা বলেন, সঠিকভাবে কোন মহিলার নাম, অথবা সঠিক সময় নির্ণয় করে, অথবা কোন শহরের নাম স্পষ্টভাবে বলা হলে, যেমন আমি অমুক শহরের অমুক মেয়ে বিয়ে করলে (সে তালাক), এসব অবস্থায় তালাক কার্যকর হবে।
এ প্রসঙ্গে ইবনুল মুবারাক (রাঃ) কঠোর নীতি অবলম্বন করেছেন। তিনি বলেছেন, কোন লোক যদি এরূপ করে তবে আমি বলি না যে, তার জন্য ঐ মহিলাটি হারাম হবে।
আহমাদ (রহঃ) বলেন, সে যদি বিয়ে করে তবে আমি তাকে তার স্ত্রীকে ত্যাগ করার হুকুম দেই না। ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর হাদীস অনুযায়ী ইসহাক (রাহঃ) নির্দিষ্ট নারীর ক্ষেত্রে তালাক সংঘটিত হওয়ার পক্ষপাতী হওয়া সত্ত্বেও এইরূপ বিয়েকে জায়িয মনে করেন। তিনি বলেন, যদি ঐ মহিলাকে শপথ করার পরও সে লোক বিয়ে করে তবে আমি একথা বলি না যে, তার জন্য ঐ মহিলাটি হারাম হবে।
আর ইসহাক (রহঃ)-এর মত অনির্দিষ্ট নারীর ক্ষেত্রে আরও উম্মুক্ত। এক ব্যক্তি প্রসঙ্গে ইবনুল মুবারাককে প্রশ্ন করা হল যে, সে শপথ করে বলেছে যে, সে বিয়ে করবে না, করলে তালাক হয়ে যাবে। পরে দেখা গেল যে, সে বিয়ে করতে চাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে বিয়ের সুযোগ আছে বলে যেসব ফিকহবিদ মত দিয়েছেন, তাদের মতের অবলম্বনে এই লোক কি বিয়ে করতে পারবে? এর উত্তরে ইবনুল মুবারাক বললেন, যদি এসব ফিকহবিদের মতের প্রতি সে লোক এই সমস্যায় জড়িত হওয়ার পূর্বে আস্থাবান হয়ে থাকে তাহলে সে লোকের তাদের মত গ্রহণের সুযোগ আছে। কিন্তু পূর্ব হতেই যে লোক তাদের এ মত পছন্দ করেনি এবং সে যখন পরবর্তীতে এ সমস্যায় জড়িয়ে পড়লো তখন তাদের মত গ্রহণ করতে চায়, তাদের মত গ্রহণের সুযোগ তার আছে বলে আমি মনে করি না।
باب مَا جَاءَ لاَ طَلاَقَ قَبْلَ النِّكَاحِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا عَامِرٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ نَذْرَ لاِبْنِ آدَمَ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ وَلاَ عِتْقَ لَهُ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ وَلاَ طَلاَقَ لَهُ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَجَابِرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهُوَ أَحْسَنُ شَيْءٍ رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ . وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَالْحَسَنِ وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ وَشُرَيْحٍ وَجَابِرِ بْنِ زَيْدٍ وَغَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ فُقَهَاءِ التَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُ قَالَ فِي الْمَنْصُوبَةِ إِنَّهَا تَطْلُقُ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ وَالشَّعْبِيِّ وَغَيْرِهِمَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُمْ قَالُوا إِذَا وَقَّتَ نُزِّلَ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ أَنَّهُ إِذَا سَمَّى امْرَأَةً بِعَيْنِهَا أَوْ وَقَّتَ وَقْتًا أَوْ قَالَ إِنْ تَزَوَّجْتُ مِنْ كُورَةِ كَذَا فَإِنَّهُ إِنْ تَزَوَّجَ فَإِنَّهَا تَطْلُقُ . وَأَمَّا ابْنُ الْمُبَارَكِ فَشَدَّدَ فِي هَذَا الْبَابِ وَقَالَ إِنْ فَعَلَ لاَ أَقُولُ هِيَ حَرَامٌ . وَقَالَ أَحْمَدُ إِنْ تَزَوَّجَ لاَ آمُرُهُ أَنْ يُفَارِقَ امْرَأَتَهُ . وَقَالَ إِسْحَاقُ أَنَا أُجِيزُ فِي الْمَنْصُوبَةِ لِحَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَإِنْ تَزَوَّجَهَا لاَ أَقُولُ تَحْرُمُ عَلَيْهِ امْرَأَتُهُ . وَوَسَّعَ إِسْحَاقُ فِي غَيْرِ الْمَنْصُوبَةِ . وَذُكِرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ حَلَفَ بِالطَّلاَقِ أَنَّهُ لاَ يَتَزَوَّجُ ثُمَّ بَدَا لَهُ أَنْ يَتَزَوَّجَ هَلْ لَهُ رُخْصَةٌ بِأَنْ يَأْخُذَ بِقَوْلِ الْفُقَهَاءِ الَّذِينَ رَخَّصُوا فِي هَذَا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ إِنْ كَانَ يَرَى هَذَا الْقَوْلَ حَقًّا مِنْ قَبْلِ أَنْ يُبْتَلَى بِهَذِهِ الْمَسْأَلَةِ فَلَهُ أَنْ يَأْخُذَ بِقَوْلِهِمْ فَأَمَّا مَنْ لَمْ يَرْضَ بِهَذَا فَلَمَّا ابْتُلِيَ أَحَبَّ أَنْ يَأْخُذَ بِقَوْلِهِمْ فَلاَ أَرَى لَهُ ذَلِكَ .
Amr bin Shu'aib narrated from his grandfather, from his father, that:
The Messenger of Allah said: "There is no vow for the son of Adam over what he has no control, and there is no emancipating he can do for one whom he does not own, and there is no divorce for him regarding that which he has no control over."