২৬০১

পরিচ্ছেদঃ ৫১/২১. এক ব্যক্তির নিকট প্রাপ্য ঋণ অনকে দান করে দেয়া।

قَالَ شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ هُوَ جَائِزٌ وَوَهَبَ الحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ عَلَيْهِمَا السَّلَام لِرَجُلٍ دَيْنَهُ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَ لَهُ عَلَيْهِ حَقٌّ فَلْيُعْطِهِ أَوْ لِيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ فَقَالَ جَابِرٌ قُتِلَ أَبِيْ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ فَسَأَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم غُرَمَاءَهُ أَنْ يَقْبَلُوْا ثَمَرَ حَائِطِيْ وَيُحَلِّلُوْا أَبِي

শু‘বা (রহ.) হাকাম (রহ.) থেকে বর্ণনা করে বলেন যে, তা বৈধ। হাসান ইবনু ‘আলী (রাঃ) তার পাওনা টাকা এক ব্যক্তিকে দান করেছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, কারো যিম্মায় কোন হক থাকলে তার দায়িত্ব সেটা পরিশোধ করে দেয়া, কিংবা হকদারের নিকট হতে মাফ করিয়ে নেয়া। জাবির (রাঃ) বলেন, আমার পিতা ঋণগ্রস্ত অবস্থায় শহীদ হলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার বাগানের খেজুরের বিনিময়ে আমার পিতাকে ঋণ হতে মুক্ত করতে পাওনাদারদেরকে বললেন।


২৬০১. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উহুদ যুদ্ধে তাঁর পিতা শহীদ হলেন। পাওনাদাররা তাদের পাওনা আদায়ের ব্যাপারে শক্ত মনোভাব অবলম্বন করল। তখন আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট হাযির হয়ে তাঁকে এ বিষয়ে বললাম। তখন তিনি তাদেরকে আমার বাগানের খেজুর নিয়ে আমার পিতাকে ঋণমুক্ত করতে বললেন। কিন্তু তারা অস্বীকার করল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার বাগান তাদের দিলেন না এবং তাদের ফল কাটতেও দিলেন না। বরং তিনি বললেন, আগামীকাল ভোরে আমি তোমাদের নিকট যাব। জাবির (রাঃ) বলেন, পরদিন সকালে তিনি আমাদের নিকট আগমন করলেন এবং খেজুর বাগানে ঘুরে ঘুরে ফলের বরকতের জন্য দু‘আ করলেন। অতঃপর আমি ফল কেটে এনে তাদের ঋণ পরিশোধ করলাম। অতঃপরও সেই ফলের কিছু অংশ রয়ে গেল। পরে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট হাযির হয়ে তাঁকে সে সম্পর্কে জানালাম। তখন তিনি উপবিষ্ট ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উমরকে বললেন, শোন হে উমর! তখন তিনিও সেখানে উপবিষ্ট ছিলেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমরা কি আগে থেকেই জানি না যে, আপনি আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম! নিঃসন্দেহে আপনি আল্লাহর রাসূল। (২১২৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪২৯)

 

بَابُ إِذَا وَهَبَ دَيْنًا عَلَى رَجُلٍ

حَدَّثَنَا عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِيْ يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ ابْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ شَهِيْدًا فَاشْتَدَّ الْغُرَمَاءُ فِيْ حُقُوقِهِمْ فَأَتَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَكَلَّمْتُهُ فَسَأَلَهُمْ أَنْ يَقْبَلُوْا ثَمَرَ حَائِطِيْ وَيُحَلِّلُوْا أَبِيْ فَأَبَوْا فَلَمْ يُعْطِهِمْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَائِطِيْ وَلَمْ يَكْسِرْهُ لَهُمْ وَلَكِنْ قَالَ سَأَغْدُوْ عَلَيْكَ إِنْ شَاءَ اللهُ فَغَدَا عَلَيْنَا حِيْنَ أَصْبَحَ فَطَافَ فِي النَّخْلِ وَدَعَا فِيْ ثَمَرِهِ بِالْبَرَكَةِ فَجَدَدْتُهَا فَقَضَيْتُهُمْ حُقُوقَهُمْ وَبَقِيَ لَنَا مِنْ ثَمَرِهَا بَقِيَّةٌ ثُمَّ جِئْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ جَالِسٌ فَأَخْبَرْتُهُ بِذَلِكَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِعُمَرَ اسْمَعْ وَهُوَ جَالِسٌ يَا عُمَرُ فَقَالَ أَلَا يَكُوْنُ قَدْ عَلِمْنَا أَنَّكَ رَسُوْلُ اللهِ وَاللهِ إِنَّكَ لَرَسُوْلُ اللهِ


Narrated Jabir bin `Abdullah: My father was martyred on the day (of the battle) of Uhud and his creditors demanded the debt back in a harsh manner. So I went to Allah's Messenger (ﷺ) and informed him of that, he asked them to accept the fruits of my garden and excuse my father, but they refused. So, Allah's Messenger (ﷺ) did not give them the fruits, nor did he cut them and distribute them among them, but said, "I will come to you tomorrow morning." So, he came to us the next morning and walked about in between the date-palms and invoked Allah to bless their fruits. I plucked the fruits and gave back all the rights of the creditors in full, and a lot of fruits were left for us. Then I went to Allah's Messenger (ﷺ), who was sitting, and informed him about what happened. Allah's Messenger (ﷺ) told `Umar, who was sitting there, to listen to the story. `Umar said, "Don't we know that you are Allah's Messenger (ﷺ)? By Allah! you are Allah's Messenger (ﷺ)!"