হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৪৮

পরিচ্ছেদঃ ১: সালাত ফরয হওয়া এবং আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর বর্ণনাকারীদের সনদের মতভেদ প্রসঙ্গে এবং এ ব্যাপারে তাদের শব্দাবলীর ভিন্নতার আলোচনা

৪৪৮. ইয়াকূব ইবনু ইব্রাহীম (রহ.) ..... মালিক ইবনু স’স’আহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেছেন যে, আমি কা’বার নিকট তন্দ্রাচ্ছন্নাবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম যে, তিনজনের একটি দলের মধ্যবর্তী লোকটি এগিয়ে এলো। আমার নিকট হিকমাত ও ঈমানে পরিপূর্ণ একটি স্বর্ণের পাত্র আনা হলো। তারপর ঐ ব্যক্তি আমার সিনার অগ্রভাগ হতে নাভী পর্যন্ত বিদীর্ণ করল। যমযমের পানি দ্বারা ’কলব’ (হৃদপিণ্ড) ধুয়ে নিল। এরপর হিকমাত ও ঈমান দ্বারা তা ভরে দেয়া হলো। পরে আমার নিকট আকারে খচ্চরের চেয়ে ছোট এবং গাধার চেয়ে বড় এমন একটি জন্তু আনা হলো।
আমি জিবরীল ’আলায়হিস সালাম -এর সাথে চলতে থাকি। পরে আমরা দুনিয়ার (নিকটবর্তী) আকাশ পর্যন্ত পৌছাই। তখন বলা হলো, কে? জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, (আমি) জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সাথে কে? জিবরীল আলায়হিস্ বললেন, “মুহাম্মাদ (সা.)"। বলা হলো, তাঁকে নিয়ে আসার জন্যে কি দূত পাঠানো হয়েছে? তার আগমনে খোশ আমদেদ, তাঁর আগমন কতই না কল্যাণময়। এরপর আমি আদম ’আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম, তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) পুত্র ও নবী।
এর পরে আমরা দ্বিতীয় আসমানে এলাম। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, (আমি) জিবরীল। বলা হলো, আপনার সঙ্গে কে? জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, “মুহাম্মাদ (সা.)"। পূর্ববৎ তাকে খোশ আমদেদ জানানো হলো। এরপর আমি ইয়াহ্ইয়া ও ঈসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম এবং তাঁদের উভয়কে সালাম দিলাম। তারা বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী।
তারপর আমরা তৃতীয় আসমানে এলাম। এখানেও প্রশ্ন করা হলো, কে? তিনি বললেন, আমি জিবরীল। বলা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, “মুহাম্মাদ (সা.)"। পূর্ববৎ তাকে অভিবাদন জানানো হলো। এখানে আমি ইউসুফ আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। তিনিও বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী।
এরপর আমরা পঞ্চম আসমানে এলাম। এখানেও পূর্ববৎ প্রশ্নোত্তর হলো ও সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হলো। পরে আমি হারূন আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী।
এরপর আমরা ষষ্ঠ আসমানে পৌছলাম। এখানেও প্রশ্নোত্তর ও সম্বর্ধনার পর আমি মূসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। আমি যখন তাকে অতিক্রম করে যাই তখন তিনি কাঁদতে থাকলেন। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, হে আমার রব! এ যুবক যাকে আপনি আমার পরে নবীরূপে প্রেরণ করেছেন। আমার উম্মত হতে যত সংখ্যক লোক জান্নাতে যাবে তাঁর উম্মত হতে তার চেয়ে বেশি সংখ্যক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তারা মর্যাদায় হবেন শ্রেষ্ঠতর।
