লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ সূরা আত-তাহরীম
৩৩১৮. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ (إن تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا) - যেহেতু তোমাদের হৃদয় ঝুকে পড়েছে তাই তোমরা উভয়ে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে তাওবা কর। তবে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করে দিবেন। (সূরা তাহরীম ৬৬ঃ ৪) আয়াতটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যে দুইজন সহধর্মিণীর উল্লেখ করা হয়েছে। তারা কারা সে সম্পর্কে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট জিজ্ঞাসা করার জন্য আমি অনেক দিন লালায়িত ছিলাম। শেষে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু একবার হজ্জ করতে গেলে আমিও তার সঙ্গে সে হজ্জে ছিলাম। একদিন তিনি উযু করছিলেন আর আমি পাত্র থেকে পানি ঢেলে দিচ্ছিলাম। আমি তাকে বললামঃ হে আমিরুল মুমিণীন! (إن تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا) আয়াতটিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যে দুই স্ত্রীর উল্লেখ করা হয়েছে তারা কারা?
তিনি বললেনঃ হে ইবন আব্বাস, আশ্চার্য! যুহরী (রহঃ) বলেন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু জিজ্ঞাস্য বিষয়টি পছন্দ করেন নি, তবে তিনি বিষয়টি গোপনও করলেন না। যা হোক তিনি বললেনঃ এরা হল আয়েশা ও হাফসা। এরপর তিনি আমাকে পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করা শুরু করেন। তিনি বলেন আমরা কুরায়শী সম্প্রদায় ছিলাম স্ত্রীদের উপর প্রবল। কিন্তু মদীনায় এসে দেখতে পেলাম যে, এরা এমন এক সম্প্রদায় যাদের উপর তাদের স্ত্রীরা প্রবল। এখানে আমাদের স্ত্রীরাও তাদের আচরণ শিখতে শুরু করে। একদিন একটি বিষয়ে আমার স্ত্রীর উপর আমি রাগ করি। সে তখন আমাকে প্রত্যুত্তর দেয় তার সে প্রত্যুত্তর করাটা আমি অপছন্দ করি। তখন সে বলল আপনি মন্দ ভাবছেন কেন? আল্লাহর কসম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীরাও তো তার কথার প্রত্যুত্তর করে থাকেন এবং তাদের কেউ কেউ দিন থেকে রাত পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ করে রাখেন।
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ আমি মনে মনে বললাম তাদের যে জন এ ধরণের কাজ করে সেত লাঞ্ছিত ও ধ্বংস হয়ে যাবে।
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ মদীনায় আওয়ালী অঞ্চলে বানু উমায়্যায় ছিল আমার বাস। আমার এক আনসারী প্রতিবেশী ছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে হাযিরী প্রদানের ক্ষেত্রে আমরা পালা নির্ধারণ করে নেই। তিনি এক দিন সেখানে হাজির হতেন এবং সে দিন ওয়াহী ও অন্যান্য বিষয়ের খবরাদি আমার কাছে নিয়ে আসতেন। আরেক দিন আমি হাযির হতাম আর তার কাছে অনুরূপ খবরাদি নিয়ে আসতাম। তখন আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছিল যে, গাসসানীরা আমাদেও বিরুদ্ধে লড়ার জন্য অশ্বসমূহে নাল লাগিয়ে তৈরী করে রাখছে। যাহোক আমার ঐ প্রতিবেশী একদিন ইশার সময় আমার বাড়ি আসে এবং দরজায় করাঘাত করে আমি তার কাছে বের হয়ে এলাম। তিনি বললেনঃ একটি ভীষন ব্যাপার ঘটে গেছে।
আমি বললাম গাসসানীরাকি এসে গেছে? তিনি বললেন এর চেয়েও ভীষন ব্যাপার। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সহধর্মিনীদেরকে তালাক দিয়ে দিয়েছেন।
আমি মনে মনে বললাম হাফসা নিরাশ হল এবং ক্ষতিগ্রস্ত হল। আমারো ধারণা ছিল যে,এমন একটি বিষয় কোন দিন ঘটতে পারে। ফজরের সালাত (নামায) আদায় করে আমি কাপোড়-চোপড় পরলাম। রওয়ানা হয়ে হাফসা এর কাছে পৌছলাম। সে তখন কাঁদছিল। আমি বললাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি তোমাদের তালাক দিয়ে দিয়েছেন?
