হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৮৩১

পরিচ্ছেদঃ আমরা যে সূর্য গ্রহণের সালাতের কথা বর্ণনা করলাম, যে ব্যক্তি সেই সালাত আদায় করবে, তার জন্য জরুরী হলো তাশাহ্হুদ ও সালামের মাধ্যমে সালাত শেষ করা

২৮৩১. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “(রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়ে একবার) সূর্য গ্রহণ হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে আদেশ করলেন ফলে তিনি জামা‘আতে সালাত সংঘটিত হবে মর্মে আহবান করলেন। অতঃপর লোকজন সমবেত হলে রাসূল  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিয়ে সালাত আদায় করেন। তিনি প্রথমে তাকবীর দেন। তারপর তিনি দীর্ঘ কিরা‘আত পাঠ করেন। তারপর তিনি তাকবীর দেন এবং কিয়ামের মতো অথবা তারচেয়ে বেশি দীর্ঘ রুকূ‘ করেন।  তারপর তিনি রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন এবং বলেন, سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ (আল্লাহ শ্রবণ করেছেন, ঐ ব্যক্তির প্রশংসা, যে তার প্রশংসা করে)। তারপর তিনি দীর্ঘ কিরা‘আত পাঠ করেন, তবে সেটা প্রথম কিয়াম অপেক্ষা কম। তারপর তিনি তাকবীর দেন এবং দীর্ঘ রুকূ‘ করেন, তবে সেটা প্রথম রুকূ‘ অপেক্ষা কম। তারপর তিনি রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন এবং বলেন, سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ (আল্লাহ শ্রবণ করেছেন, ঐ ব্যক্তির প্রশংসা, যে তার প্রশংসা করে)। তারপর তিনি তাকবীর দেন এবং রুকূ‘র মতো অথবা তার চেয়ে দীর্ঘ সাজদা করেন। তারপর তিনি তাকবীর দেন এবং সাজদা থেকে মাথা উত্তোলন করেন। তারপর আবার তাকবীর দেন এবং সাজদা করেন।  তারপর তিনি তাকবীর দিয়ে দাঁড়ান।

তারপর তিনি দীর্ঘ কিরা‘আত পাঠ করেন, তবে সেটা প্রথম কিরা‘আত অপেক্ষা ছোট। তারপর তিনি তাকবীর দেন এবং দীর্ঘ রুকূ‘ করেন, তবে সেটা প্রথম রুকূ‘ অপেক্ষা কম দৈর্ঘের। তারপর তিনি রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন এবং বলেন, سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ (আল্লাহ শ্রবণ করেছেন, ঐ ব্যক্তির প্রশংসা, যে তার প্রশংসা করে)। তারপর তিনি দ্বিতীয় কিয়ামে দীর্ঘ কিরা‘আত পাঠ করেন, তবে সেটা প্রথম কিরা‘আত অপেক্ষা কম। তারপর তিনি তাকবীর দেন এবং দীর্ঘ রুকূ‘ করেন, তবে সেটা প্রথম রুকূ‘ অপেক্ষা কম। তারপর তিনি রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন এবং বলেন, سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ (আল্লাহ শ্রবণ করেছেন, ঐ ব্যক্তির প্রশংসা, যে তার প্রশংসা করে)। তারপর তিনি তাকবীর দেন এবং দীর্ঘ সাজদা করেন, তবে সেটা প্রথম সাজদা অপেক্ষা কম। তারপর তিনি তাকবীর দেন এবং সাজদা থেকে মাথা উত্তোলন করেন। তারপর তিনি তাশাহ্হুদ পাঠ করেন।  তারপর সালাম ফেরান। অতঃপর তিনি সাহাবীদের মাঝে দাঁড়ান। তারপর তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণ-কীর্তন করেন। অতঃপর বলেন,  “নিশ্চয়ই সূর্য ও চন্দ্র কারো বেঁচে থাকা অথবা কারো মৃত্যুবরণ করার কারণে গ্রহণ লাগে না। বরং এগুলি আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কাজেই এদুটি অথবা এদের যে কোন একটি গ্রহণ লাগবে, তখন তোমরা ভীত-সন্ত্রস্ত্র অবস্থায় আল্লাহর দিকে এবং সালাত আদায় করার দিকে ধাবিত হবে।”

ইমাম যুহরী রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আমি উরওয়া বিন যুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বললাম, “আল্লাহর কসম, আপনার ভাই আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মদীনায় অবস্থানকালে সূর্যগ্রহণ লাগলে এমনটা করেননি। তিনি ফজরের দুই রাকা‘আত সালাতের মতোই দুই রাকা‘আত সালাত আদায় করেছেন।” জবাবে উরওয়া বিন যুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আপনি ঠিকই বলেছেন। তিনি এমনটাই করেছেন, তবে তিনি সুন্নাহ-পরিপন্থী কাজ করেছেন।”[1]

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ مَنْ صَلَّى صَلَاةَ الْكُسُوفِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا عَلَيْهِ أَنْ يُخْتَمَ صَلَاتَهُ بِالتَّشَهُّدِ والتسليم

مُسْلِمٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَمِرٍ أَنَّهُ سَأَلَ الزُّهْرِيَّ عَنْ سُنَّةِ صَلَاةِ الْكُسُوفِ فَقَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا فَنَادَى أَنَّ الصَّلَاةَ جَامِعَةٌ فَاجْتَمَعَ النَّاسَ فَصَلَّى بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَبَّرَ ثُمَّ قَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا مِثْلَ قِيَامِهِ أَوْ أَطْوَلَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ثُمَّ قَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِيَامِ الْأَوْلِ ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا وَهُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الْأَوْلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ثُمَّ كَبَّرَ فَسَجَدَ سُجُودًا طَوِيلًا وَهُوَ أَدْنَى مِنْ رُكُوعِهِ أَوْ أَطْوَلُ ثُمَّ كَبَّرَ فَرَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ ثُمَّ كَبَّرَ فَقَامَ فَقَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الْأُولَى ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا هُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الْأَوْلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ:سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ثُمَّ قَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الْأُولَى فِي الْقِيَامِ الثَّانِي ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوْلِ ثُمَّ كَبَّرَ فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ثُمَّ كَبَّرَ فَسَجَدَ أَدْنَى مِنْ سُجُودِهِ الْأَوْلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ تَشَهَّدَ ثُمَّ سَلَّمَ وَقَامَ فِيهِمْ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: (إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَا يَنْخَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ فَإِنْ خُسِفَ بِهِمَا أَوْ بِأَحَدِهِمَا فَافْزَعُوا إِلَى اللَّهِ وَالصَّلَاةِ) قَالَ الزُّهْرِيُّ: فَقُلْتُ لِعُرْوَةَ: وَاللَّهِ مَا صَنَعَ هَذَا أَخُوكَ عَبْدُ اللَّهِ حِينَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ وَهُوَ بِالْمَدِينَةِ وَمَا صَلَّى إِلَّا رَكْعَتَيْنِ مِثْلَ صَلَاةِ الصُّبْحِ قَالَ: أجل كذلك صنع وأخطأ السُّنَّة. الراوي : عَائِشَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 2731 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (1072): خ (1076)، م.