পরিচ্ছেদঃ সূরা ফাতিহা বান্দা ও তার প্রতিপালকের মাঝে বিভক্ত হওয়ার পদ্ধতি
৭৭৩. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি এমন সালাত আদায় করে যাতে সে সূরা ফাতিহা পড়ে না, সে সালাত অসম্পূর্ণ, সেটি অসম্পূর্ণ।” তখন এক ব্যক্তি বললেন, “হে আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, আমি তো মাঝে মাঝে ইমামের পিছনে থাকি। রাবী বলেন, তখন আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমার হাতে খোঁচা দিলেন, তারপর বললেন, “হে পারস্যের অধিবাসী, তখন তুমি সূরা ফাতিহা মনে মনে পড়বে। কেননা আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “পূণ্যময় আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, “আমার ও আমার বান্দার মাঝে সালাত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কাজেই এর অর্ধাংশ আমার বান্দার জন্য আর অর্ধাংশ আমার। আর আমার বান্দার জন্য তা-ই রয়েছে, যা সে চায়। যখন বান্দা বলে, “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক।” (সূরা ফাতিহা: ২।) তখন আল্লাহ বলেন, “আমার বান্দা আমার প্রশংসা করলো।” আর যখন সে বলে, “(তিনি) সর্বদয়ালূ, সবিশেষ করুণাময়।” (সূরা ফাতিহা: ৩।) তখন আল্লাহ বলেন, “আমার বান্দা আমার গুণ-কীর্তন করলো।” যখন বান্দা বলে, “(তিনি) প্রতিফল দিবসের অধিপতি।” (সূরা ফাতিহা: ৪।) তখন আল্লাহ বলেন, “আমার বান্দা আমার মহিমা প্রকাশ করলো। এসব আমার ও আমার বান্দার মধ্যকার বিষয়।” বান্দা বলে, “আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি, আপনার কাছেই সাহায্য চাই।” (সূরা ফাতিহা: ৫।) (তখন মহান আল্লাহ বলেন) “এর যা অবশিষ্ট রয়েছে, তা আমার বান্দার জন্য, আমার বান্দার জন্য তা-ই থাকবে, যা সে চাইবে।” (বান্দা যখন পড়ে) “আমাদেরকে দেখান সরল-সঠিক পথ। তাঁদের পথ, যাঁদের উপর আপনি অনুগ্রহ করেছেন; তাদের পথ নয়, যারা অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট।” (সূরা ফাতিহা: ৬-৭।) (তখন মহান আল্লাহ বলেন) “এটি আমার বান্দার জন্য, তা আমার বান্দার জন্য, আমার বান্দার জন্য তা-ই থাকবে, যা সে চাইবে।”[1]
আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাবী আবুল মুগীরা হলেন আব্দুল কুদ্দূস বিন হাজ্জাজ আল খাওলানী।”
ذِكْرُ كَيْفِيَّةِ قِسْمَةِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ بَيْنَ الْعَبْدِ وبين ربه
773 - أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَوْدُودٍ أَبُو عَرُوبَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدٍ الْحِمْصِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا ابْنُ ثَوْبَانَ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ الْحُرِّ عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (مَنْ صَلَّى صَلَاةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَهِيَ خِدَاجٌ فَهِيَ خِدَاجٌ غَيْرُ تَمَامٍ) قَالَ: فَقَالَ رَجُلٌ: يَا أَبَا هُرَيْرَةَ إِنِّي أَحْيَانًا أَكُونُ وَرَاءَ الْإِمَامِ قَالَ: فَغَمَزَ ذِرَاعِي ثُمَّ قَالَ: يَا فَارِسِيُّ اقْرَأْ بِهَا فِي نَفْسِكَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم يقول: (قال الله تبارك وتعالى: قَسَمْتُ الصلاة بَيْنِي وَبَيْنَ عِبَادِي نِصْفَيْنِ فَنِصْفُهَا لِعَبْدِي وَنِصْفُهَا لِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ إِذَا قَالَ الْعَبْدُ: {الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [الفاتحة: 2] قَالَ اللَّهُ: حَمِدَنِي عَبْدِي وَإِذَا قَالَ: {الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 3] يَقُولُ اللَّهُ: أَثْنَى عَلَيَّ عَبْدِي وَإِذَا قَالَ: {ملك يوم الدين} [الفاتحة: 4] قَالَ: مَجَّدنِي عَبْدِي وَهَذِهِ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي يَقُولُ: {إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ} [الفاتحة: 5] وَمَا بَقِيَ فَلِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ , {اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ * صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ} [الفاتحة: 6 ـ 7] فَهَذَا لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي ما سأل) قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَبُو المغيرة: عبد القدوس ابن الحجاج الخولاني الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 773 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.