সে বললঃ আমি জানি না। এই তো তিনি ঐ চিলেকোঠায় আলাদা হয়ে আছেন। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ আমি সে দিকে গেলাম। কৃষ্ণবর্ণের একটি গোলামকে সেখানে পেলাম। বললাম উমারের জন্য অনুমতি প্রার্থনা কর।
সে ভেতরে গেল। পরে আমার কছে বের হয়ে এল। বললঃ আপনার কথা তাকে বলেছি কিন্তু কিছুই বললেন না তিনি।
আমি মসজিদে চলে এলাম। মিম্বারের চারপাশে বসে কিছু লোক কাঁদছেন। আমি তাদের কাছে বসে গেলাম। কিন্তু পুনঃ আমার মনের উদ্বেগ প্রবল হয়ে উঠল। গোলামটির কাছে এলাম। বললাম উমারের জন্য অনুমতি নিয়ে এস। সে ভেতরে চলে গেল। এরপর আমার কাছে বের হয়ে এসে বললঃ আমি আপনার কথা তার কাছে উল্লেখ করেছি কিন্তু তিনি কিছুই বললেন না।
আমি আবার মসজিদে চলে এলাম এবং বসে পড়লাম। পরে আবার আমার ভিতরে উদ্বেগ প্রবল হয়ে উঠল। গোলামটির কাছে এলাম এবং বললাম উমারের জন্য অনুমতি প্রার্থনা কর। সে ভিতরে গিয়ে পুনর্বার বের হয়ে এল। বলল আপনার কথা তো তাকে বললাম কিন্তু তিনি কিছুই বললেন না।
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন আমি পিছন ফিরে চলে এলাম। এমন সময় গোলামটি আমাকে ডাকতে লাগল। বললঃ ভিতরে যান, তিনি আপনাকে অনুমতি দিয়েছেন।
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলে আমি ভিতরে গেলাম। দেখতে পেলাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি বুননকৃত চাটাইয়ে ঠেস দিয়ে আছেন। চাটাইয়ের দাগ পড়ে গেছে তাঁর দুই পার্শ্বদেশে।
আমি বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনিকি আপনার সহধর্মিণীদের তালাক দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ না।
আমি বললামঃ আল্লাহু আকবার। ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের অবস্থা যদি লক্ষ করতেন যে, আমরা কুরায়শী সম্প্রদায় ছিলাম স্ত্রীদের উপর প্রবল। কিন্তু মদীনায় এসে এমন এক সম্প্রদায় পেলাম যাদের উপর তাদের স্ত্রীরা প্রবল। এখানে আমাদের স্ত্রীরা তাদের আচরণ শিখাতে। একদিন কোন এক বিষয়ে আমি আমার স্ত্রীর উপর রাগ করি কিন্তু সে আমাকে প্রত্যুত্তর দেয়। আমি বিষয়টি খুবই না-পছন্দ করলাম। সে বলল আপনি কেন তা না পছন্দ করছেন? আল্লাহর কসম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীগণও তো তাঁর কথার প্রত্যুত্তর করেন এবং কোন কোন সময় তাদের কেউ কেউ দিন থেকে রাত পর্যন্ত কথাবার্তা বন্ধ করে দেন। পরে আমি হাফসাকে বললাম তোমরা কি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথার প্রত্যুত্তর কর? সে বললঃ হ্যাঁ আমাদের কেউ কেউ দিন থেকে রাত পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে কর্থাবর্তা বন্ধ করে থাকে।
আমি বললামঃ তোমাদের মধ্যে যে এমন কাজ করে সে তো লাঞ্ছিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ক্রোধের কারণে তার উপর আল্লাহর ক্রোধান্বিত হওয়া থেকে তোমাদের কেউ কি নিজেকে নিরাপদ মনে কর? এমতবস্থায় সে তো ধ্বংস হয়ে গেল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্মিত হাসলেন।
আমি বললাম হাফসাকে বলেছি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথার প্রত্যুত্তর করবে না এবং তার কাছে কোন কিছু চাইবে না। তোর যা মন চায় আমার কাচেই চেয়ো। তোমর যে সখী (আয়িশা) তোমার চেয়েও সুন্দরী এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট অধিক প্রিয়,তার অবস্থা যেন তোমাকে ধোকায় না ফেলে। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরেক বার স্মিত হাসলেন।
