১৭৮৫

পরিচ্ছেদঃ ২১. হজ্জে ইফরাদ।

১৭৮৫. কুতায়বা ইবন সাঈদ (রহঃ) ..... জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ইহরাম (বাঁধা) অবস্থায় হজ্জে ইরফাদ আদায়েরর জন্য রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে রওনা হই। আর আয়েশা (রাঃ) কেবলমাত্র উমরার ইহরাম বাঁধেন। এরপর যখন তিনি সারীফ নামক স্থানে উপনীত হন, তখন তিনি ঋতুমতী হন। আমরা মক্কায় উপস্থিত হয়ে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সাঈ সম্পন্ন করি। আমাদের মধ্যে যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিল না, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে হালাল হতে নির্দেশ দেন।

রাবী (জাবির) বলেন, আমরা জিজ্ঞাসা করি, এই হালাল হওয়া অর্থ কি? তিনি বলেন, সর্বপ্রকার কাজের জন্য হালাল হওয়া। আমরা আমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করলাম, সুগন্ধি মাখলাম এবং (সেলাই করা) কাপড় পরিধান করলাম আর আমাদের মধ্যে ও আরাফাতের (দিনের) মধ্যে মাত্র চার রাত্রের ব্যবধান ছিল। এরপর আমরা তার অষ্টম দিন (হজ্জের) ইহরাম বাঁধি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে কাঁদতে দেখেন। তিনি তার ক্রন্দনের কারণ জিজ্ঞাসা করলে জবাবে তিনি বলেন, আমি ঋতুমতী হয়েছি। মানুষেরা (উমরার অনুষ্ঠানাদি শেষে) ইহরাম খুলেছে, আর আমি ইহরাম খুলতে পারিনি এবং বায়তুল্লাহর তাওয়াফও করতে পারলাম না। আর লোকেরা এখন হজ্জের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা’আলা এটাকে (হায়েয) আদম কন্যাদের জন্য নির্ধারিত করেছেন। তুমি গোসল কর এবং হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধ। অতএব, তিনি তা-ই করলেন এবং অবস্থানের স্থানসমূহে অবস্থান করেন। এরপর তিনি পবিত্রতা হাসিলের পর বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করেন এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সা’ঈ করেন। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এখন তুমি তোমার হজ্জ হতে হালাল হয়েছ এবং তোমার উমরা হতেও। তিনি (আয়েশা) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার মনে হচ্ছে , হজ্জের সময় আমি বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করিনি। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে আবদুর রহমান! তুমি তাকে নিয়ে তানঈম নামক স্থানে যাও এবং তাকে উমরা করাও। আর এটা ছিল হাসবার রাত (১৪ যিল-হজ্জের রাত)।

باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ أَقْبَلْنَا مُهِلِّينَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ مُفْرَدًا وَأَقْبَلَتْ عَائِشَةُ مُهِلَّةً بِعُمْرَةٍ حَتَّى إِذَا كَانَتْ بِسَرِفَ عَرَكَتْ حَتَّى إِذَا قَدِمْنَا طُفْنَا بِالْكَعْبَةِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُحِلَّ مِنَّا مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْىٌ قَالَ فَقُلْنَا حِلُّ مَاذَا فَقَالَ ‏"‏ الْحِلُّ كُلُّهُ ‏"‏ ‏.‏ فَوَاقَعْنَا النِّسَاءَ وَتَطَيَّبْنَا بِالطِّيبِ وَلَبِسْنَا ثِيَابَنَا وَلَيْسَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلاَّ أَرْبَعُ لَيَالٍ ثُمَّ أَهْلَلْنَا يَوْمَ التَّرْوِيَةِ ثُمَّ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَائِشَةَ فَوَجَدَهَا تَبْكِي فَقَالَ ‏"‏ مَا شَأْنُكِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ شَأْنِي أَنِّي قَدْ حِضْتُ وَقَدْ حَلَّ النَّاسُ وَلَمْ أَحْلِلْ وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَالنَّاسُ يَذْهَبُونَ إِلَى الْحَجِّ الآنَ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ فَاغْتَسِلِي ثُمَّ أَهِلِّي بِالْحَجِّ ‏"‏ ‏.‏ فَفَعَلَتْ ‏.‏ وَوَقَفَتِ الْمَوَاقِفَ حَتَّى إِذَا طَهُرَتْ طَافَتْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ قَدْ حَلَلْتِ مِنْ حَجِّكِ وَعُمْرَتِكِ جَمِيعًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَجِدُ فِي نَفْسِي أَنِّي لَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ حِينَ حَجَجْتُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَاذْهَبْ بِهَا يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ فَأَعْمِرْهَا مِنَ التَّنْعِيمِ ‏"‏ ‏.‏ وَذَلِكَ لَيْلَةَ الْحَصْبَةِ ‏.‏


Jabir said “We went out along with the Messenger of Allah(ﷺ) raising our voices in talbiyah for Hakk alone(Ifrad) while A’ishah raised her voice in talbiyah for an ‘Umrah. When she reached Sarif, she menstruated. When we came to (Makkah) we circumambulated the Ka’bah and ran between al Safa’ and al Marwah. The Messenger of Allah(ﷺ) then commanded us that those who had not brought sacrificial animals withthem should put off their ihram (after ‘Umrah). We asked “Which acts are lawful(and which not)? He replied All acts are lawful (that are permissible usually). We had therefore intercourse with our wives, used perfumes, put on our clothes. There remained only four days to perform Hajj at ‘Arafah. We then raised our voice in talbiyah (wearing Ihram for Hajj) on the eighth of Dhu al Hijjah. The Messenger of Allah(ﷺ) entered upon A’ishah and found her weeping. He said What is the matter with you? My problem is that I have menstruated, while the people have put on their ihram but I have not done so, nor did I go round the House(the Ka’bah). Now the people are proceeding for Hajj. He said This is a thing destined by Allah to the daughters of Adam. Take a bath, then raise your voice in talbiyah for Hajj(i.e, wear ihram for Hajj). She took a abtah and performed all the rites of the Hajj(lit. she stayed at all those places where the pilgrims stay). When she was purified, she circumambulated the House (the Ka’bah), and ran between al Safa’ and al Marwah. He (the Prophet) said “Now you have performed both your Hajj and your ‘Umrah. She said Messenger of Allah, I have some misgiving in my mind that I did not go round the Ka’bah when I performed Hajj (in the beginning). He said ‘Abd al Rahman (her brother), take her and have her perform ‘Umrah from Al Tan’im. This happened on the night of Al Hasbah(i.e., the fourteenth of Dhu Al Hijjah).