তারপর আমরা সপ্তম আসমানে এলাম। এখানেও পূর্বের ন্যায় প্রশ্নোত্তর ও সম্বর্ধনার পর আমি ইব্রাহীম আলায়হিস সালাম-এর সাথে দেখা করলাম। তাকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, খোশ আমদেদ, (হে) পুত্র ও নবী। তারপর আমার সামনে বায়তুল মা’মূর উপস্থিত করা হলো। আমি জিবরীল আলায়হিস সালাম-কে প্রশ্ন করলাম, এটি কোন্ স্থান। তিনি বললেন, এটি বায়তুল মা’মূর। এখানে প্রতিদিন সত্তর হাজার মালাক (ফেরেশতা) সালাত আদায় করে। একদিন যারা এখানে সালাত আদায় করেন, তারা এখানে কোনদিন ফিরবেন না। এ একবারই তাদের জন্যে চূড়ান্ত (সুযোগ)। তারপর আমার সামনে সিদরাতুল মুনতাহা হাজির করা হলো। তার (সিদরাতুল মুনতাহা’র) গাছের ফল আকারে হাজার নামক (স্থানের) কলসীর মতো এবং পাতাগুলো হাতীর কানের মতো এবং দেখলাম যে, তার মূল হতে চারটি নহর প্রবাহমান। দু’টি অপ্রকাশ্য ও দু’টি প্রকাশ্য। আমি জিবরীল আলায়হিস সালাম-কে এগুলো সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, অপ্রকাশ্য নহর দু’টি জান্নাতে প্রবাহমান। আর প্রকাশ্য নহর দুটির একটি ফুরাত ও অন্যটি নীল। তারপর আমার ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হলো।
ফেরার পথে আমি মূসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট আসালাম। তিনি প্রশ্ন করলেন, আপনি কি করে আসলেন? বললাম, আমার ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হয়েছে। তিনি বললেন, আমি মানুষের প্রকৃতি সম্পর্কে আপনার চেয়ে বেশি জানি। আমি বানী ইসরাঈলকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেছি। এ কথা নিশ্চিত যে, আপনার উম্মত এগুলো আদায় করতে পারবে না। আপনি আপনার রবের নিকট ফিরে যান এবং এই নির্দেশ সহজ করে নিয়ে আসুন। আমি আমার রবের নিকট পুনরায় গেলাম এবং এ বিধান সহজ করবার আবেদন করলাম। এতে তিনি তা চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। অতঃপর আমি মূসা আলায়হিস্-এর নিকট ফিরে এলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি করলে? আমি বললাম, তা চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিয়েছেন। তিনি এবারও আমাকে পূর্বের ন্যায় বললেন, আমি আমার মহান রবের নিকট ফিরে গেলাম। তিনি এবার ত্রিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আমি আবার মূসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম এবং তাঁকে জানালাম। তিনি আমাকে পূর্বের মতো বললেন, আমি আবার প্রতিপালকের নিকট হাজির হলাম। তিনি বিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। এরপর দশ ওয়াক্ত এবং তারপর পাঁচ ওয়াক্ত করে দিলেন।

এরপর আমি মূসা আলায়হিস সালাম এর কাছে এলাম। তিনি পূর্বের মতো একই কথা বললেন, আমি বললাম, আমি আবার আল্লাহর কাছে যেতে লজ্জাবোধ করছি। তারপর আল্লাহর পক্ষ হতে ঘোষণা দেয়া হলো, আমি আমার বিধান চূড়ান্ত করে দিয়েছি এবং আমার বান্দাদের জন্যে সহজ করে দিয়েছি। আর আমি একটি নেক কাজের পরিবর্তে দশটি প্রতিদান প্রদান করবো।

فرض الصلاة وذكر اختلاف الناقلين في إسناد حديث أنس بن مالك رضي الله عنه واختلاف ألفاظهم فيه

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ، ‏‏‏‏‏‏أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ بَيْنَا أَنَا عِنْدَ الْبَيْتِ بَيْنَ النَّائِمِ وَالْيَقْظَانِ، ‏‏‏‏‏‏إِذْ أَقْبَلَ أَحَدُ الثَّلَاثَةِ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ، ‏‏‏‏‏‏فَأُتِيتُ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مَلْآنَ حِكْمَةً وَإِيمَانًا فَشَقَّ مِنَ النَّحْرِ إِلَى مَرَاقِّ الْبَطْنِ فَغَسَلَ الْقَلْبَ بِمَاءِ زَمْزَمَ ثُمَّ مُلِئَ حِكْمَةً وَإِيمَانًا، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ أُتِيتُ بِدَابَّةٍ دُونَ الْبَغْلِ وَفَوْقَ الْحِمَارِ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ انْطَلَقْتُ مَعَ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَام فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الدُّنْيَا، ‏‏‏‏‏‏فَقِيلَ:‏‏‏‏ مَنْ هَذَا ؟ قَالَ:‏‏‏‏ جِبْرِيلُ، ‏‏‏‏‏‏قِيلَ:‏‏‏‏ وَمَنْ مَعَكَ ؟ قَالَ:‏‏‏‏ مُحَمَّدٌ، ‏‏‏‏‏‏قِيلَ:‏‏‏‏ وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ، ‏‏‏‏‏‏مَرْحَبًا بِهِ وَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ، ‏‏‏‏‏‏فَأَتَيْتُ عَلَى آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَام فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ مَرْحَبًا بِكَ مِنَ ابْنٍ وَنَبِيٍّ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الثَّانِيَةَ، ‏‏‏‏‏‏قِيلَ:‏‏‏‏ مَنْ هَذَا ؟ قَالَ:‏‏‏‏ جِبْرِيلُ، ‏‏‏‏‏‏قِيلَ:‏‏‏‏ وَمَنْ مَعَكَ ؟ قَالَ:‏‏‏‏ مُحَمَّدٌ، ‏‏‏‏‏‏فَمِثْلُ ذَلِكَ، ‏‏‏‏‏‏فَأَتَيْتُ عَلَى يَحْيَى، ‏‏‏‏‏‏وَعِيسَى فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِمَا، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَا:‏‏‏‏ مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الثَّالِثَةَ، ‏‏‏‏‏‏قِيلَ:‏‏‏‏ مَنْ هَذَا ؟ قَالَ:‏‏‏‏ جِبْرِيلُ، ‏‏‏‏‏‏قِيلَ:‏‏‏‏ وَمَنْ مَعَكَ ؟ قَالَ:‏‏‏‏ مُحَمَّدٌ، ‏‏‏‏‏‏فَمِثْلُ ذَلِكَ، ‏‏‏‏‏‏فَأَتَيْتُ عَلَى يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَام فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الرَّابِعَةَ، ‏‏‏‏‏‏فَمِثْلُ ذَلِكَ، ‏‏‏‏‏‏فَأَتَيْتُ عَلَى إِدْرِيسَ عَلَيْهِ السَّلَام فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ:‏‏‏‏ مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الْخَامِسَةَ، ‏‏‏‏‏‏فَمِثْلُ ذَلِكَ، ‏‏‏‏‏‏فَأَتَيْتُ عَلَى هَارُونَ عَلَيْهِ السَّلَام فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ السَّادِسَةَ، ‏‏‏‏‏‏فَمِثْلُ ذَلِكَ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ أَتَيْتُ عَلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ:‏‏‏‏ مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، ‏‏‏‏‏‏فَلَمَّا جَاوَزْتُهُ بَكَى، ‏‏‏‏‏‏قِيلَ:‏‏‏‏ مَا يُبْكِيكَ ؟ قَالَ:‏‏‏‏ يَا رَبِّ، ‏‏‏‏‏‏هَذَا الْغُلَامُ الَّذِي بَعَثْتَهُ بَعْدِي يَدْخُلُ مِنْ أُمَّتِهِ الْجَنَّةَ أَكْثَرُ وَأَفْضَلُ مِمَّا يَدْخُلُ مِنْ أُمَّتِي، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ السَّابِعَةَ، ‏‏‏‏‏‏فَمِثْلُ ذَلِكَ، ‏‏‏‏‏‏فَأَتَيْتُ عَلَى إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَام، ‏‏‏‏‏‏فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ:‏‏‏‏ مَرْحَبًا بِكَ مِنَ ابْنٍ وَنَبِيٍّ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ رُفِعَ لِي الْبَيْتُ الْمَعْمُورُ، ‏‏‏‏‏‏فَسَأَلْتُ جِبْرِيلَ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ:‏‏‏‏ هَذَا الْبَيْتُ الْمَعْمُورُ يُصَلِّي فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ فَإِذَا خَرَجُوا مِنْهُ لَمْ يَعُودُوا فِيهِ آخِرَ مَا عَلَيْهِمْ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ رُفِعَتْ لِي سِدْرَةُ الْمُنْتَهَى فَإِذَا نَبْقُهَا مِثْلُ قِلَالِ هَجَرٍ وَإِذَا وَرَقُهَا مِثْلُ آذَانِ الْفِيَلَةِ وَإِذَا فِي أَصْلِهَا أَرْبَعَةُ أَنْهَارٍ نَهْرَانِ بَاطِنَانِ وَنَهْرَانِ ظَاهِرَانِ، ‏‏‏‏‏‏فَسَأَلْتُ جِبْرِيلَ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ:‏‏‏‏ أَمَّا الْبَاطِنَانِ فَفِي الْجَنَّةِ وَأَمَّا الظَّاهِرَانِ فَالْفُرَاتُ وَالنَّيْل، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ فُرِضَتْ عَلَيَّ خَمْسُونَ صَلَاةً فَأَتَيْتُ عَلَى مُوسَى، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ:‏‏‏‏ مَا صَنَعْتَ ؟ قُلْتُ:‏‏‏‏ فُرِضَتْ عَلَيَّ خَمْسُونَ صَلَاةً، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ إِنِّي أَعْلَمُ بِالنَّاسِ مِنْكَ، ‏‏‏‏‏‏إِنِّي عَالَجْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَشَدَّ الْمُعَالَجَةِ وَإِنَّ أُمَّتَكَ لَنْ يُطِيقُوا ذَلِكَ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ أَنْ يُخَفِّفَ عَنْكَ، ‏‏‏‏‏‏فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي فَسَأَلْتُهُ أَنْ يُخَفِّفَ عَنِّي فَجَعَلَهَا أَرْبَعِينَ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ:‏‏‏‏ مَا صَنَعْتَ ؟ قُلْتُ:‏‏‏‏ جَعَلَهَا أَرْبَعِينَ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ لِي مِثْلَ مَقَالَتِهِ الْأُولَى، ‏‏‏‏‏‏فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَجَعَلَهَا ثَلَاثِينَ، ‏‏‏‏‏‏فَأَتَيْتُ عَلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام فَأَخْبَرْتُهُ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ لِي مِثْلَ مَقَالَتِهِ الْأُولَى، ‏‏‏‏‏‏فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي فَجَعَلَهَا عِشْرِينَ ثُمَّ عَشْرَةً ثُمَّ خَمْسَةً، ‏‏‏‏‏‏فَأَتَيْتُ عَلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ لِي مِثْلَ مَقَالَتِهِ الْأُولَى، ‏‏‏‏‏‏فَقُلْتُ:‏‏‏‏ إِنِّي أَسْتَحِي مِنْ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ أَنْ أَرْجِعَ إِلَيْهِ، ‏‏‏‏‏‏فَنُودِيَ أَنْ قَدْ أَمْضَيْتُ فَرِيضَتِي وَخَفَّفْتُ عَنْ عِبَادِي وَأَجْزِي بِالْحَسَنَةِ عَشْرَ أَمْثَالِهَا . تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/بدء الخلق ۶ (۳۲۰۷)، أحادیث الأنبیاء ۲۲ (۳۳۹۳)، ۴۲ (۳۴۳۰)، مناقب الأنصار ۴۲ (۳۸۸۷)، صحیح مسلم/الإیمان ۷۴ (۱۶۴)، سنن الترمذی/تفسیر سورة الم نشرح (۳۳۴۶) (مختصراً، وقال: في الحدیث قصة طویلة)، (تحفة الأشراف: ۱۱۲۰۲)، مسند احمد ۲/۲۰۷، ۲۰۸، ۲۱۰ (صحیح) صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 449 - صحيح

1. Enjoining As-Salah And Mentioning The Differences Reported By The Narrators In The Chain Of The Hadith Of Anas Bin Malik (May Allah Be Pleased With Him), And The Different Wordings In It


It was narrated from Anas bin Malik, from Malik bin Sa'sa'ah, that the Prophet (ﷺ) said: While I was at the Ka'bah, in a state between sleep and wakefulness, three men came, and one of them who was in the middle came toward me. I was brought a basin of gold, filled with wisdom and faith, and he slit open from the throat to the lower abdomen, and washed the heart with Zamzam water, then - it was filled with wisdom and faith. Then I was brought a riding-beast, smaller than a mule and bigger than a donkey. I set off with Jibril, peace be upon him, and we came to the lowest heaven. It was said: 'Who is with you?' He said: 'Muhammad.' It was said: 'Has (revelation) been sent to him? Welcome to him, what an excellent visit his is.' I came to Adam, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent son and Prophet.' Then we came to the second heaven and it was said: 'Who is this?' He said: 'Jibra'il.' [1] It was said: 'Who is with you?' he said: 'Muhammad.' And the same exchange took place. I