পরিচ্ছেদঃ কিছু বৈশিষ্ট্য যার কোন একটি সম্পাদন করলে জাহান্নাম অবধারিত হয়ে যাওয়ার ভয়ে সেসব পরিত্যাগ করা মানুষের জন্য জরুরী- এই মর্মে হাদীস
৬৫২. ‘ইয়ায বিন হিমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে খুতবায় বলতে শুনেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাকে আদেশ করেছেন, তিনি আমাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তা হতে আজকে তোমাদেরকে শিক্ষা দিতে যা তোমরা জানো না। সেটি হলো আমি আমার বান্দাদেরকে যা দান করেছি, তা হালাল। আর আমি আমার বান্দাদেরকে একনিষ্ঠ (মুসলিম) হিসেবে সৃষ্টি করেছি। শয়তান তাদের কাছে আসে এবং তাদেরকে তাদের দ্বীন থেকে বিচ্যুত করে দেয় এবং আমি তাদের জন্য যা হালাল করে দিয়েছি, তা শয়তান তাদের উপর হারাম করে দেয়। অতঃপর সে তাদেরকে আমার সাথে শরীক করার নির্দেশ দেয়; যে ব্যাপারে আমি কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করিনি। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ জমিনবাসীর প্রতি তাকান এবং আহলে কিতাবের মধ্যে অবশিষ্ট লোক (যারা দ্বীনে হকের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন, তারা) ব্যতীত অন্য আরব-অনারব সবার প্রতি নারাজ হন।
অতঃপর তিনি বলেন, “হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, নিশ্চয়ই আমি আপনাকে রাসূল করে পাঠিয়েছি আপনাকে পরীক্ষা করার জন্য এবং আপনার মাধ্যমে মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য, আপনার প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে এমন কিতাব যা পানি ধুয়ে (নষ্ট করে দিতে) পারবে না, সেটি আপনি জাগ্রত ও নিদ্রা অবস্থায় পাঠ করবেন।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা আমাকে আরো আদেশ করেছেন যেন আমি কুরাইশদেরকে (এই বার্তা) জানিয়ে দেই। অতঃপর আমি বললাম, “তবে তো তারা আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়ে তা রুটির মতো টুকরো টুকরো করে রেখে দিবে!” আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “তবে আপনি তাদেরকে বের করে দিবেন, যেভাবে তারা আপনাকে বের করে দিয়েছে, তাদের সাথে যুদ্ধ করবেন, যেভাবে তারা আপনার সাথে যুদ্ধ করেছে, আপনি খরচ করবেন, তবে আপনার উপরও খরচ করা হবে, আপনি একদল সেনা পাঠান, আমরা অনুরুপ পাঁচগুণ সৈন্য (ফেরেস্তা) পাঠাবো, যারা আপনার আনুগত্য স্বীকার করে, তাদের নিয়ে আপনি যারা আপনার অবাধ্য হয়েছে তাদের সাথে যুদ্ধ করুন।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “জান্নাতবাসী তিন শ্রেণির মানুষ: (১) ন্যায়পরায়ণ, সত্যনিষ্ঠ ও ভাল কাজের তাওফীকপ্রাপ্ত শাসক (২) নিকটাত্বীয় ও মুসলিমদের প্রতি দয়ালূ, নরম হৃদয়ের অধিকারী মানুষ।(৩) ঐ সত্যনিষ্ঠ দরিদ্র ব্যক্তি যিনি দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও মানুষের কাছে হাত বাড়ায় না।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, “জাহান্নামবাসী পাঁচ শ্রেণির মানুষ: (১) অত্যাচারী ব্যক্তি, যার লোভ-লালসার ব্যাপারটি গোপন থাকে না, যদিও তা খুব ছোট হয় (২) ঐ ব্যক্তি যে সকাল-সন্ধায় আপনার পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে ধোঁকা দেয় (৩) ঐ দুর্বল ব্যক্তি যারা তোমাদের অনুগামী, যারা সহায়-সম্পদ ও সন্তান কামনা করে না। অতঃপর এক ব্যক্তি তাকে বললেন, “হে আবু আব্দুল্লাহ, তারা কি আজাদকৃত গোলামের অন্তর্ভূক্ত হবে নাকি আরবদের অন্তর্ভূক্ত হবে?” জবাবে তিনি বলেন, “এই ব্যক্তি হবে কোন ব্যক্তির অনুগামী অতঃপর সে তার পরিবারের লোকদের সাথে বিবাহবহির্ভূতভাবে ব্যভিচারে লিপ্ত হবে। হাদীসে বর্ণিত ‘শিনযীর’ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো খারাপ লোক। অতঃপর রাবী কৃপণতা ও মিথ্যার কথা উল্লেখ করেছেন।