১২৩৬

পরিচ্ছেদঃ ২৮৬. শঙ্কাকালীন নামায।

ভয় ভীতির সময় যুদ্ধক্ষেত্রে নামায পড়ার পদ্ধতি এই যে, ইমাম মুসল্লিদেরকে দুই ভাগে (কাতারে) বিভক্ত করবেন এবং সকলে মিলে একত্রে তাকবীর পাঠের পর নামায আরম্ভ করবেন, অতঃপর সকলে একত্রে রুকূও করবে। অতঃপর ইমাম তাঁর নিকটবর্তী কাতারের লোকদের নিয়ে (প্রথম রাকাতের জন্য) দুইটি সিজদা করবেন। তখন পিছন কাতারের লোকজন পাহারায় মোতায়েন থাকবে। অতঃপর প্রথম কাতারের মুসল্লিরা সিজদা হতে দাঁড়াবে, তখন দ্বিতীয় কাতারের লোকজন নিজেরাই (প্রথম রাকাতের জন্য) দুইটি সিজদা করে নিবে।

অতঃপর ইমামের নিকটবর্তী মুসল্লিরা (প্রথম কাতারের) পিছনে সরে যাবে এবং পিছনের কাতারের (দ্বিতীয় সারির) লোকজন তাদের স্থানে এসে দণ্ডায়মান হবে। এই সময় ইমাম সকলকে নিয়ে রুকু করবে এবং পরে তাঁর নিকটবর্তী মুসল্লিদের নিয়ে সিজদা করবে। এসময় পিছনের কাতারের লোকেরা পাহারায় মোতায়েন থাকে। অতঃপর ইমাম যখন প্রথম সারির লোকদের সাথে বসবে তখন দ্বিতীয় সারির লোকেরা (দ্বিতীয় রাকাতের জন্য) সিজদা করবে। অতঃপর সকলে একত্রে বসে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবে।


১২৩৬. সাইদ ইবন মানসুর (রহঃ) ..... আবু আয়্যাশ আয-যুরাকি (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে উসফান নামক স্থানে (জুহফা ও মক্কার মধ্যে) ছিলাম। ঐ সময় খালিদ ইবন ওয়ালিদ (রাঃ) মুশরিকদের দলভুক্ত ছিলেন। অতঃপর আমরা যখন যুহরের নামায জামায়াতে আদায় করি, তখন মুশরিকরা বলাবলি করতে থাকেঃ আমরা ধোঁকা ও গাফলতের মধ্যে আছি। যদি আমরা তাদেরকে (মুসলিম) তাদের নামাযের অবস্থায় হামলা করতাম (তবে খুবই উত্তম হত)। এসময় যুহর ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ে কসরের আয়াত নাযিল হয়। অতঃপর আসরের নামাযের সময় হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলা মুখী হয়ে মুশরিকদের মুখোমুখি অবস্থায় দাঁড়ান। এ সময় নামাযের উদ্দেশে তাঁর পিছনে পর পর দুইটি সফ (কাতার) বেঁধে (সকলে দণ্ডায়মান হলে তিনি নামায শুরু করে) সকলকে নিয়ে এক সঙ্গে রুকূতে যান।

অতঃপর (প্রথম রাকাতের) সিজদার সময় কেবলমাত্র প্রথম কাতারের লোকজন (তাঁর সাথে) সিজদায় যায় এবং দ্বিতীয় কাতারের লোকজন তাঁদের পাহারায় মোতায়েন থাকে। অতপর প্রথম কাতারের লোকেরা সিজদা শেষে দণ্ডায়মান হলে দ্বিতীয় কাতারের লোকজন নিজেরাই (প্রথম রাকাতের) স্ব স্ব সিজদা আদায় করেন। অতঃপর প্রথম কাতারের লোকজন পিছনে সরে এলে তথায় দ্বিতীয় কাতারের লোকজন এসে দাঁড়ায়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সকলে একসঙ্গে দ্বিতীয় রাকাতের রুকু আদায় করার পর তিনি তাঁর নিকটবর্তী কাতারের লোকদের নিয়ে (দ্বিতীয় রাকাতের) সিজদায় যান। এই সময় পিছনের কাতারের লোকেরা তাঁদের পাহারায় নিযুক্ত থাকে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকটবর্তী লোকদের নিয়ে (সিজদা শেষে) যখন বসেন তখন পিছনের কাতারের লোকেরা স্ব স্ব সিজদা আদায় করে বসে পড়েন। তখন তিনি তাঁদের সাথে একত্রে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করেন। একইভাবে তিনি উসফান ও সুলায়ম গোত্রের বিরুদ্ধে অভিযান কালে নামায আদায় করেন। (নাসাঈ)।

