লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৬৩/৬. আল্লাহর বাণীঃ আপনি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন অথবা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না করেন উভয়ই তাদের জন্য সমান। আল্লাহ্ তাদেরকে কখনও ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ্ তো পাপাচারী লোকদেরকে হিদায়াতের তাওফীক দান করেন না। (সূরাহ মুনাফিকুন ৬৩/৬)
৪৯০৫. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক যুদ্ধে আমরা উপস্থিত ছিলাম। বর্ণনাকারী সুফ্ইয়ান (রহ.) একবার جَيْشٍ এর স্থলে غَزَاةٍ বর্ণনা করেছেন। এ সময় জনৈক মুহাজির এক আনসারীর নিতম্বে আঘাত করলেন। তখন আনসারী হে আনসারী ভাইগণ! বলে সাহায্য প্রার্থনা করলেন এবং মুহাজির সাহাবী, ওহে মুহাজির ভাইগণ! বলে সাহায্য প্রার্থনা করলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শুনে বললেন, কী খবর, জাহিলী যুগের মত ডাকাডাকি করছ কেন? তখন উপস্থিত লোকেরা বললেন, এক মুহাজির এক আনসারীর নিতম্বে আঘাত করেছে। তিনি বললেন, এমন ডাকাডাকি পরিত্যাগ কর। এটা অত্যন্ত গন্ধময় কথা। এরপর ঘটনাটি ’আবদুল্লাহ্ ইবনু উবায়র কানে পৌঁছল, সে বলল, আচ্ছা, মুহাজিররা এমন কাজ করেছে? ’’আল্লাহর কসম! আমরা মদিনা্য় ফিরলে সেখান থেকে প্রবল লোকেরা দুর্বল লোকেদেরকে অবশ্যই বের করে দিবে।’
এ কথা নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পৌঁছল। তখন ’উমার (রাঃ) উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে অনুমতি দিন। আমি এক্ষুণি এ মুনাফিকের গর্দান উড়িয়ে দিচ্ছি। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ কথা বলতে না পারে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সঙ্গী-সাথীদেরকে হত্যা করেন। জাবির (রাঃ) বলেন, মুহাজিররা যখন মদিনা্য় হিজরত করে আসেন, তখন মুহাজিরদের তুলনায় আনসাররা সংখ্যায় বেশি ছিলেন। অবশ্য পরে মুহাজিররা সংখ্যায় বেশি হয়ে যান। সুফ্ইয়ান (রহ.).....বলেন, এ হাদীসটি আমি আমর (রহ.) থেকে মুখস্থ করেছি। ’আমর (রহ.) বলেন, আমি জাবির (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। [৩৫১৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৩৭. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৪১)
بَاب قَوْلُهُ :{سَوَآءٌ عَلَيْهِمْ أَسْتَغْفَرْتَ لَهُمْ أَمْ لَمْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ ط لَنْ يَّغْفِرَ اللهُ لَهُمْ ط إِنَّ اللهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفٰسِقِيْنَ}.
عَلِيٌّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ عَمْرٌو سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كُنَّا فِيْ غَزَاةٍ قَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً فِيْ جَيْشٍ فَكَسَعَ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِيْنَ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَالَ الْأَنْصَارِيُّ يَا لَلْأَنْصَارِ وَقَالَ الْمُهَاجِرِيُّ يَا لَلْمُهَاجِرِيْنَ فَسَمِعَ ذَلِكَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَا بَالُ دَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ كَسَعَ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِيْنَ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَالَ دَعُوْهَا فَإِنَّهَا مُنْتِنَةٌ فَسَمِعَ بِذَلِكَ عَبْدُ اللهِ بْنُ أُبَيٍّ فَقَالَ فَعَلُوْهَا أَمَا وَاللهِ لَئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِيْنَةِ لَيُخْرِجَنَّ الْأَعَزُّ مِنْهَا الْأَذَلَّ فَبَلَغَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ عُمَرُ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ دَعْنِيْ أَضْرِبْ عُنُقَ هَذَا الْمُنَافِقِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم دَعْهُ لَا يَتَحَدَّثُ النَّاسُ أَنَّ مُحَمَّدًا يَقْتُلُ أَصْحَابَهُ وَكَانَتْ الْأَنْصَارُ أَكْثَرَ مِنَ الْمُهَاجِرِيْنَ حِيْنَ قَدِمُوا الْمَدِيْنَةَ ثُمَّ إِنَّ الْمُهَاجِرِيْنَ كَثُرُوْا بَعْدُ قَالَ سُفْيَانُ فَحَفِظْتُهُ مِنْ عَمْرٍو قَالَ عَمْرٌو سَمِعْتُ جَابِرًا كُنَّا مَعَ النَّبِيِ صلى الله عليه وسلم
Narrated Jabir bin `Abdullah:
We were in a Ghazwa (Sufyan once said, in an army) and a man from the emigrants kicked an Ansari man (on the buttocks with his foot). The Ansari man said, "O the Ansar! (Help!)" and the emigrant said. "O the emigrants! (Help!) Allah's Messenger (ﷺ) heard that and said, "What is this call for, which is characteristic of the period of ignorance?" They said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! A man from the emigrants kicked one of the Ansar (on the buttocks with his foot)." Allah's Messenger (ﷺ) said, "Leave it (that call) as is a detestable thing." `Abdullah bin Ubai heard that and said, 'Have the (the emigrants) done so? By Allah, if we return Medina, surely, the more honorable will expel therefrom the meaner." When this statement reached the Prophet. `Umar got up an, said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Let me chop off the head of this hypocrite (`Abdullah bin Ubai)!" The Prophet (ﷺ) said "Leave him, lest the people say that Muhammad kills his companions." The Ansar were then more in number than the emigrants when the latter came to Medina, but later on the emigrant increased.