[1]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنِ الْخِصَالِ الَّتِي يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ تفقُّدها مِنْ نَفْسِهِ حَذَرَ إِيجَابِ النَّارِ لَهُ بِارْتِكَابِ بَعْضِهَا
652 - أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ الْحَوْضِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ قَالَ: حَدَّثَنِي الْعَلَاءُ بْنُ زِيَادٍ قَالَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ ـ أَخُو مُطَرِّفٍ - قَالَ: وحدثني رجلان آخرا أَنَّ مُطَرِّفًا حَدَّثَهُمْ: أَنَّ عِيَاضَ بْنَ حِمَارٍ حَدَّثَهُمْ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ: (إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أُعَلِّمَكُمْ مَا جَهِلْتُمْ مِمَّا عَلَّمَنِي يَوْمِي هَذَا: إِنَّ كُلَّ مَا أَنْحَلْتُهُ عَبْدِي حَلَالٌ وَإِنِّي خَلَقْتُ عِبَادِي حُنَفَاءَ كُلَّهُمْ وَإِنَّهُ أَتَتْهُمُ الشَّيَاطِينُ فَاجْتَالَتْهُمْ عَنْ دِينِهِمْ وحرَّمت عَلَيْهِمْ مَا أَحْلَلْتُ لَهُمْ فَأَمَرَتْهُمْ أَنْ يُشْرِكُوا بِي مَا لَمْ أُنزل بِهِ سُلْطَانًا وَإِنَّ اللَّهَ اطَّلَعَ إِلَى أَهْلِ الْأَرْضِ فَمَقَتَهُمْ عَرَبَهُمْ وَعَجَمَهُمْ غَيْرَ بَقَايَا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ فقَالَ: يَا مُحَمَّدُ إِنَّمَا بَعَثْتُكَ لِأَبْتَلِيَكَ وَأَبْتَلِيَ بِكَ وَأُنْزِلَ عَلَيْكَ كتاباً لا يغسله الماء تقرأُه يَقْظَانَ وَنَائِمًا وَإِنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا أَمَرَنِي أَنْ أُخْبِرَ قُرَيْشًا فَقُلْتُ: إِذًا يَثْلَغُوا رَأْسِي فَيَتْرُكُوهُ خُبْزَةً قَالَ فَاسْتَخْرِجْهُمْ كَمَا اسْتَخْرَجُوكَ وَاغْزُهُمْ يَسْتَغْزُوكَ وَأَنْفِقْ يُنْفَقْ عَلَيْكَ وَابْعَثْ جَيْشًا نَبْعَثْ خَمْسَةً أَمْثَالَهُمْ وَقَاتِلْ بِمَنْ أَطَاعَكَ مَنْ عَصَاكَ وَقَالَ: أَصْحَابُ الْجَنَّةِ ثَلَاثَةٌ: إِمَامٌ مُقْسِطٌ مُصَدِّقٌ مُوَفَّقٌ وَرَجُلٌ رَحِيمٌ رَقِيقُ الْقَلْبِ بِكُلِّ ذِي قربى ومسلم ورجل عفيف فقير مُصَّدِّقٌ وقال: أَصْحَابُ النَّارِ خَمْسَةٌ: رَجُلٌ جَائِرٌ لَا يَخْفَى لَهُ طَمَعٌ وَإِنْ دقَّ وَرَجُلٌ لَا يُمْسِي وَلَا يُصْبِحُ إِلَّا وَهُوَ يُخَادِعُكَ عَنْ أَهْلِكَ وَمَالِكَ وَالضَّعِيفُ الَّذِينَ هُمْ فِيكُمْ تَبَعٌ لَا يَبْغُونَ أَهْلًا وَلَا مَالًا) فقَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَمِنَ الْمَوَالِي هُوَ أَوْ مِنَ الْعَرَبِ؟ قَالَ: هُوَ التَّابِعَةُ يَكُونُ لِلرَّجُلِ فَيُصِيبُ مِنْ حُرْمَتِهِ سِفَاحًا غَيْرَ نِكَاحٍ والشِّنظير: الفاحش وذَكَرَ البخل والكذب. الراوي : عِيَاض بْن حِمَارٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 652 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.