হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৬৮

পরিচ্ছেদঃ যেই হাদীসের মাধ্যমে বিদ‘আতীরা আমাদের ইমামদের দোষারোপ করেন অথচ তাদেরকে সেই হাদীসের অর্থ অনুধাবনের তাওফীক দেওয়া হয়নি

২৬৮. আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “জাহান্নামে (মানুষকে) নিক্ষেপ করা হবে আর জাহান্নাম বলতে থাকবে: “আরো আছে কি?” এক পর্যায়ে প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় কদম তাতে রাখবেন ফলে জাহান্নাম বলবে: “যথেষ্ট, যথেষ্ট।”[1]

قال أبو حاتم: هذا الخبر من الْأَخْبَارِ الَّتِي أُطْلِقَتْ بِتَمْثِيلِ الْمُجَاوَرَةِ وَذَلِكَ أَنَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُلْقَى فِي النَّارِ مِنَ الْأُمَمِ وَالْأَمْكِنَةِ الَّتِي عُصِيَ اللَّهُ عَلَيْهَا فَلَا تَزَالُ تَسْتَزِيدُ حَتَّى يَضَعَ الرَّبُّ جَلَّ وَعَلَا مَوْضِعًا مِنَ الكفار والأمكنة في النار فتمتلىء فَتَقُولُ قَطْ قَطْ تُرِيدُ حَسْبِي حَسْبِي لِأَنَّ الْعَرَبَ تُطْلِقُ فِي لُغَتِهَا اسْمَ الْقَدَمِ عَلَى الْمَوْضِعِ قَالَ اللَّهُ جَلَّ وَعَلَا {لَهُمْ قَدَمَ صِدْقٍ عِنْدَ رَبِّهِمْ} يُرِيدُ مَوْضِعَ صِدْقٍ لَا أَنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا يَضَعُ قَدَمَهُ فِي النَّارِ جَلَّ رَبُّنَا وَتَعَالَى عَنْ مِثْلِ هَذَا وَأَشْبَاهِهِ.

আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: “অত্র হাদীসটি সেসব হাদীসের অন্তর্ভূক্ত যাতে মুজাওয়ারাত বা নিকটবর্তী বা পার্শবর্তী এর উদাহরণ ব্যবহার করা হয়েছে। সেটি হলো কিয়ামতের দিন বিভিন্ন জাতীর মানুষ ও যেসব জায়গায় আল্লাহর নাফরমানী করা হয়েছে- সেসবকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে কিন্তু জাহান্নাম আরো বেশি চাইতেই থাকবে। এক পর্যায়ে মহান প্রতিপালক কাফির ও জায়গাসমুহের মধ্য হতে কোন একটি জায়গা জাহান্নামে রাখবেন ফলে জাহান্নাম পরিপূর্ণ হয়ে যাবে এবং বলবে: “ক্বত, ক্বত অর্থাৎ যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে। কেননা আরবরা ‘কদম’ শব্দটিকে জায়গা অর্থে ব্যবহার করে থাকে। যেমন, মহান আল্লাহ বলেছেন: “তাঁদের জন্য তাঁদের প্রতিপালকের কাছে থাকবে সুনিশ্চিত সম্মানজনক অবস্থান।” আয়াতে قَدَمَ صِدْقٍ  দ্বারা উদ্দেশ্য হলো مَوْضِعَ صِدْقٍ । হাদীস দ্বারা এটা উদ্দেশ্য নয় যে, মহান আল্লাহ তাঁর পা জাহান্নামে রাখবেন। এই কাজ এবং এই জাতীয় কাজ থেকে তিনি সুমহান, সুউচ্চ।” [2]


[1] সহীহ আল বুখারী: ৪৮৪৮; মুসনাদ আহমাদ: ৩/১৩৪; সহীহ মুসলিম: ২৮৪৮; তিরমিযী: ৩২৭২; ইবনু খুযাইমা, আত তাওহীদ: ৯৭, ৯৮।

হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন।  আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন। (যিলালুল জান্নাহ: ৫২৫।)   

[2] ইমাম তিরমিযী রহিমাহুল্লাহ বলেন:

وقد رُوي عن النبي صلى الله عليه وسلم روايات كثيرة مثل هذا، والمذهب في هذا عن أهل العلم من الأئمة مثل: سفيان الثوري، ومالك بن أنس، وابن المبارك، وسفيان بن عيينة، ... وغيرهم، أنهم قالوا: نروي هذه الأحاديث، ونؤمن بها، ولا يُقال: كيف؟ وهذا الذي اختاره أهل الحديث أن يرووا هذه الأشياء كيف جاءت، ويُؤمن بها، ولا تُفَسَّر، ولا تُتوهَّم، ولا يقال: كيف؟ وهذا أمر أهل العلم الذي اختاروه وذهبوا إليه.

“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এই ধরণের অনেকগুলি বর্ণনা এসেছে। এই ব্যাপারে সুফইয়ান সাওরী, ইমাম মালিক, আব্দুল্লাহ বিন মুবারক, সুফইয়ান বিন উয়াইনা... ও অন্যান্য আহলুল ইলম তথা বিদ্বানদের অভিমত হলো, তাঁরা বলেন: “আমরা এসব হাদীস বর্ণনা করবো এবং তৎপ্রতি ঈমান আনয়ন করবো ক্ষেত্রে বলা যাবে না: সেটা কিভাবে?” এই মতটিই মুহাদ্দিসগণ পছন্দ করেছেন যে, তাঁরা এই জাতীয় জিনিসগুলো যেভাবে এসেছে সেভাবেই বর্ণনা করবেন এবং তার প্রতি ঈমান আনয়ন করবেন, সেগুলিকে ব্যাখ্যা করা যাবে না, সেগুলির ব্যাপারে সংশয় সৃষ্টি করা যাবে না, এরকম বলা যাবে না: “সেটি কিভাবে?” আহলুল ইলমগণ এই মতটিই পছন্দ করেছেন এবং  এই মত পোষণ করেছেন।” (সুনান আত তিরমিযী: ৪/৬৯২) -অনুবাদক

ذِكْرُ خَبَرٍ شَنَّعَ بِهِ أَهْلُ الْبِدَعِ عَلَى أَئِمَّتِنَا حَيْثُ حُرِمُوا التَّوْفِيقَ لِإِدْرَاكِ مَعْنَاهُ

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ حَدَّثَنَا الْقَوَارِيرِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: "يُلْقَى فِي النَّارِ فَتَقُولُ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ حَتَّى يَضَعَ الرَّبُّ جَلَّ وَعَلَا قَدَمَهُ فِيهَا فَتَقُولُ قَطْ قَطْ". الراوي : أَنَس بْن مَالِكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 268 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.