আমি বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কি আরো স্বচ্ছন্দ হব? তিনি বললেন হ্যাঁ। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন আমি মাথা উঠালাম। সারা ঘরে তিনটা চামড়া ব্যতীত আর কিছুই নজরে পড়ল না। বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর কাছে দু’আ করুন। তিনি যেন আপনার উম্মতকে স্বচ্ছন্দ্য দান করেন। পারস্য ও রোমবাসীরা আল্লাহর ইবাদত করেনা অথচ তিনি তাদের কত অর্থ-বৈভব দিয়েছেন।
এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোজা হয়ে বসলেন। বললেন হে খাত্তাব পুত্র! তুমি কি সন্দেহে আছ নাকি? এরা তো এমন সম্প্রদায় যাদের ত্বরা করে পার্থিব জীবনেই তাদের ভাল প্রতিদান সমূহ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কসম করেছিলেন যে, এক মাস পর্যন্ত স্ত্রীদের কাছে যাবেন না। এ কারণে আল্লাহ তা’য়ালা তাকে সোহাগ ভরে ভৎর্সনা করেন এবং কসমের কাফফারা প্রদানের বিধান দেন।
যুহরী (রহঃ) বলেরনঃ উরওযা বর্ণনা করেছেন যে, আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেনঃ উনত্রিশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে এলেন এবং আমার থেকে (থাকা না থাকার এখতিয়ার প্রদান বিষয়টি) শুরু করেন। বললেন হে আয়িশা! আমি তোমাকে একটি বিষয় বলেছি। তোমার পিতামাতার সঙ্গে পরামর্শ ব্যতিরেকে এ ব্যাপারে কোন তাড়াহুড়া করবে না।
আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন এর পর তিনি তেলওয়াত কররেন। (يا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لأَزْوَاجِكَ)
হে রাসুল! আপনি আপনার স্ত্রীদের বলে দিন। তোমরা যদি পার্থিব জীবন এবং এর ভূষন কামনা কর তবে এস আমি তোমাদিগের ভোগ-সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদের বিদাই দেই। আর যদি তোমরা আল্লাহ, তার রাসূল ও আখিরাত কামনা কর,তবে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল, আল্লাহ তাদের জন্য মহাপ্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন। (সূরা আহযাব ৩৩ঃ ২৮-২৯)
আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেনঃ তিনি জানতেন, কসম আল্লাহর, আমার পিতামাতা তাকে পরিত্যাগ করার পরামর্শ আমাকে কখনও দিবেন না।
আমি বললাম এ বিষয়ে আমি আমার পিতামাতার সঙ্গে কি পরামর্শ করব? আমিতো অবশ্যই আল্লাহ তাঁর রাসূল এবং আখিরাতের আবাসই কামনা করি।
মা’মার (রহঃ) বলেনঃ আয়্যুব বর্ণনা করেন যে, আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছিলেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার স্ত্রীদের অবহিত করবেন না যে, আমি আপনাকে গ্রহণ করেছি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা তো আমাকে এক মুবাল্লিগ (বাণী প্রচারক) করে পাঠিয়েছেন কষ্টদানকারী হিসেবে আমাকে পাঠান নি।
হাসান, সহীহ হাদিস সিরিজ ১৫১৬, মুসলিম জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩১৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান- সহীহ-গারীব। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একাধিক সূত্রে এটি বর্ণিত আছে।
بَاب وَمِنْ سُورَةِ التَّحْرِيمِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، رضى الله عنهما يَقُولُ لَمْ أَزَلْ حَرِيصًا أَنْ أَسْأَلَ عُمَرَ عَنِ الْمَرْأَتَيْنِ مِنْ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اللَّتَيْنِ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّْ : (إن تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا ) حَتَّى حَجَّ عُمَرُ وَحَجَجْتُ مَعَهُ فَصَبَبْتُ عَلَيْهِ مِنَ الإِدَاوَةِ فَتَوَضَّأَ فَقُلْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَنِ الْمَرْأَتَانِ مِنْ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اللَّتَانِ قَالَ اللَّهُْ : ( إن تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا وَإِنْ تَظَاهَرَا عَلَيْهِ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ مَوْلاَهُ ) فَقَالَ لِي وَاعَجَبًا لَكَ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَكَرِهَ وَاللَّهِ مَا سَأَلَهُ عَنْهُ وَلَمْ يَكْتُمْهُ فَقَالَ لِي هِيَ عَائِشَةُ وَحَفْصَةُ قَالَ ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُنِي الْحَدِيثَ فَقَالَ كُنَّا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ نَغْلِبُ النِّسَاءَ فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ وَجَدْنَا قَوْمًا تَغْلِبُهُمْ نِسَاؤُهُمْ فَطَفِقَ نِسَاؤُنَا يَتَعَلَّمْنَ مِنْ نِسَائِهِمْ فَتَغَضَّبْتُ عَلَى امْرَأَتِي يَوْمًا فَإِذَا هِيَ تُرَاجِعُنِي فَأَنْكَرْتُ أَنْ تُرَاجِعَنِي فَقَالَتْ مَا تُنْكِرُ مِنْ ذَلِكَ فَوَاللَّهِ إِنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيُرَاجِعْنَهُ وَتَهْجُرُهُ إِحْدَاهُنَّ الْيَوْمَ إِلَى اللَّيْلِ . قَالَ قُلْتُ فِي نَفْسِي قَدْ خَابَتْ مَنْ فَعَلَتْ ذَلِكَ مِنْهُنَّ وَخَسِرَتْ . قَالَ وَكَانَ مَنْزِلِي بِالْعَوَالِي فِي بَنِي أُمَيَّةَ وَكَانَ لِي جَارٌ مِنَ الأَنْصَارِ كُنَّا نَتَنَاوَبُ النُّزُولَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيَنْزِلُ يَوْمًا فَيَأْتِينِي بِخَبَرِ الْوَحْىِ وَغَيْرِهِ وَأَنْزِلُ يَوْمًا فَآتِيهِ بِمِثْلِ ذَلِكَ . قَالَ وَكُنَّا نُحَدِّثُ أَنَّ غَسَّانَ تُنْعِلُ الْخَيْلَ لِتَغْزُوَنَا . قَالَ فَجَاءَنِي يَوْمًا عِشَاءً فَضَرَبَ عَلَىَّ الْبَابَ فَخَرَجْتُ إِلَيْهِ فَقَالَ حَدَثَ أَمْرٌ عَظِيمٌ . قُلْتُ أَجَاءَتْ غَسَّانُ قَالَ أَعْظَمُ مِنْ ذَلِكَ طَلَّقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نِسَاءَهُ . قَالَ قُلْتُ فِي نَفْسِي قَدْ خَابَتْ حَفْصَةُ وَخَسِرَتْ قَدْ كُنْتُ أَظُنُّ هَذَا كَائِنًا قَالَ فَلَمَّا صَلَّيْتُ الصُّبْحَ شَدَدْتُ عَلَىَّ ثِيَابِي ثُمَّ انْطَلَقْتُ حَتَّى دَخَلْتُ عَلَى حَفْصَةَ فَإِذَا هِيَ تَبْكِي فَقُلْتُ أَطَلَّقَكُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لاَ أَدْرِي هُوَ ذَا مُعْتَزِلٌ فِي هَذِهِ الْمَشْرُبَةِ . قَالَ فَانْطَلَقْتُ فَأَتَيْتُ غُلاَمًا أَسْوَدَ فَقُلْتُ اسْتَأْذِنْ لِعُمَرَ . قَالَ فَدَخَلَ ثُمَّ خَرَجَ إِلَىَّ . قَالَ قَدْ ذَكَرْتُكَ لَهُ فَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا . قَالَ فَانْطَلَقْتُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَإِذَا حَوْلَ الْمِنْبَرِ نَفَرٌ يَبْكُونَ فَجَلَسْتُ إِلَيْهِمْ ثُمَّ غَلَبَنِي مَا أَجِدُ فَأَتَيْتُ الْغُلاَمَ فَقُلْتُ اسْتَأْذِنْ لِعُمَرَ . فَدَخَلَ ثُمَّ خَرَجَ إِلَىَّ فَقَالَ قَدْ ذَكَرْتُكَ لَهُ فَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا . قَالَ فَانْطَلَقْتُ إِلَى الْمَسْجِدِ أَيْضًا فَجَلَسْتُ ثُمَّ غَلَبَنِي مَا أَجِدُ فَأَتَيْتُ الْغُلاَمَ فَقُلْتُ اسْتَأْذِنْ لِعُمَرَ . فَدَخَلَ ثُمَّ خَرَجَ إِلَىَّ فَقَالَ قَدْ ذَكَرْتُكَ لَهُ فَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا . قَالَ فَوَلَّيْتُ مُنْطَلِقًا فَإِذَا الْغُلاَمُ يَدْعُونِي فَقَالَ ادْخُلْ فَقَدْ أُذِنَ لَكَ فَدَخَلْتُ فَإِذَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُتَّكِئٌ عَلَى رَمْلٍ حَصِيرٍ قَدْ رَأَيْتُ أَثَرَهُ فِي جَنْبِهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَطَلَّقْتَ نِسَاءَكَ قَالَ لاَ . قُلْتُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَقَدْ رَأَيْتُنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَنَحْنُ مَعْشَرَ قُرَيْشٍ نَغْلِبُ النِّسَاءَ فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ وَجَدْنَا قَوْمًا تَغْلِبُهُمْ نِسَاؤُهُمْ فَطَفِقَ نِسَاؤُنَا يَتَعَلَّمْنَ مِنْ نِسَائِهِمْ فَتَغَضَّبْتُ يَوْمًا عَلَى امْرَأَتِي فَإِذَا هِيَ تُرَاجِعُنِي فَأَنْكَرْتُ ذَلِكَ فَقَالَتْ مَا تُنْكِرُ فَوَاللَّهِ إِنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيُرَاجِعْنَهُ وَتَهْجُرُهُ إِحْدَاهُنَّ الْيَوْمَ إِلَى اللَّيْلِ . قَالَ فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ أَتُرَاجِعِينَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ نَعَمْ وَتَهْجُرُهُ إِحْدَانَا الْيَوْمَ إِلَى اللَّيْلِ . فَقُلْتُ قَدْ خَابَتْ مَنْ فَعَلَتْ ذَلِكَ مِنْكُنَّ وَخَسِرَتْ أَتَأْمَنُ إِحْدَاكُنَّ أَنْ يَغْضَبَ اللَّهُ عَلَيْهَا لِغَضَبِ رَسُولِهِ فَإِذَا هِيَ قَدْ هَلَكَتْ فَتَبَسَّمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ لاَ تُرَاجِعِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ تَسْأَلِيهِ شَيْئًا وَسَلِينِي مَا بَدَا لَكِ وَلاَ يَغُرَّنَّكِ أَنْ كَانَتْ صَاحِبَتُكِ أَوْسَمَ مِنْكِ وَأَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ فَتَبَسَّمَ أُخْرَى فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَسْتَأْنِسُ قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ فَرَفَعْتُ رَأْسِي فَمَا رَأَيْتُ فِي الْبَيْتِ إِلاَّ أَهَبَةً ثَلاَثَةً . قَالَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يُوَسِّعَ عَلَى أُمَّتِكَ فَقَدْ وَسَّعَ عَلَى فَارِسَ وَالرُّومِ وَهُمْ لاَ يَعْبُدُونَهُ . فَاسْتَوَى جَالِسًا فَقَالَ " أَوَفِي شَكٍّ أَنْتَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ أُولَئِكَ قَوْمٌ عُجِّلَتْ لَهُمْ طَيِّبَاتُهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا " . قَالَ وَكَانَ أَقْسَمَ أَنْ لاَ يَدْخُلَ عَلَى نِسَائِهِ شَهْرًا فَعَاتَبَهُ اللَّهُ فِي ذَلِكَ وَجَعَلَ لَهُ كَفَّارَةَ الْيَمِينِ . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَأَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ فَلَمَّا مَضَتْ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ دَخَلَ عَلَىَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَدَأَ بِي فَقَالَ " يَا عَائِشَةُ إِنِّي ذَاكِرٌ لَكِ شَيْئًا فَلاَ تَعْجَلِي حَتَّى تَسْتَأْمِرِي أَبَوَيْكِ " . قَالَتْ ثُمَّ قَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ ( يا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لأَزْوَاجِكَ ) الآيَةَ . قَالَتْ عَلِمَ وَاللَّهِ أَنَّ أَبَوَىَّ لَمْ يَكُونَا يَأْمُرَانِي بِفِرَاقِهِ فَقُلْتُ أَفِي هَذَا أَسْتَأْمِرُ أَبَوَىَّ فَإِنِّي أُرِيدُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الآخِرَةَ . قَالَ مَعْمَرٌ فَأَخْبَرَنِي أَيُّوبُ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لاَ تُخْبِرْ أَزْوَاجَكَ أَنِّي اخْتَرْتُكَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا بَعَثَنِي اللَّهُ مُبَلِّغًا وَلَمْ يَبْعَثْنِي مُتَعَنِّتًا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
Ibn Abbas said:
