পরিচ্ছেদঃ উল্লেখিত উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসের হুকুম বৈধ থাকার পর পরবর্তীতে তা মানসুখ বা রহিত হয়ে গেছে
১১৭০. উবাই বিন কা‘ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “কেবল বীর্যপাতের কারণে গোসল ফরয, এটা ইসলামের প্রথম যুগে অবকাশ হিসেবে বিধান ছিল। তারপর তা নিষেধ করা হয়।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই হাদীসটি মা‘মার যুহরী থেকে, তিনি গুনদার থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন সাহল বিন সা‘দ, হাদীসটি ইমাম যুহরী থেকে আরো বর্ণনা করেছেন আমর বিন হারিস, ইমাম যুহরী বলেন, “আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন এমন ব্যক্তি ব্যক্তি, যার প্রতি আমি সন্তুষ্ট, তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন সাহল বিন সা‘দ থেকে। হতে পারে ইমাম যুহরী এই হাদীসটি সাহল বিন সা‘দ থেকে শ্রবণ করেছেন, যেমনটা গুনদার বলেছেন এবং তিনি হাদীসটি আরো এমন কারো কাছ থেকে শুনেছেন যার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন। কাজেই কোন কোন সময় তিনি বর্ণনা করেছেন সাহল বিন সা‘দ থেকে আবার কোন সময় বর্ণনা করেছেন ঐ ব্যক্তি থেকে যার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন। আর আমি এই হাদীসটির সানাদসমূহ অনুসন্ধান করেছি এটা জানার জন্য যে, সাহল থেকে আর কেউ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন কিনা কিন্তু আমি দুনিয়াতে আবু হাযিম ছাড়া আর কাউকে পাইনি যিনি সাহল বিন সা‘দ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। কাজেই ইমাম যুহরী যে বলেছেন, “আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন এমন ব্যক্তি, যার প্রতি আমি সন্তুষ্ট, তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন সাহল বিন সা‘দ থেকে” হতে পারে সাহল থেকে যিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি হলেন আবূ হাযিম।”
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ هَذَا الْخَبَرَ يَعْنِي خَبَرَ عُثْمَانَ مَنْسُوخٌ بَعْدَ أَنْ كَانَ مُبَاحًا
1170 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا حِبَّانُ بْنُ مُوسَى قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ قَالَ: أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ: إِنَّمَا كَانَ الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ رُخْصَةً في أول الإسلام ثم نُهِيَ عنها. الراوي : أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1170 | خلاصة حكم المحدث: صحيح. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: رَوَى هَذَا الْخَبَرَ مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ مِنْ حَدِيثِ غُنْدَرٍ فَقَالَ: أَخْبَرَنِي سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ وَرَوَاهُ عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْ أَرْضَى عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ وَيُشْبِهُ أَنْ يَكُونَ الزُّهْرِيُّ سَمِعَ الْخَبَرَ مِنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ كَمَا قَالَهُ غُنْدَرٌ وَسَمِعَهُ عَنْ بَعْضِ مَنْ يَرْضَاهُ عَنْهُ فَرَوَاهُ مَرَّةً عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ وَأُخْرَى عَنِ الَّذِي رَضِيَهُ عَنْهُ وَقَدْ تَتَبَّعْتُ طُرُقَ هَذَا الْخَبَرِ عَلَى أَنْ أَجِدَ أَحَدًا رَوَاهُ عَنْ سَهْلِ بْنِ سعد فلم أجد في الدنيا أَحَدًا إِلَّا أَبَا حَازِمٍ وَيُشْبِهُ أَنْ يَكُونَ الرَّجُلُ الَّذِي قَالَ الزُّهْرِيُّ: حَدَّثَنِي مَنْ أَرْضَى عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ هُوَ أَبُو حَازِمٍ رواه عنه.