باب صَلاَةِ الْخَوْفِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي عَيَّاشٍ الزُّرَقِيِّ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعُسْفَانَ وَعَلَى الْمُشْرِكِينَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَصَلَّيْنَا الظُّهْرَ فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ لَقَدْ أَصَبْنَا غِرَّةً لَقَدْ أَصَبْنَا غَفْلَةً لَوْ كُنَّا حَمَلْنَا عَلَيْهِمْ وَهُمْ فِي الصَّلاَةِ فَنَزَلَتْ آيَةُ الْقَصْرِ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فَلَمَّا حَضَرَتِ الْعَصْرُ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ وَالْمُشْرِكُونَ أَمَامَهُ فَصَفَّ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَفٌّ وَصَفَّ بَعْدَ ذَلِكَ الصَّفِّ صَفٌّ آخَرُ فَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَكَعُوا جَمِيعًا ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَ الصَّفُّ الَّذِينَ يَلُونَهُ وَقَامَ الآخَرُونَ يَحْرُسُونَهُمْ فَلَمَّا صَلَّى هَؤُلاَءِ السَّجْدَتَيْنِ وَقَامُوا سَجَدَ الآخَرُونَ الَّذِينَ كَانُوا خَلْفَهُمْ ثُمَّ تَأَخَّرَ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ إِلَى مَقَامِ الآخَرِينَ وَتَقَدَّمَ الصَّفُّ الأَخِيرُ إِلَى مَقَامِ الصَّفِّ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَكَعُوا جَمِيعًا ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ وَقَامَ الآخَرُونَ يَحْرُسُونَهُمْ فَلَمَّا جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ سَجَدَ الآخَرُونَ ثُمَّ جَلَسُوا جَمِيعًا فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ جَمِيعًا فَصَلاَّهَا بِعُسْفَانَ وَصَلاَّهَا يَوْمَ بَنِي سُلَيْمٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى أَيُّوبُ وَهِشَامٌ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ هَذَا الْمَعْنَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَذَلِكَ رَوَاهُ دَاوُدُ بْنُ حُصَيْنٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَكَذَلِكَ عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرٍ وَكَذَلِكَ قَتَادَةُ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ حِطَّانَ عَنْ أَبِي مُوسَى فِعْلَهُ وَكَذَلِكَ عِكْرِمَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَذَلِكَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ ‏.‏


Narrated AbuAyyash az-Zuraqi: We accompanied the Messenger of Allah (ﷺ) at Usfan, and Khalid ibn al-Walid was the chief of unbelievers. We offered the noon prayer. Thereupon, the unbelievers said: We suffered from negligence; we became careless. We should have attacked them while they were praying. Thereupon the verse was revealed, relating to the shortening of the prayer (in time of danger) between the noon and afternoon (prayer). When the time of the afternoon prayer came, the Messenger of Allah (ﷺ) stood facing the qiblah, and the unbelievers were standing in front of him. The people stood in a row behind the Messenger of Allah (ﷺ) and there was another row behind this row. The Messenger of Allah (ﷺ) bowed and all of them bowed. He then prostrated and also the row near him prostrated. The other people in the second row remained standing and stood guard over them. When they performed two prostrations and stood up, those who were behind them prostrated. The people in the front row near him then stepped backward taking the place of the people in the second row and the second row took the place of the first row. The Messenger of Allah (ﷺ) then bowed and all of them bowed together. Then he and the row near him prostrated themselves. The other people in the second row remained standing and stood guard over them. When the Messenger of Allah (ﷺ) and the row near him (i.e. the front row) were seated, the people in the second row behind them prostrated themselves. Then all of them were seated. (He (the Prophet) then uttered the salutation upon all of them. He prayed in his manner at Usfan as well as at the territory of Banu Sulaym. Abu Dawud said: This tradition has been narrated by Ayyub and Hisham from Abu al-Zubair on the authority of Jabir to the same effect from the Prophet (ﷺ). Similarly, this has been transmitted by Dawud b. Husain from 'Ikrimah, on the authority of Ibn 'Abbas. This has also been reported by 'Abd al-Malik, from 'Ata' from Jabir in like manner. This has also been narrated by Qatadah from al-Hasan from Hittan on the authority of Abu Musa in a similar way. Similarly, this has been reported by 'Ikrimah b. Khalid from Mujahid from the Prophet (ﷺ). This has also been reported by Hisham b. 'Urwah from his father from the Prophet (ﷺ). This is the opinion of al-Thawri.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