পরিচ্ছেদঃ ২৩/৯৮. মৃতদের দোষ-ত্রুটি আলোচনা করা।
১৩৯৪. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ লাহাব লানাতুল্লাহি ’আলাইহি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে লক্ষ্য করে বললো, সারা দিনের জন্য তোমার অনিষ্ট হোক! (তার এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে) নাযিল হয়ঃ (যার অর্থ) ’’আবূ লাহাবের হাত দু’টো ধ্বংস হোক এবং সেও ধ্বংস হোক’’- (আল-মাসাদঃ ১)। (৩৫২৫, ৩৫২৬, ৪৭৭০, ৪৮০১, ৪৯৭১, ৪৯৭২, ৪৯৭৩, মুসলিম ১/৮৯, হাঃ ২০৮, আহমাদ ২৮০২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩১২)*
*মানুষ মৃত্যুর দুয়ারে উপনীত হলে বা তার মৃত্যুর পর তার রূহ, জানাযা ও কবরকে ঘিরে বিভিন্নমুখী নাজায়িয ও বিদ‘আতী কার্যকলাপ মুসলিমদের অজ্ঞতা ও বাড়াবাড়ির কারণে সমাজে চালু হয়ে গেছে। বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস নাসিরুদ্দীন আলবানী তাঁর প্রণীত কিতাব “আহকামুল জানায়িয”-এ এ রকম ২৪১টি বিদ‘আতের কথা উল্লেখ করেছেন। আমাদেরকে অবশ্যই এ সব বিদ‘আত থেকে বেঁচে থাকতে হবে। পাঠকগণ মূল কিতাবটি সংগ্রহ করে জেনে নিবেন। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো :
(১) মরণাপন্ন ব্যক্তির পাশে বা মৃতের পাশে বা তার কবরের পাশে বা অন্য জায়গায় তাকে সওয়াব পৌঁছানোর আশায়, সূরা ইয়াসিন বা সূরা ফাতিহা বা সূরা ইখলাস বা কূরআনের যে কোন সূরা পাঠ করা বা তাসবীহ পাঠ করা বা কুরআন খতম করা। (২) কাফনে দু‘আ লেখা। (৩) জানাযাকে সুসজ্জিত করা। (৪) যিক্র, কুরআন তিলাওয়াতের দ্বারা উচ্চ আওয়াজ করা। (৫) উপস্থিত লোকদের নিকট হতে মৃতের প্রশংসাগীতি আদায় করা। (৬) মাটি প্রথম নিক্ষেপে ‘মিনহা খালাকনাকুম, ২য় নিক্ষেপে ওয়া ফীহা নু‘য়ীদুকুম এবং ৩য় নিক্ষেপে ওয়া মিনহা ..... উখরা’ পড়া। (৭) কবরের পাশে বা অন্য কোন স্থানে শোক পালনের জন্য একত্রিত হওয়া বা শোক প্রকাশ করা। (৮) মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা। (৯) মৃতের জন্য প্রথম দিনে বা তৃতীয় দিনে বা সপ্তম দিনে বা চল্লিশতম দিনে বা বর্ষপূর্তিতে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করে সিওম, কুলখানী, চল্লিশা বা মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠান পালন করা। (১০) নেকী পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে মৃত্যুর পূর্বে ভোজন বা মেহমানদারীর জন্য, কুরআন তিলাওয়াত, তাসবীহ তাহলীল, নফল সালাত, ইসতিগফার ও নাবী সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি দরূদ পড়ার জন্য টাকা-পয়সা ওয়াক্ফ করা বরাদ্দ করা। (১১) নির্দিষ্ট করে মৃত্যুর তিনদিন পর এবং সপ্তাহের প্রথমে অতঃপর ১৫তম দিনে ও চল্লিশতম দিনে বা প্রতি জুমু‘আর দিনে বা আশুরার দিনে বা শা’বানের ১৫ তারিখে বা দুই ঈদের দিনে কবর যিয়ারত করা। (১২) সালাতের মত দু’হাত বেঁধে কবরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা, অতঃপর বসা। (১৩) দু‘আ কবুল হবে এ আশায় দু‘আ করার জন্য কবরস্থানে গমন করা। (১৪) কবরে শায়িত ব্যক্তির মাধ্যমে বা অসীলায় আল্লাহর নিকট সাহায্য চাওয়া। (১৫) নাবী ও সৎ লোকদের কবর যিয়ারত করার জন্য সফর করা। (১৬) কবরে মাসজিদ নির্মাণ করা বা দেয়াল, খুঁটি, ঘর বা সেতু নির্মাণ করা বা সুসজ্জিত করা। (১৭) কবরকে স্পর্শ করা, চুমু দেয়া, পেট ও পিঠ লাগানো বা কবরের ধূলাবালি গালে লাগানো। (১৮) যিক্র, সালাত, সিয়াম বা জবেহ্ করার জন্য কবরে যাওয়ার মনস্থ করা। (১৯) কবরের সম্মান বা সেবা করার জন্য কবরে অবস্থান করা। (২০) আল্লাহ ছাড়া রসূলের কাছে সাহায্য চাওয়া। (২১) নাবী (‘আ.) ও পরহেযগার ব্যক্তিবর্গের কবর মাসাহ করা, তাওয়াফ করা, চুমু দেয়া এবং পেট ও পিঠ লাগানো। (২২) মৃতের নখ কাটা ও গুপ্তাঙ্গের চুল কাটা। (২৩) নাপাকী না থাকা সত্ত্বে জানাযার সালাতে জুতা খুলে দাঁড়ানো।
بَاب ذِكْرِ شِرَارِ الْمَوْتَى
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ أَبُو لَهَبٍ عَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ لِلنَّبِيِّ تَبًّا لَكَ سَائِرَ الْيَوْمِ فَنَزَلَتْ (تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ) (المسد : 1)