লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩১. আযানের সুচানা।
৪৯৮. আব্বাদ ইবনু মূসা ..... আবূ উমায়ের ইবনু আনাস থেকে কোন একজন আনসার সাহাবীর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এজন্য চিন্তিত ও অস্থির হয়ে পড়েন যে, লোকদেরকে নামাযের জন্য কিরূপে একত্রিত করা যায়। কেউ কেউ পরামর্শ দেন যে, নামাযের সময় হলে ঝান্ডা উড়িয়ে দেওয়া হোক। যখন লোকেরা তা দেখবে তখন একে অন্যকে নামাযের জন্য ডেকে আনবে। কিন্তু তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মনপুতঃ হয়নি। অতঃপর কেউ এরূপ প্রস্তাব করে যে, শিংগা ফুঁকা হোক। যিয়াদ বলেন, শিংগা ছিল ইহুদীদের ধর্মীয় প্রতীক। কাজেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা অপছন্দ করেন। রাবী বলেন, অতঃপর একজন ’নাকুস’ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। রাবী বলেন, উপাসনার সময় ঘণ্টাধ্বনি করা ছিল নাসারাদের রীতি। এজন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাও অপছন্দ করেন। অতঃপর কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই সেদিনের বৈঠক শেষ হয় এবং সকলে নিজ নিজ আবাসে ফিরে যায়।
আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়েদ (রাঃ) ও রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চিন্তিত থাকার কারণে ব্যথিত হৃদয়ে স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন করেন। অতঃপর তাঁকে স্বপ্নের মাধ্যমে আযানের নিয়ম শিক্ষা দেয়া হয়। বর্ণনাকারী বলেন, পরদিন ভোরে তিনি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খিদমতে হাযির হয়ে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি (ফেরেশতা) আমার নিকট এসে আমাকে আযান দেয়ার পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছে। রাবী বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) ইতিপূর্বে ঠিক একই রকম স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তিনি তা বিশ দিন পর্যন্ত প্রকাশ না করে গোপন রাখেন বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খিদমতে প্রকাশ করেন।
তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে (উমারকে) বলেনঃ এ সম্পর্কে পূর্বে আমাকে জ্ঞাত করতে তোমায় কিসে বাঁধা দিয়েছিল? উমার (রাঃ) লজ্জা বিনম্র কণ্ঠে বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়েদ (রাঃ) এ ব্যাপারে অগ্রবর্তীর ভুমিকা পালন করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দেন উঠ এবং আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়েদ যেরূপে বলে তুমিও তদ্রুপ (উচ্চ কণ্ঠে) বল! এইরূপে বিলাল (রাঃ) ইসলামের সর্বপ্রথম আযান ধ্বনি উচ্চারণ করেন। আবূ বিশর বলেন। আবূ উমায়ের আমাকে এরূপ বলেছেন যে, সম্ভবতঃ যদি এ সময় আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়েদ (রাঃ) রোগগ্রস্ত না থাকতেন তবে রাসূলুল্লাহ সালুল্লাহ্ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকেই মুআযযিন নিযুক্ত করতেন।
باب بَدْءِ الأَذَانِ
حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مُوسَى الْخُتَّلِيُّ، وَزِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، - وَحَدِيثُ عَبَّادٍ أَتَمُّ - قَالاَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، - قَالَ زِيَادٌ أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، - عَنْ أَبِي عُمَيْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عُمُومَةٍ، لَهُ مِنَ الأَنْصَارِ قَالَ اهْتَمَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِلصَّلاَةِ كَيْفَ يَجْمَعُ النَّاسَ لَهَا فَقِيلَ لَهُ انْصِبْ رَايَةً عِنْدَ حُضُورِ الصَّلاَةِ فَإِذَا رَأَوْهَا آذَنَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا فَلَمْ يُعْجِبْهُ ذَلِكَ قَالَ فَذُكِرَ لَهُ الْقُنْعُ - يَعْنِي الشَّبُّورَ - وَقَالَ زِيَادٌ شَبُّورَ الْيَهُودِ فَلَمْ يُعْجِبْهُ ذَلِكَ وَقَالَ " هُوَ مِنْ أَمْرِ الْيَهُودِ " . قَالَ فَذُكِرَ لَهُ النَّاقُوسُ فَقَالَ " هُوَ مِنْ أَمْرِ النَّصَارَى " . فَانْصَرَفَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ وَهُوَ مُهْتَمٌّ لِهَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأُرِيَ الأَذَانَ فِي مَنَامِهِ - قَالَ - فَغَدَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لَبَيْنَ نَائِمٍ وَيَقْظَانَ إِذْ أَتَانِي آتٍ فَأَرَانِي الأَذَانَ . قَالَ وَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ - رضى الله عنه - قَدْ رَآهُ قَبْلَ ذَلِكَ فَكَتَمَهُ عِشْرِينَ يَوْمًا - قَالَ - ثُمَّ أَخْبَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ " مَا مَنَعَكَ أَنْ تُخْبِرَنِي " . فَقَالَ سَبَقَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ فَاسْتَحْيَيْتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا بِلاَلُ قُمْ فَانْظُرْ مَا يَأْمُرُكَ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ فَافْعَلْهُ " . قَالَ فَأَذَّنَ بِلاَلٌ . قَالَ أَبُو بِشْرٍ فَأَخْبَرَنِي أَبُو عُمَيْرٍ أَنَّ الأَنْصَارَ تَزْعُمُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زَيْدٍ لَوْلاَ أَنَّهُ كَانَ يَوْمَئِذٍ مَرِيضًا لَجَعَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُؤَذِّنًا .
Narrated AbuUmayr ibn Anas:
AbuUmayr reported on the authority of his uncle who was from the Ansar (the helpers of the Prophet): The Prophet (ﷺ) was anxious as to how to gather the people for prayer.
The people told him: Hoist a flag at the time of prayer; when they see it, they will inform one another. But he (the Prophet) did not like it. Then someone mentioned to him the horn.
Ziyad said: A horn of the Jews. He (the Prophet) did not like it. He said: This is the matter of the Jews. Then they mentioned to him the bell of the Christians. He said: This is the matter of the Christians. Abdullah ibn Zayd returned anxiously from there because of the anxiety of the Apostle (ﷺ). He was then taught the call to prayer in his dream. Next day he came to the Messenger of Allah (ﷺ) and informed him about it.
He said: Messenger of Allah, I was between sleep and wakefulness; all of a sudden a newcomer came (to me) and taught me the call to prayer. Umar ibn al-Khattab had also seen it in his dream before, but he kept it hidden for twenty days.
The Prophet (ﷺ) said to me (Umar): What did prevent you from saying it to me?
He said: Abdullah ibn Zayd had already told you about it before me: hence I was ashamed.
Then the Messenger of Allah (ﷺ) said: Bilal, stand up, see what Abdullah ibn Zayd tells you (to do), then do it. Bilal then called them to prayer.
AbuBishr reported on the authority of AbuUmayr: The Ansar thought that if Abdullah ibn Zayd had not been ill on that day, the Messenger of Allah (ﷺ) would have made him mu'adhdhin.