“I was ever determined to ask Umar about the two women, among the wives of the Prophet, about whom Allah [the Mighty and Sublime] said: If you two turn in repentance, your hearts are indeed so inclined… until once when Umar performed Hajj, and I performed Hajj along with him. I poured water for his Wudu from a water holder, and I said: ‘O Commander of the Believers! Who are the two women among the wives of the Prophet, about whom Allah said: If your two turn in repentance, you hearts are indeed so inclined?’ He said to me: ‘I am astonished at you O Ibn Abbas!’” – Az-Zubair (one of the narrators) said: “By Allah! He disliked what he asked him, but he did not withhold it from him.” – “He said to me: ‘It was Aishah and Hafsah.’” He said: “Then he began narrating the Hadith to me. He said: ‘We, the people of the Quraish, used to have the upper hand over our women. So when we arrived in Al-Madinah, we found a people whose women had the upper hand over them. Our women began acquiring the habits of their women. One day I became angry with my wife when she started talking back to to me, she said: “What bothers you about that? By Allah! The wives of the Prophet talk back to him, and one of them may stay away from him a whole day until the night?’” “He said: ‘I said to myself: “Whoever among them has done that, then she has thwarted herself and lost.’” “He said: ‘My house was in Al-Awali among those of Banu Umayyah, and I had a neighbor among the Ansar, and he and I would take turns visiting the Messenger of Allah.’ He said: ‘One day I would visit him and bring the news of the Revealation, and other than that, and one day he would visit him and bring the same. We heard stories that Ghassan were preparing their horses to attack us. He said: ‘One day he came to me in the evening and knocked on my door, so I went out to him. He said: “A horrible thing has happened.” I said: “Ghassan has come?” He said: “Worse than that. The Messenger of Allah has divorced his wives.’” He said: ‘I said to myself: “Hafsah has thwarted herself and is a loser! I though this would happen some day.’” He said: ‘After we prayed Subh, I put on my clothes, then went to visit Hafsah. There I found her crying. I said: “Has the Messenger of Allah divorced (all of you)?” She said: “I do not know. He has secluded himself in the upper room.’” He said: ‘So I wen, and came upon a black slave, I said: “Seek permission for Umar.’” He said: ‘So he entered then came out to me. He said: “I mentioned you to him, but he did not say anything.’” He said: ‘So I went to the Masjid. There I found a group of people sitting around the Minhar weeping, so I sat down with them. Then it became too much for me, so I went to the slave and said: “Seek permission for Umar.” He went in, then he came out to me and said: “I mentioned you to him, but he did not say anything.’” He said: ‘So I went to the Masjid again, and sat there until I could not take it any more, and I went back to the slave and said: “Seek permission for Umar.” He went in, then he came out to me and said: “I mentioned you to him but