লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২০৫৩. কুরাইশ গোত্রের মর্যাদা
৩২৫৫। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... ’উর্ওয়া ইবনু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ) এর পর আয়িশা (রাঃ) এর নিকট সকল লোকদের মধ্যে সর্বাধিক প্রিয় পাত্র ছিলেন এবং তিনি সকল লোকদের মধ্যে আয়িশা (রাঃ)-এর সবচেয়ে বেশী সদাচারী ছিলেন। আয়িশা (রাঃ) এর নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে রিযিক স্বরূপ যা কিছু আস্ত তা জমা না রেখে সাদকা করে দিতেন। এতে আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) বললেন, অধিক দান খয়রাত করা থেকে তাকে বারণ করা উচিত। তখন আয়িশা (রাঃ) বললেন, আমাকে দান করা থেকে বারণ করা হবে? আমি যদি তার সাথে কথা বলি, তাহলে আমাকে কাফ্ফারা দিতে হবে এবং আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) তাঁর নিকট কুরাইশের কতিপয় লোক, বিশেষ করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাতৃবংশের কিছু লোক দ্বারা সুপারিশ করালেন। তবুও তিনি তাঁর সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকলেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাতৃবংশ বনী যুহরার কতিপয় বিশিষ্ট লোক যাদের মধ্যে আবদুর রহমান ইবনু আস্ওয়াদ এবং মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) ছিলেন তার বললেন, আমরা যখন আয়িশা (রাঃ)-এর গৃহে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করব তখন তুমি পর্দার ভিতরে ঢুকে পড়বে। তিনি তাই করলেন। পরে ইবনু যুবায়র (রাঃ) কাফ্ফারা আদায়ের জন্য তার কাছে দশটি ক্রীতদাস পাঠিয়ে দিলেন। আয়িশা (রাঃ) তাদের সকলকে আযাদ করে দিলেন। এরপর তিনি বরাবর আযাদ করতে থাকলেন। এমনকি তার সংখ্যা চল্লিশে পৌছে। আয়িশা (রাঃ) বললেন, আমি যখন কোন কাজ করার শপথ করি, তখন আমার সংকল্প থাকে যে আমি যেন সে কাজটা করে দায়িত্ব মুক্ত হয়ে যাই এবং তিনি আরো বলেন, আমি যখন কোন কার্য সম্পাদনের শপথ করি উহা যথাযথ পূরণের ইচ্ছা রাখি।
باب مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو الأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ أَحَبَّ الْبَشَرِ إِلَى عَائِشَةَ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ، وَكَانَ أَبَرَّ النَّاسِ بِهَا، وَكَانَتْ لاَ تُمْسِكُ شَيْئًا مِمَّا جَاءَهَا مِنْ رِزْقِ اللَّهِ (إِلاَّ) تَصَدَّقَتْ. فَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يَنْبَغِي أَنْ يُؤْخَذَ عَلَى يَدَيْهَا. فَقَالَتْ أَيُؤْخَذُ عَلَى يَدَىَّ عَلَىَّ نَذْرٌ إِنْ كَلَّمْتُهُ. فَاسْتَشْفَعَ إِلَيْهَا بِرِجَالٍ مِنْ قُرَيْشٍ، وَبِأَخْوَالِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَاصَّةً فَامْتَنَعَتْ، فَقَالَ لَهُ الزُّهْرِيُّونَ أَخْوَالُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ وَالْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ إِذَا اسْتَأْذَنَّا فَاقْتَحِمِ الْحِجَابَ. فَفَعَلَ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا بِعَشْرِ رِقَابٍ، فَأَعْتَقَتْهُمْ، ثُمَّ لَمْ تَزَلْ تُعْتِقُهُمْ حَتَّى بَلَغَتْ أَرْبَعِينَ. فَقَالَتْ وَدِدْتُ أَنِّي جَعَلْتُ حِينَ حَلَفْتُ عَمَلاً أَعْمَلُهُ فَأَفْرُغَ مِنْهُ.
Narrated `Urwa bin Az-Zubair:
`Abdullah bin Az-Zubair was the most beloved person to `Aisha excluding the Prophet (ﷺ) and Abu Bakr, and he in his turn, was the most devoted to her, `Aisha used not to withhold the money given to her by Allah, but she used to spend it in charity. (`Abdullah) bin AzZubair said, " `Aisha should be stopped from doing so." (When `Aisha heard this), she said protestingly, "Shall I be stopped from doing so? I vow that I will never talk to `Abdullah bin Az-Zubair." On that, Ibn Az-Zubair asked some people from Quraish and particularly the two uncles of Allah's Messenger (ﷺ) to intercede with her, but she refused (to talk to him). Az-Zuhriyun, the uncles of the Prophet, including `Abdur-Rahman bin Al-Aswad bin `Abd Yaghuth and Al-Miswar bin Makhrama said to him, "When we ask for the permission to visit her, enter her house along with us (without taking her leave)." He did accordingly (and she accepted their intercession). He sent her ten slaves whom she manumitted as an expiation for (not keeping) her vow. `Aisha manumitted more slaves for the same purpose till she manumitted forty slaves. She said, "I wish I had specified what I would have done in case of not fulfilling my vow when I made the vow, so that I might have done it easily."