১৭১৯

পরিচ্ছেদঃ ২৫/১২৩. পরিচ্ছেদ নাই।

25/123. بَاب

২৫/১২৩. অধ্যায় :

(وَإِذْ بَوَّأْنَا لإِبْرَاهِيمَ مَكَانَ الْبَيْتِ أَنْ لاَ تُشْرِكْ بِي شَيْئًا وَطَهِّرْ بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ وَأَذِّنْ فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ يَأْتُوكَ رِجَالاً وَعَلَى كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِينَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ لِيَشْهَدُوا مَنَافِعَ لَهُمْ وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللهِ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ عَلَى مَا رَزَقَهُمْ مِنْ بَهِيمَةِ الأَنْعَامِ فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْبَائِسَ الْفَقِيرَ ثُمَّ لْيَقْضُوا تَفَثَهُمْ وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ وَلْيَطَّوَّفُوا بِالْبَيْتِ الْعَتِيقِ ذَلِكَ وَمَنْ يُعَظِّمْ حُرُمَاتِ اللهِ فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ عِنْدَ رَبِّهِ)

’’যখন আমি ইবরাহীমকে কা’বা গৃহের স্থান নির্ধারণ করে বলেছিলাম যে, আমার সাথে কোন কিছু শারীক করো না এবং আমার গৃহকে পবিত্র রেখ তাওয়াফকারীদের জন্য, সালাতে দন্ডায়মান লোকেদের জন্য, রুকু’কারী ও সিজদাকারীদের জন্য এবং মানুষের মধ্যে হাজ্জের জন্য ঘোষণা করে দাও, তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সব ধরনের দুর্বল উটের পিঠে সাওয়ার হয়ে, তারা আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে। যাতে তারা উপস্থিত হতে পারে তাদের কল্যাণময় স্থানে এবং তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে নির্দিষ্ট দিনগুলোতে সে সব চতুষ্পদ জন্তু যবহ করার সময় যা তাদেরকে তিনি রিয্ক হিসেবে দান করেছেন। অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং বিপন্ন, অভাবগ্রস্তকেও খাওয়াও। তারপর তারা যেন দূর করে ফেলে নিজেদের শরীরের অপরিচ্ছন্নতা এবং নিজেদের মানৎ পূর্ণ করে ও প্রাচীন কা’বাগৃহের তাওয়াফ করে। এটাই বিধান। আর যে কেউ আল্লাহর পবিত্র অনুষ্ঠান সমূহের মর্যাদা রক্ষা করে তার জন্য তা হবে তার রবের কাছে উত্তম। তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে চতুষ্পদ জন্তু। ঐগুলো ছাড়া যা তোমাদেরকে পাঠ করে শুনানো হয়েছে। সুতরাং তোমরা দূরে থাক মূর্তি পূজার অপবিত্রতা হতে এবং দূরে থাক মিথ্যা কথা হতে।’’ (আল-হাজ্জঃ ২৬-৩০)

وَقَالَ عُبَيْدُ اللهِ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ لاَ يُؤْكَلُ مِنْ جَزَاءِ الصَّيْدِ وَالنَّذْرِ وَيُؤْكَلُ مِمَّا سِوَى ذَلِكَ وَقَالَ عَطَاءٌ يَأْكُلُ وَيُطْعِمُ مِنْ الْمُتْعَةِ

’উবায়দুল্লাহ (রহ.) নাফি’ (রহ.) সূত্রে ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। শিকারের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ এবং মানতের জন্য যে জানোয়ার যবহ করা হয়, তা খাওয়া যাবে না। এছাড়া অন্যান্য সব কুরবানীর গোশ্ত খাওয়া যাবে। ’আত্বা (রহ.) বলেন, তামাত্তু’র কুরবানীর মাংস খেতে পারবে এবং (অন্যকেও) খাওয়াতে পারবে।


১৭১৯. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আমাদের কুরবানীর গোশ্ত মিনা’র তিন দিনের বেশি খেতাম না। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অনুমতি দিলেন এবং বললেনঃ খাও এবং সঞ্চয় করে রাখ। তাই আমরা খেলাম এবং সঞ্চয়ও করলাম। রাবী বলেন, আমি ’আত্বা (রহ.)-কে বললাম, জাবির (রাঃ) কি বলেছেন আমরা মদ্বীনায় আসা পর্যন্ত? তিনি বললেন, না। (২৯৮০, ৫৪২৪, ৫৫৬৭, মুসলিম ৩৫/৫, হাঃ ১৯৭২, আহমাদ ১৪৪১৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬০১. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬০৮ )

بَاب

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ حَدَّثَنَا عَطَاءٌ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يَقُولُ كُنَّا لاَ نَأْكُلُ مِنْ لُحُومِ بُدْنِنَا فَوْقَ ثَلاَثِ مِنًى فَرَخَّصَ لَنَا النَّبِيُّ فَقَالَ كُلُوا وَتَزَوَّدُوا فَأَكَلْنَا وَتَزَوَّدْنَا قُلْتُ لِعَطَاءٍ أَقَالَ حَتَّى جِئْنَا الْمَدِينَةَ قَالَ لاَ


Narrated Ibn Juraij: `Ata' said, "I heard Jabir bin `Abdullah saying, 'We never ate the meat of the Budn for more than three days of Mina. Later, the Prophet (ﷺ) gave us permission by saying: 'Eat and take (meat) with you. So we ate (some) and took (some) with us.' " I asked `Ata', "Did Jabir say (that they went on eating the meat) till they reached Medina?" `Ata' replied, "No."