came to Yahya and 'Eisa, peace be upon them both, and greeted them, and they said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the third heaven and it was said: 'Who is this?' He said: 'Jibra'il.' It was said: 'Who is with you?' He said: 'Muhammad.' And the same exchange took place. I came to Yusuf, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the fourth heaven and the same exchange took place. I came to Idris, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the fifth heaven and the same exchange took place. I came to Harun, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the sixth heaven and the same exchange took place. I came to Musa, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' What I passed him, he wept, and it was said: 'Why are you weeping?' He said: 'O Lord, this young man whom You have sent after me, more of his Ummah will enter Paradise than from my nation, and they will be more virtuous than them.' Then we came to the seventh heaven and a similar exchange took place. I came to Ibrahim, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent son and Prophet.' Then I was taken up to the Oft-Frequented House (Al-Bait al-Ma'mur) and I asked Jibra'il about it, and he said: 'This is Al-Bait al-Ma'mur in which seventy thousand angels pray everyday, and when they leave it they never come back.' Then I was taken up to Sidrah Al-Muntaha (the Lote-Tree of the Utmost Boundary). Its fruits were like Qilal [2] of Hajar and its leaves were like the ears of elephants. At its base were four rivers: Two hidden rivers and two manifest rivers. I asked Jibril (About them) and he said: 'The two hidden ones are in paradise, and the two manifest ones are the Euphrates and the Nile.' Then fifty prayers were enjoined upon me. I came to Musa and he said: 'What happened?' I said: 'Fifty prayers have been enjoined upon me.' He said: 'I know more about the people than you. I tried hard with the Children of Israel. Your Ummah will never be able to bear that. Go back to your Lord and ask Him to reduce it for you.' So I went back to my Lord and asked Him to reduce it, and He made it forty. Then I went back to Musa, peace be upon him, and he said: 'What happened?' I said: 'He made it forty.' He said to me something similar to what he said the first time, so I went back to my Lord and He made it thirty. I came to Musa, peace be upon him, and told him, and he said to me something similar to what he said the first time, so I went back to my Lord and he made it twenty, then ten, then five. I came to Musa, peace be upon him, and he said to me something like he had said the first time, but I said: 'I feel too shy before my Lord to go back to Him.' Then it was called out: 'I have decreed (the reward for) My obligation, and I have reduced the burden for My slaves and I will give a ten-fold reward for each good deed.' [1] It is like this here, while it is Jibra'il the first time it appears in this narration, and Jibra'il is often used in the Hadith literature. [2] Plural of Qullah