he did not say anything.’” He said: ‘So I turned to leave, when the slave called me back. He said: “Enter for he has given you permission.’” He said: ‘So I entered, and found the Prophet reclining upon a woven mat, and I saw the marks it left on his side. I said: “O Messenger of Allah! Have you divorced your women?” He said: “No.” I said: “Allahu Akbar! IF you only saw us O Messenger of Allah! We the people of the Quraish used to have the upper hand over our women, but when we came to Al-Madinah we found a people whose women had the upper hand over them. Our women began acquiring the habits of their women. One day I became angry with my wife, so when she started talking back to me I rebuked her and she said: ‘What bothers you about that? By Allah! The wives of the Prophet talk back to him, and one of them may stay away from him a whole day until the night?’” He said: “I said to Hafsah: ‘Do you talk back to the Messenger of Allah?’ She said: ‘Yes, and one of us may stay away from him all day until the night.’” He said: “I said: ‘Whoever among them has done that, then she has thwarted herself and lost. So any of you feel so secure against Allah becoming angry with you because of the anger of the Messenger of Allah, then she will be ruined?’ He said: ‘So the Prophet smiled.’ He said: ‘So I said to Hafsah: “Do not talk back to the Messenger of Allah, and don’t ask him for anything. Ask me for whatever you want. And do not be tempted by the behavior of your companions, for she is more beautiful than you, and more loved by the Messenger of Allah.’” He said: ‘So he smiled again, I said: “O Messenger of Allah! May I speak candidily?” He said: “Yes.’” He said: ‘I raised my head and did not see in the house except for three hides. So I said: “O Messenger of Allah! Supplicate to Allah to make your followers prosperous. For verily, He has made the Persians and the Romans prosper, and they do not worship Him.” He then sat up and said: “Do you have some doubts O Ibn Al-Khattab? They are a people whose good has been hastened for them in this world’s life.’” He said: ‘He swore that he would not enter upon his women for a month. So Allah censured him for that, and he made the atonement of an oath.’” Az-Zuhri said: “Urwah informed me that Aishah said: “When twenty-nine days passed, the Prophet entered upon me first, and he said: “O Aishah! I am about to mention something to you, but do not be hasty in reply until you consult your parents.’” She said: ‘Then he recited this Ayah: “O Prophet! Say to your wives.” She said: ‘I knew by Allah! That my parents would not tell me to part with him.’ She said: ‘I said: “Is it about this that I should consult with my parents? Indeed I want Allah and His Messenger and the abode of the Hereafter.” Ma’mar (one of the narrators) said: “Ayyub informed me that Aishah said to him: ‘O Messenger of Allah! Do not inform your wives that I chose you.’ So the Prophet said: ‘Allah send me only as one who conveys (Muballigh), He did not send me as one causing hardship.’”