লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৮/১৮. ছাদ, মিম্বার ও কাঠের উপর সালাত আদায় করা।
قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ وَلَمْ يَرَ الْحَسَنُ بَأْسًا أَنْ يُصَلَّى عَلَى الْجُمْدِ وَالْقَنَاطِرِ وَإِنْ جَرَى تَحْتَهَا بَوْلٌ أَوْ فَوْقَهَا أَوْ أَمَامَهَا إِذَا كَانَ بَيْنَهُمَا سُتْرَةٌ وَصَلَّى أَبُو هُرَيْرَةَ عَلَى سَقْفِ الْمَسْجِدِ بِصَلاَةِ الْإِمَامِ وَصَلَّى ابْنُ عُمَرَ عَلَى الثَّلْجِ
আবূ ’আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহ.) বলেনঃ হাসান বাসরী (রহ.) বরফ ও পুলের উপর সালাত আদায় করা দোষের মনে করতেন না- যদিও তার নীচ দিয়ে, উপর দিয়ে অথবা সামনের দিক দিয়ে পেশাব প্রবাহিত হয়; যদি উভয়ের মাঝে কোন ব্যবধান থাকে। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) মসজিদের ছাদে ইমামের সাথে সালাত আদায় করেছিলেন। ইবনু ’উমার (রাযি.) বরফের উপর সালাত আদায় করেছেন।
৩৭৭. আবূ হাযিম (রহ.) হতে বর্ণিত যে, লোকেরা সাহল ইবনু সা’দ (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করল (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর) মিম্বার কিসের তৈরি ছিল? তিনি বললেনঃ এ বিষয়ে আমার চেয়ে বেশি জ্ঞাত আর কেউ নেই। তা ছিল গাবা নামক স্থানের ঝাউগাছের কাঠ দিয়ে তৈরি। অমুক মহিলার আযাদকৃত দাস অমুক ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্যে তা তৈরি করেছিল। তা পুরোপুরি তৈরি ও স্থাপিত হবার পর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উপর দাঁড়িয়ে ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)হর দিকে মুখ করে তাকবীর বললেন। লোকেরা তাঁর পেছনে দাঁড়িয়ে গেলেন। অতঃপর তিনি কিরাআত পড়লেন ও রুকূতে গেলেন। সকলেই তাঁর পেছনে রুকূতে গেলেন। অতঃপর তিনি মাথা তুলে পেছনে সরে গিয়ে মাটিতে সিজদা করলেন। পুনরায় মিম্বারে ফিরে আসলেন এবং কিরাআত পড়ে রুকূতে গেলেন। অতঃপর তাঁর মাথা তুললেন এবং পেছনে সরে গিয়ে মাটিতে সিজদা করলেন। এ হলো মিম্বারের ইতিহাস। আবূ ’আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহ.) বলেনঃ ’আলী ইবনু ’আবদুল্লাহ(রহ.) বলেছেন যে, আমাকে আহমদ ইবনু হাম্বাল (রহ.) এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন এবং বলেছিলেনঃ আমার ধারণা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবচাইতে উঁচু স্থানে ছিলেন। সুতরাং ইমামের মুক্তাদীদের চেয়ে উঁচু স্থানে দাঁড়ানোতে কোন দোষ নেই। ’আলী ইবনু ’আবদুল্লাহ (রহ.) বলেনঃ আমি আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহ.)-কে বললামঃ সুফইয়ান ইবনু ’উয়াইনাহ (রহ.)-কে এ বিষয়ে বহুবার জিজ্ঞেস করা হয়েছে, আপনি তাঁর নিকট এ বিষয়ে কিছু শোনেননি? তিনি জবাব দিলেনঃ না। (৪৪৮, ৯১৭, ২০৯৪, ২৫৬৯; মুসলিম ৫/১০, হাঃ ৫৪৪, আহমাদ ২২৯৩৪ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭০)
بَاب الصَّلاَةِ فِي السُّطُوحِ وَالْمِنْبَرِ وَالْخَشَبِ
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ قَالَ سَأَلُوا سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ مِنْ أَيِّ شَيْءٍ الْمِنْبَرُ فَقَالَ مَا بَقِيَ بِالنَّاسِ أَعْلَمُ مِنِّي هُوَ مِنْ أَثْلِ الْغَابَةِ عَمِلَهُ فُلاَنٌ مَوْلَى فُلاَنَةَ لِرَسُولِ اللهِ وَقَامَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ عُمِلَ وَوُضِعَ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ كَبَّرَ وَقَامَ النَّاسُ خَلْفَهُ فَقَرَأَ وَرَكَعَ وَرَكَعَ النَّاسُ خَلْفَهُ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ رَجَعَ الْقَهْقَرَى فَسَجَدَ عَلَى الْأَرْضِ ثُمَّ عَادَ إِلَى الْمِنْبَرِ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ رَجَعَ الْقَهْقَرَى حَتَّى سَجَدَ بِالْأَرْضِ فَهَذَا شَأْنُهُ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ سَأَلَنِي أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ رَحِمَهُ اللهُ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فَإِنَّمَا أَرَدْتُ أَنَّ النَّبِيَّ كَانَ أَعْلَى مِنْ النَّاسِ فَلاَ بَأْسَ أَنْ يَكُونَ الْإِمَامُ أَعْلَى مِنْ النَّاسِ بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فَقُلْتُ إِنَّ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ كَانَ يُسْأَلُ عَنْ هَذَا كَثِيرًا فَلَمْ تَسْمَعْهُ مِنْهُ قَالَ لاَ.
Narrated Abu Hazim:
Sahl bin Sa`d was asked about the (Prophet's) pulpit as to what thing it was made of? Sahl replied: "None remains alive amongst the people, who knows about it better than I. It was made of tamarisk (wood) of the forest. So and so, the slave of so and so prepared it for Allah's Messenger (ﷺ) . When it was constructed and place (in the Mosque), Allah's Messenger (ﷺ) stood on it facing the Qibla and said 'Allahu Akbar', and the people stood behind him (and led the people in prayer). He recited and bowed and the people bowed behind him. Then he raised his head and stepped back, got down and prostrated on the ground and then he again ascended the pulpit, recited, bowed, raised his head and stepped back, got down and prostrate on the ground. So, this is what I know about the pulpit." Ahmad bin Hanbal said, "As the Prophet (ﷺ) was at a higher level than the people, there is no harm according to the above-mentioned Hadith if the Imam is at a higher level than his followers during the prayers."