পরিচ্ছেদঃ ২২) নামায আদায় করার পর পরবর্তী নামাযের জন্য অপেক্ষা করার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ
৪৫১. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’স্বপ্নযোগে আজ রাতে আমার প্রভু আমার সামনে এসেছিলেন।’’
অপর বর্ণনায়ঃ
’’আমি স্বপ্নে আমার পালনকর্তাকে সর্বোত্তম আকৃতিতে দেখেছি। তিনি আমাকে বললেন হে মুহাম্মাদ! আমি বললাম: লাববাইকা ওয়া সাআ’দাইকা হে আমার প্রভু! (আমি আপনার সামনে হাজির এবং আপনার সৌভাগ্য নিতে প্রস্ত্তত।) তিনি বললেনঃ তুমি কি জানো যে নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগন কোন বিষয় নিয়ে পরস্পর বির্তক করছে? আমি বললামঃ আমি জানি না। তখন তিনি আমার দু’কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে স্বীয় হাত রাখলেন এমনকি আমি তার ঠান্ডা অনুভব করলাম আমার দুই স্তনের মধ্যবর্তী স্থানে অথবা বলেছেন- বুকের মধ্যে। অতঃপর আমি আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানের যা কিছু আছে তা জানতে পারলাম অথবা তিনি বলেছেন পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যখানে যা আছে তা আমি জানতে পারলাম।[1]
তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! আপনি কি জানেন নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণ কি বিষয় নিয়ে পরস্পর বির্তক করছে? আমি বললাম হ্যাঁ। তা হচ্ছে মর্যাদা উন্নীত করণ, পাপ মোচন, জামাআতে নামায আদায় করার জন্য পা উঠিয়ে মসজিদে যাওয়া, কঠিন ঠান্ডার সময় পরিপূর্ণরূপে ওযু করা, এক নামায আদায় করার পর পরবর্তী নামাযের জন্য অপেক্ষা করা। যে ব্যক্তি এগুলোর প্রতি যত্নবান হবে সে কল্যাণের সাথে জীবন-যাপন করবে এবং কল্যাণের মাঝে তার মৃত্যু হবে। আর সে তার পাপ থেকে এমনভাবে মুক্ত হবে যেমন তার মাতা তাকে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ট করেছিল।’’
(ইমাম তিরমিযী হাদীছটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেনঃ হাদীছটি হাসান গারীব ৩২৩১)
الترغيب في انتظار الصلاة بعد الصلاة
(صحيح لغيره) وَعَنْ ابن عباس رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أَتَانِي اللَّيْلَةَ رَبِّي وفي رواية رأيت ربي فِي أَحَسَنِ صُورَةٍ فَقَالَ لِي : يَا مُحَمَّدُ قلت لبيك ربي وسعديك قال ، هَلْ تَدْرِي فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلأُ الأَعْلَى : قُلْتُ : لا أعلم فَوَضَعَ يَدَهُ بَيْنَ كَتِفَيْ حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَهَا بَيْنَ ثَدْيَيَّ أَوْ قال في نَحْرِي فَعَلِمْتُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ أو قَالَ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ قَالَ يَا مُحَمَّدُ أَتَدْرِي فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلَأُ الْأَعْلَى قُلْتُ نعم في الدَّرَجَاتِ والْكَفَّارَاتِ وَنَقْلُ الأَقْدَامِ إِلَى الْجَمَاعَاتِ وَإِسْبَاغُ الْوُضُوءِ فِي السَّبَراتِ وَانْتِظَارُ الصَّلاةِ بَعْدَ الصَّلاةِ وَمَنْ حَافَظَ عَلَيْهِنَّ عَاشَ بِخَيْرٍ وَمَاتَ بِخَيْرٍ وَكَانَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ ". رواه الترمذي وقال حديث حسن غريب