পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়ন করে অতঃপর তার উপর অটল-অবিচল থাকে, মহান আল্লাহ তার জন্য জান্নাত লিপিবদ্ধ ও অবধারিত করে দিবেন
২১২. রিফা’আহ বিন ’আরাবাহ আল জুহানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সাথে মক্কা থেকে বের হলাম। অতঃপর লোকজন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে অনুমতি চাইতে লাগলেন, তিনিও তাঁদের অনুমতি দিতে থাকলেন। তারপর বললেন: “কী ব্যাপার! গাছের যে অংশ আল্লাহর রাসূলের নিকটে সেই অংশটি তোমাদের কাছে গাছের অপর অংশের চেয়ে বেশি অপছন্দনীয়!”[1] রাবী বলেন, অতঃপর সবাইকে আমরা কাঁদতে দেখলাম। রাবী বলেন, তখন আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “এরপর যে ব্যক্তি আপনার কাছে অনুমতি চাইবে, সে মতে সে একটা নির্বোধ।” তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দন্ডায়মান হলেন অতঃপর আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করলেন। আর যখন তিনি শপথ করতেন, তখন বলতেন: “ঐ সত্তার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ! আমি আল্লাহর কাছে সাক্ষী দিয়ে বলছি, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনোয়ন করবে তারপর তার উপর অটল-অবিচল থাকবে, সে ব্যক্তি জান্নাতের পথে পরিচালিত হবে।
আমার প্রতিপালক আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি আমার উম্মতের সত্তর হাজার লোককে বিনা হিসাব ও বিনা আযাবে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমি আশাবাদী যে, তাঁরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ না তোমরা এবং তোমাদের সৎকর্মশীল স্ত্রী ও সন্তান-সন্তুতিগণ তাতে প্রবেশ করে নিজের আবাসস্থল প্রস্তুত করে নিয়েছো।” তারপর তিনি বলেছেন: “যখন রাতের অর্ধাংশ চলে যায় অথবা (রাবীর সন্দেহ যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনটি বলেছেন) দুই-তৃতীয়াংশ চলে যায়, তখন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা’আলা দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন: “আমার বান্দাকে আমি ছাড়া আর কেউ জিজ্ঞেস করবে না। কে আছে এমন যে আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দিবো, কে আছে যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো, কে আছে যে আমার কাছে দু’আ করবে, আমি তার দু’আ কবুল করবো।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “এই অবস্থা সুবহে সাদিক উদিত হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে।”[2]
ذِكْرُ كِتْبَةِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا الْجَنَّةَ وَإِيجَابِهَا لِمَنْ آمَنَ بِهِ ثُمَّ سَدَّدَ بَعْدَ ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلْمٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ حَدَّثَنِي هِلَالُ بْنُ أَبِي مَيْمُونَةَ قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ يَسَارٍ قَالَ: حَدَّثَنِي رِفَاعَةُ بْنُ عَرَابَةَ الْجُهَنِيُّ قَالَ صَدَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَكَّةَ فَجَعَلَ نَاسٌ يَسْتَأْذِنُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَعَلَ يَأْذَنُ لَهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "مَا بَالُ شِقِّ الشَّجَرَةِ الَّتِي تَلِي رَسُولَ اللَّهِ أَبْغَضَ إِلَيْكُمْ مِنَ الشِّقِّ الْآخَرِ" قَالَ: فَلَمْ نَرَ مِنَ الْقَوْمِ إِلَّا بَاكِيًا قَالَ يَقُولُ أَبُو بَكْرٍ إِنَّ الَّذِي يَسْتَأْذِنُكَ بَعْدَ هَذَا لَسَفِيهٌ فِي نفسي فقام رسول الله صلى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَكَانَ إِذَا حَلَفَ قَالَ: "وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ أَشْهَدُ عِنْدَ اللَّهِ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ ثُمَّ يُسَدِّدُ إِلَّا سُلِكَ بِهِ فِي الْجَنَّةِ وَلَقَدْ وَعَدَنِي رَبِّي أَنْ يُدْخِلَ مِنْ أُمَّتِي الْجَنَّةَ سَبْعِينَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلَا عَذَابٍ وَإِنِّي لَأَرْجُو أَنْ لَا يَدْخُلُوهَا حتى تتبوؤوا أَنْتُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ أَزْوَاجِكُمْ وَذَرَارِيِّكُمْ مَسَاكِنَ فِي الْجَنَّةِ" ثُمَّ قَالَ: "إِذَا مَضَى شَطْرُ اللَّيْلِ أَوْ ثُلُثَاهُ يَنْزِلُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ لَا أَسْأَلُ عَنْ عِبَادِي غَيْرِي مَنْ ذَا الَّذِي يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ مَنْ ذَا الَّذِي يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ مَنْ ذَا الَّذِي يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ حَتَّى يَنْفَجِرَ الصبح". الراوي : رِفَاعَةُ بْنُ عَرَابَةَ الْجُهَنِيُّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 212 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.