৫১৩১

পরিচ্ছেদঃ ৬৭/৩৮. ওয়ালী বা অভিভাবক নিজেই যদি বিয়ের প্রার্থী হয়।

وَخَطَبَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ امْرَأَةً هُوَ أَوْلَى النَّاسِ بِهَا فَأَمَرَ رَجُلاً فَزَوَّجَهُ.

وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ عَوْفٍ لِأُمِّ حَكِيمٍ بِنْتِ قَارِظٍ أَتَجْعَلِينَ أَمْرَكِ إِلَيَّ قَالَتْ نَعَمْ فَقَالَ قَدْ زَوَّجْتُكِ. وَقَالَ عَطَاءٌ لِيُشْهِدْ أَنِّي قَدْ نَكَحْتُكِ أَوْ لِيَأْمُرْ رَجُلاً مِنْ عَشِيرَتِهَا.

وَقَالَ سَهْلٌ قَالَتْ امْرَأَةٌ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلمأَهَبُ لَكَ نَفْسِي فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنْ لَمْ تَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ فَزَوِّجْنِيهَا.

মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) এমন এক মহিলার সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেন, যার নিকটতম অভিভাবক তিনিই ছিলেন। সুতরাং তিনি অন্য একজনকে তার সঙ্গে বিয়ে বন্ধনের আদেশ দিলে সে ব্যক্তি তার সঙ্গে বিয়ে করিয়ে দিলেন।

’আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ (রাঃ) উম্মু হাকীম বিনতে কারিয (রাঃ)-কে বললেন, তুমি কি তোমার বিয়ের ব্যাপারে আমাকে দায়িত্ব দেবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। ’আবদুর রহমান (রাঃ) বললেন, আমি তোমাকে বিয়ে করলাম। ’আত্বা বলেন, অভিভাবক লোকদেরকে সাক্ষী রেখে বলবে, আমি তোমাকে বিয়ে করলাম, অথবা ঐ মহিলার নিকটতম আত্মীয়দের কাউকে তার কাছে তাকে বিয়ে দেয়ার জন্য বলবে।

সাহল (রাঃ) বলেন, একজন মহিলা এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বলল, আমি নিজেকে আপনার কাছে সমর্পণ করলাম। এরপর একজন লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এই মহিলাকে যদি আপনার প্রয়োজন না থাকে, তাহলে আমার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিন।


৫১৩১. ’আয়িশাহ (রাঃ) আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে বলেন, এ আয়াত হচ্ছে ’’লোকেরা তোমার কাছে নারীদের সম্বন্ধে বিধান জানতে চাচ্ছে। বলে দাও, ’আল্লাহ তাদের সম্বন্ধে তোমাদেরকে বিধান জানিয়ে দিচ্ছেন.....’’- (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১২৭)। এ আয়াত হচ্ছে ইয়াতীম বালিকাদের সম্পর্কে, যারা কোন অভিভাবকের অধীনে আছে এবং তারা ঐ অভিভাবকের ধন-সম্পদেও অংশীদার; অথচ সে নিজে ওকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক নয় এবং অন্য কেউ তাদেরকে বিয়ে করুক এবং ধন-সম্পদে ভাগ বসাক তাও সে পছন্দ করে না। তাই সে তার বিয়েতে বাধার সৃষ্টি করে। সুতরাং আল্লাহ্ তা’আলা এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৭৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৫৫)

بَاب إِذَا كَانَ الْوَلِيُّ هُوَ الْخَاطِبَ

حَدَّثَنَا ابْنُ سَلاَمٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ فِي قَوْلِهِ ‏(‏وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ، قَالَتْ هِيَ الْيَتِيمَةُ تَكُونُ فِي حَجْرِ الرَّجُلِ، قَدْ شَرِكَتْهُ فِي مَالِهِ، فَيَرْغَبُ عَنْهَا أَنْ يَتَزَوَّجَهَا، وَيَكْرَهُ أَنْ يُزَوِّجَهَا غَيْرَهُ، فَيَدْخُلَ عَلَيْهِ فِي مَالِهِ، فَيَحْبِسُهَا، فَنَهَاهُمُ اللَّهُ عَنْ ذَلِكَ‏.‏


Narrated `Aisha: (regarding His Statement): 'They ask your instruction concerning the women. Say: Allah instructs you about them ...' (4.127) It is about the female orphan who is under the guardianship of a man with whom she shares her property and he does not want to marry her and dislikes that someone else should marry her, lest he should share the property with him, so he prevents her from marrying. So Allah forbade such a guardian to do so (i.e. to prevent her from marrying).